লা স্যান্তিসিমা ত্রিনিদাদ ডে পারানা

লা স্যান্তিসিমা ত্রিনিদাদ ডে পারানা বা সর্বশ্রেষ্ঠ পবিত্র পারানা ট্রিনিটি (স্পেনীয়: La Santísima Trinidad de Paraná) প্যারাগুয়ের সাবেক যীশু সম্প্রদায়ের গৃহ। এটি বহু গৃহের অন্যতম উদাহরণ। ১৭শ ও ১৮শ শতাব্দীতে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ের ন্যায় দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় ছোট আকারের উপনিবেশগুলোয় মিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ সকল মিশনগুলোয় স্বেচ্ছাসেবী সমাজসংঘ গঠন করা হয়। এগুলো আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে খ্রিস্টান ধর্মীয় বিশ্বাস স্থাপনকল্পে নিয়মিতভাবে স্পেনীয় উপনিবেশ জীবনধারা গঠনে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠে।

লা স্যান্তিসিমা ত্রিনিদাদ ডে পারানা ও জেসাস ডে তাভারাঙ্গোর যিশু সম্প্রদায়ের মিশন
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: চতুর্থ
সূত্র৬৪৮
তালিকাভুক্তকরণ১৯৯৩ (১৭শ সভা)

ইতিহাস

সম্পাদনা

‘লা স্যান্তিসিমা ত্রিনিদাদ ডে পারানা’কে স্থানীয় অধিবাসীরা ‘ত্রিনিদাদের ভগ্নাবশেষ’ নামে প্রায়শঃই আখ্যায়িত করে থাকে। প্যারাগুয়ের দক্ষিণাঞ্চল ও আর্জেন্টিনার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত পারানা নদী তীরবর্তী এলাকায় সর্বশেষ যীশু সম্প্রদায়ের সংঘগুলোর অন্যতম। এছাড়াও এটি এখনো প্রবেশাধিকারের যোগ্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর সর্বাপেক্ষা ভ্রমণযোগ্য স্থান। আধুনিককালে ত্রিনিদাদের এনকার্নাসিওন শহরে এর অবস্থান।

১৭০৬ সালে এর অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হয়। অবকাঠামোর অঙ্গসজ্জ্বায় পর্তুগিজ ও স্পেনীয় ধাঁচের প্রভাব পড়েছে।[] পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা স্বয়ংসম্পূর্ণ নগরী হিসেবে সভা-অনুষ্ঠান আয়োজনের স্থান রয়েছে এবং এখানে গণ ও বৈবাহিক অনুষ্ঠান সম্পন্নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। বৃহৎ আকৃতির গির্জা সভাগৃহ, বিদ্যালয়, অনেকগুলো যন্ত্রপাতি নির্মাণের স্থান, যাদুঘর ও স্থানীয় ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীর বাসস্থান নির্মাণ করা হয়েছিল।

মূল্যায়ন

সম্পাদনা
 
গির্জার ধ্বংসাবশেষের সম্মুখভাগ

১৭৬৮ সালে যীশু সম্প্রদায়ের সংঘগুলো স্পেনীয় উপনিবেশ থেকে চলে যেতে শুরু করে। ত্রিনিদাদেও এর প্রভাব পড়ে এবং বাদ-বাকী সংঘগুলোও কয়েক দশকের মধ্যে চলে যায়। পরবর্তীতে এ অঞ্চলের অন্যান্য ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠী স্বর্ণের সন্ধানে ভাস্কর্য সমৃদ্ধ গির্জাগুলোয় ব্যাপকহারে লুণ্ঠন কার্য চালায়। সাম্প্রতিককালে অবকাঠামো নির্মাণের অংশ হিসেবে ত্রিনিদাদ বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।

আধুনিক ঐতিহাসিক সংঘগুলো বর্তমানে এর দেখাশোনায় রয়েছে। এছাড়াও এটি প্যারাগুয়ের দুইটির মধ্যে একটি হিসেবে ১৯৯৩ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পেয়েছে।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Elvio Diaz Vallinotti (Spanish ভাষায়)। 
  2. ইউনেস্কো 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

‎* অফেলিয়া হুপার

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা