লিও হোয়াইট

জার্মান-আমেরিকান অভিনেতা (1882-1948)

লিও হোয়াইট (ইংরেজি: Leo White; ২০ই নভেম্বর, ১৮৮২ – ২০ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮) ছিলেন একজন জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ-মার্কিন চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেতা। তিনি চার্লি চ্যাপলিনের সাথে পার্শ্ব ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সমধিক পরিচিত।

লিও হোয়াইট
ফটোপ্লে সাময়িকীতে হোয়াইট (মার্চ ১৯১৭)
জন্ম
লিও হার্বার্ট ওয়াইজ

(১৮৮২-১১-১০)১০ নভেম্বর ১৮৮২
গ্রুদেনৎজ, প্রুসিয়া রাজ্য, জার্মান সাম্রাজ্য
মৃত্যু২০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮(1948-09-20) (বয়স ৬৫)
সমাধিগ্র্যান্ড ভিউ মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রি, গ্লেনডেল, ক্যালিফোর্নিয়া
কর্মজীবন১৯১১–১৯৪৮
দাম্পত্য সঙ্গীব্লেঞ্চ হোয়াইট
সন্তান

জীবনী সম্পাদনা

প্রারম্ভিক জীবন ও বিবাহ সম্পাদনা

হোয়াইট তার জন্মস্থান ও জন্মসাল নিয়ে মতভেদ রয়েছে। অধিকাংশের মতে তিনি ম্যানচেস্টারে জন্মগ্রহণ করেন, কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম নেক্রোলজিতে তার জন্মস্থান জার্মান সাম্রাজ্যের প্রুসিয়া রাজ্যের গ্রুদেনৎজ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।[১] কয়েকটি সূত্রে তার জন্মসাল ১৮৭৩ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে ধরা হয়। তবে অধিকাংশের মতে তিনি ১৮৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[ক] তিনি ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠেন। ১৯১১ সালের ১১ই মে তিনি নিউ ইয়র্কে ব্লেঞ্চ হোয়াইটকে বিয়ে করেন। ব্লেঞ্চ হোয়াইট তার মঞ্চ নাম। তার প্রকৃত নাম ইথেল হোয়াইট (জন্মনাম: ম্যাককান)। ব্লেঞ্চ ইংরেজ বংশোদ্ভূত। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।[২]

চলচ্চিত্রে অভিনয় সম্পাদনা

ইংল্যান্ড থাকাকালীন সময় থেকেই হোয়াইট মঞ্চ অভিনয় শুরু করেন। প্রখ্যাত ব্রডওয়ে প্রযোজক ড্যানিয়েল ফ্রোহম্যান তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান। ১৯১১ সাল থেকে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন এবং ১৯১৩ সালে তিনি এসানে স্টুডিওজের সাথে যুক্ত হন। ১৯১৫ সালে তিনি চার্লি চ্যাপলিনের সাথে হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং তার সাথে মিউচুয়াল ফিল্মের চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। চ্যাপলিনের চলচ্চিত্রে তার শেষ কাজ হল দ্য গ্রেট ডিক্টেটর (১৯৪০) চলচ্চিত্রে একটি ছোট ভূমিকায় অভিনয়।[৩]

হোয়াইট নিজে চ্যাপলিনের শেষ এসানে স্টুডিওজের চলচ্চিত্র ট্রিপল ট্রাবল (১৯১৮) এ অভিনয় করেছেন এবং পরিচালনা করেছেন। চ্যাপলিনে নিজেও তার আত্মজীবনীতে ট্রিপল ট্রাবল চলচ্চিত্রে উল্লেখ করেছেন, কিন্তু তিনি এই চলচ্চিত্র নির্মাণে অংশগ্রহণ করেন নি। হোয়াইট চ্যাপলিনের চিত্রায়িত কিছু ফুটেজের সাথে তার চিত্রায়িত নতুন দৃশ্য নিয়ে এই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

হোয়াইট মূলত চলচ্চিত্রে কর্মী, খলনায়ক বা অভিজাত শ্রেণীয় ব্যক্তি চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এই ধরনের চরিত্রই তার বাকি কর্ম জীবনে তার পর্দা ব্যক্তিত্ব হয়ে গিয়েছিল।[২] ১৯৪০ এর দশকে তিনি কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে ফরাসি ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৪৮ সালে তার মৃত্যুর পূর্বে তিনি চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

মৃত্যু সম্পাদনা

হোয়াইট ১৯৪৮ সালের ২০ই সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লেনডেলে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লেনডেলের গ্র্যান্ড ভিউ মেমোরিয়াল পার্ক সিমেট্রিতে সমাহিত করা হয়।

চলচ্চিত্রের তালিকা সম্পাদনা

  • কাসাব্লাঙ্কা (১৯৪২)
  • ইয়াংকি ডুডল ড্যান্ডি (১৯৪২)
  • দ্য গ্রেট ডিক্টেটর (১৯৪০)
  • পেনরড অ্যান্ড স্যাম (১৯৩৭)
  • টাইমস স্কয়ার প্লেবয় (১৯৩৬)
  • জেল বার্ডস অব প্যারাডাইজ (১৯৩৪)
  • বিউটি অ্যান্ড দ্য বস (১৯৩২)
  • দ্য মাস্ক ফলস (১৯৩১)
  • দ্য জেড বক্স (১৯৩০)
  • স্মাইলিন গান্‌স (১৯২৯)
  • হাউ টু হ্যান্ডল ওমেন (১৯২৮)
  • দ্য গার্ল ফ্রম গে পারি (১৯২৭)
  • সি ইউ ইন জেল (১৯২৭)
  • দ্য লেডিবার্ড (১৯২৭)
  • অন দ্য ফ্রন্ট পেজ (১৯২৬)
  • দ্য ব্লন্ডি সেন্ট (১৯২৬)
  • দ্য ফার ক্রাই (১৯২৬)
  • বেন-হার (১৯২৫)
  • দ্য মাস্ক্‌ড ব্রাইড (১৯২৫)
  • দ্য টাওয়ার অব লাইজ (১৯২৫)
  • দ্য লেডি হু লাইড (১৯২৫)
  • অ্যান এনিমি অব মেন (১৯২৫)
  • উল্‌ভ্‌স অব দ্য নর্থ (১৯২৪)
  • স্পোর্টিং ইয়ুথ (১৯২৪)
  • আ লেডি অব কোয়ালিটি (১৯২৪)
  • দ্য ম্যারিজ মেকার (১৯২৩)
  • হোয়াই ওরি? (১৯২৩)
  • দ্য রাস্টল অব সিল্ক (১৯২৩)
  • ভ্যানিটি ফেয়ার (১৯২৩)
  • ব্লাড অ্যান্ড স্যান্ড (১৯২২)
  • দি আইল অব লাভ (১৯২২)
  • হার স্টার্ডি ওক (১৯২১)
  • ম্যারিড টু অর্ডার (১৯২০)
  • পাল্‌স অ্যান্ড পাগ্‌স (১৯২০)
  • মিসেস টেম্পল্‌স টেলিগ্রাম (১৯২০)
  • ফিস্ট্‌স অ্যান্ড ফোডার (১৯২০)
  • দ্য ডেভিল্‌স পাস কি (১৯২০)
  • ব্লাইড ইয়ুথ (১৯২০)
  • দ্য হক্‌স ট্রেইল (১৯১৯)
  • হি ইজ ইন অ্যাগেইন (১৯১৮)
  • দ্য ব্রাজেন বিউটি (১৯১৮)
  • দ্য স্ট্রেইট অ্যান্ড ন্যারো (১৯১৮)
  • দ্য হ্যান্ডি ম্যান (১৯১৮)
  • দ্য মেসেঞ্জার (১৯১৮)
  • দ্য স্কলার (১৯১৮)
  • ট্রিপল ট্রাবল (১৯১৮)
  • দ্য অর্ডারলি (১৯১৮)
  • হিজ ডে আউট (১৯১৮)
  • দ্য রোগ (১৯১৮)
  • ব্রাইট অ্যান্ড আর্লি (১৯১৮)
  • দ্য স্ট্রেঞ্জার (১৯১৮)
  • দ্য স্লেভ (১৯১৭)
  • দ্য পেস্ট (১৯১৭)
  • ম্যাক্স ওয়ান্ট্‌স আ ডিভোর্স (১৯১৭)
  • দ্য হোবো (১৯১৭)
  • দ্য ক্যান্ডি কিড (১৯১৭)
  • দ্য চিফ কুক (১৯১৭)
  • দ্য ফ্লাই কপ (১৯১৭)
  • দ্য গোট (১৯১৭)
  • দ্য মিলিয়নিয়ার (১৯১৭)
  • দ্য ভিলেন (১৯১৭)
  • কিউপিড্‌স রাইভাল (১৯১৭)
  • ডাগ নাট্‌স (১৯১৭)
  • দ্য হিরো (১৯১৭)
  • ব্যাক স্টেজ (১৯১৭)
  • দ্য ভ্যাগাবন্ড (১৯১৬)
  • দ্য ফায়ারম্যান (১৯১৬)
  • বার্লেস্ক অন কারমেন (১৯১৬)
  • পুলিশ (১৯১৬)
  • আ নাইট ইন দ্য শো (১৯১৫)
  • সাংহাইড (১৯১৫)
  • দ্য ব্যাংক (১৯১৫)
  • আ ওম্যান (১৯১৫)
  • ওয়ার্ক (১৯১৫)
  • দ্য ট্রাম্প (১৯১৫)
  • আ জিটনি এলোপমেন্ট (১৯১৫)
  • দ্য চ্যাম্পিয়ন (১৯১৫)
  • আ নাইট আউট (১৯১৫)
  • হিজ নিউ জব (১৯১৫)
  • ইন দ্য পার্ক (১৯১৫)
  • ফ্যাটিস ফেইথফুল ফিডো (১৯১৫)
  • লিডিং লিজ্জি অ্যাস্ট্রে (১৯১৪)
  • ওয়ান ওয়ান্ডারফুল নাইট (১৯১৪)
  • ম্যাডাম ডাবল এক্স (১৯১৪)
  • ইন অ্যান্ড আউট (১৯১৪)

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. ১৯৩০ সালের আদমশুমারিতে বর্ণিত রয়েছে, তিনি ২৯ বছর বয়সে বিয়ে করেন। ১৯৩০ সালের এপ্রিল মাসে আদমশুমারি করার সময় তার বয়স ছিল ৪৭ এবং তিনি তার জন্ম সাল লিখেন ১৮৮২।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Katchmer, George A.। A Biographical Dictionary of Silent Film Western Actors and Actresses। McFarland। পৃষ্ঠা ৩৯৫। আইএসবিএন 9781476609058 
  2. "Leo White"লর্ডহিথ। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৮ 
  3. allmovie bio on Leo White, by Hal Erickson

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা