লাগু কেনাঙ্গান

১৯৫৩ সালের ইন্দোনেশিয় চলচ্চিত্র

লাগু কেনাঙ্গান (ইংরেজি: Song of Memories, অনুবাদ'স্মৃতির সঙ্গীত') এল ইনাতা আদালাহ রচিত ও পরিচালিত ১৯৫৩ সালের ইন্দোনেশিয় চলচ্চিত্র। জামালুদ্দিন মালিক, পেরসারি ফিল্ম কর্পোরেশনের ব্যানারে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি একজন সঙ্গীত পরিচালকের সাথে তার স্ত্রীর পারিবারিক কলহের পটভূমিতে নির্মিত হয়েছিল। তিতিয়েন সুমারনি ও আচমাদ নাংচিক আলকাফ মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন।

লাগু কেনাঙ্গান
এট্রিয়াম থিয়েটারের জন্য প্রকাশিত প্রচারপত্র
মূল শিরোনামLagu Kenangan
পরিচালকএল ইনাতা আদালাহ
প্রযোজকজামালুদ্দিন মালিক
রচয়িতাএল ইনাতা আদালাহ
শ্রেষ্ঠাংশে
  • তিতিয়েন সুমারনি
  • আচমাদ নাংচিক আলকাফ
প্রযোজনা
কোম্পানি
পেরসারি ফিল্ম কর্পোরেশন
মুক্তি১৯৫৩
দেশইন্দোনেশিয়া
ভাষাইন্দোনেশিয়

গল্পসূত্র সম্পাদনা

সঙ্গীত পরিচালক সুপর্দি ও তার স্ত্রী সুর্জতি'র দুই সন্তান জানতি ও জানতো'কে নিয়ে ছোট পরিবার। সন্তানরা ঘুমিয়ে গেলে সুপর্দি রাতে তার সুরারোপের কাজ করেন। বেশি রাত করে সঙ্গীত নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সুপর্দির সাথে সুর্জাতির প্রায়ই ঝগড়া হয়। এই পারিবারিক কলহ একসময় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছায়, সুর্জাতি জানতিকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। দীর্ঘসময় আলাদা থাকার ফলে তারা বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের বাবা-মা'য়ের চেষ্টায় সুপর্দি ও সুর্জতি আবার একত্রিত হন।[১]

শ্রেষ্ঠাংশে সম্পাদনা

  • তিতিয়েন সুমারনি
  • আচমাদ নাংচিক আলকাফ
  • মিয়েন সোনদাখ
  • এম. বুধ্রাসা
  • সামসু রামালান
  • জৌহরি এফেন্দি

প্রযোজনা সম্পাদনা

পেরসারি ফিল্ম কর্পোরেশনের পক্ষে জামালুদ্দিন মালিক লাগু কেনাঙ্গান প্রযোজনা করেছিলেন।[২] চলচ্চিত্রটি পেরসারি ফিল্ম কর্পোরেশনের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের লম্বা তালিকার প্রথম দিকের চলচ্চিত্র, যা ১৯৫০ সালে সেদাপ মালাম মুক্তির মাধ্যমে শুরু হয়েছিল।[৩] এল ইনাতা আদালাহ এই সাদা-কালো চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। তিনি পেরসারি ফিল্মের প্রতিদ্বন্দ্বী বানটেং ফিল্ম সংস্থার হয়ে পাহিত-পাহিত মানিস নামের একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা শেষে পেরসারি ফিল্মে যোগদেন এবং লাগু কেনাঙ্গানের চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করেন।[৪]

মুক্তি সম্পাদনা

লাগু কেনাঙ্গান অনূর্ধ্ব-১৩ বছর বয়সী দর্শকদের জন্য ১৯৫৩ সালে প্রদর্শনীর অনুমোদন পায়।[১] ১৪ আগস্ট জাকার্তার রিভোলি থিয়েটারে চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনীর খবর প্রকাশিত হয়েছিল।[৫] সেসময় একযোগে দেশব্যাপী চলচ্চিত্র মুক্তি দেয়া হতোনা। জাকার্তায় মুক্তির পর, ৭ নভেম্বর চলচ্চিত্রটি পূর্ব জাভা'র মালাং শহরে এট্রিয়াম থিয়েটারে প্রদর্শনের জন্য পৌছানো হয়। এট্রিয়াম থিয়েটারে প্রদর্শনের প্রচারপত্রে চলচ্চিত্রটিকে "মনোমুগ্ধকর, বিরহময়, মজার এবং সুরেলা গানে পূর্ণ" হিসেবে বিজ্ঞাপিত করা হয়েছিল।[৬] ১৯৫৫ সালের আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত লাগু কেনাঙ্গানের প্রদর্শনী চলে।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Kristanto 2007, পৃ. 28।
  2. Kristanto 2007, পৃ. 23।
  3. Biran 1979, পৃ. 138।
  4. Kristanto 2007, পৃ. 23, 28।
  5. De Nieuwsgier, Rivoli
  6. Persari, Lagu Kenangan
  7. De Locomotief, Agenda

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

  • "Agenda "Semarang United Cinemas""De Locomotief (Dutch ভাষায়)। Semarang। ১৩ আগস্ট ১৯৫৫। পৃষ্ঠা 3। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৬ 
  • Biran, Misbach Yusa, সম্পাদক (১৯৭৯)। Apa Siapa Orang Film Indonesia 1926–1978 [What and Who: Film Figures in Indonesia, 1926–1978]। Sinematek Indonesia। ওসিএলসি 6655859 
  • Kristanto, JB, সম্পাদক (২০০৭)। Katalog Film Indonesia 1926– 2007। Jakarta: Nalar। আইএসবিএন 978-979-26-9006-4 
  • Lagu Kenangan (brochure) (Indonesian ভাষায়), Persari Film Corporation, ১৯৫৩, reverse 
  • "Rivoli"De Nieuwsgier (Dutch ভাষায়)। Jakarta। ১৪ আগস্ট ১৯৫৩। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা