লাউতলী ডাঃ রশীদ আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ

লাউতলী ডাঃ রশীদ আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার লাউতলী গ্রামে অবস্থিত একটি বিদ্যাপীঠ। ড. রশীদ আহমেদ ১৯৭২ সালে লাউতলীতে এই প্রতিষ্ঠানটি স্হাপন করেন।[১]

লাউতলী ডাঃ রশীদ আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
স্থাপিত১৯৭২; ৫২ বছর আগে (1972)
অধ্যক্ষমোঃ মাহবুবুর রহমান
অবস্থান,
শিক্ষাঙ্গনলতিফগঞ্জ বাজার রোড, রুপসা, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর

১৯৭২ সালে আলহাজ¦ ডাঃ রশীদ আহমেদ গ্রামবাসী ও আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় পশ্চিম লাউতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক পদযাত্রা শুরু হয়েছিল। প্রয়াত মাষ্টার নুরুল ইসলাম, মাষ্টার ছিদ্দিকুর রহমান সহ গ্রামের কতিপয় শিক্ষানুরাগী মহৎপ্রাণ ব্যক্তি সকলের সমর্থনে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষ করে “লাউতলী আদর্শ  উচ্চ বিদ্যালয়” নামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ এক বছরের সর্বস্তরের এলাবাসীর আপ্রান চেষ্টা করেও বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি, ভবন, আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হন। অতপর ১৯৭২ সালে মাষ্টার নুরুল ইসলাম, মাষ্টার ছিদ্দিকুর রহমান, আব্দুর রশিদ পাটওয়ারী, মাওলানা লুৎফর রহমান, মরহুম মোঃ ইমাম হোসেন খানসহ অনেক ব্যক্তিবর্গ ডাঃ রশীদ আহমেদ সাহেবের কর্মস্থল রংপুরে তার সাথে যোগাযোগ করেন এবং গ্রামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অনুরোধ জানান। ১৯৭২ সালের ২৩মার্চ ডাঃ রশীদ আহমেদ তার সেজো ভাই মোহাম্মদ হোসেন সাহেবসহ গ্রামে আসেন এবং গ্রামের অলীয়ে কামেল আলহাজ্ব কাজী ওয়ালি উল্লা সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডাঃ রশীদ আহমেদ তার বংশধরদের পক্ষ থেকে গ্রামের উচ্চ বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি দানের ঘোষণ দেন। এতে এলাকাবাসী আনন্দিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানের নাম “লাউতলী ডাঃ রশীদ আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয়” নামকরণ করার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

বিদ্যালয়টি ১৯৭৪ সালে সরকারী স্বীকৃতি লাভ করে এবং ১৯৭৫ সালে প্রথমবার এসএসসি পরীক্ষায় ৬০% হারে ছাত্র-ছাত্রী কৃতকার্য হয়। ১৯৮৫-১৯৮৬ অর্থ বছরে সরকারী অনুদানে বিজ্ঞান ভবন নির্মিত হয়। ১৯৯২-১৯৯৫ অর্থ বছরগুলোতে ডাঃ রশীদ আহমেদ নিজ অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের টিন শেড ঘরের স্থানে এল সিস্টেমে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন। এজন্য তাকে তার রংপুরের দ্বিতল বাড়ি, রংপুর মেডিকেল কলেজের মোড়ে অবস্থিত ১০টি দোকানঘর, খালি জায়গা বিক্রয় করতে হয়েছে। ১৯৯৫ সালে ডাঃ রশীদ আহমেদ এলাকার বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তিদের বিপুল উৎসাহ ও ঐকান্তিক আগ্রহে বিদ্যালয়টি কলেজ শাখায় উন্নীত করেন। ১৯৯৯ সালে কলেজ শাখা এমপিওভুক্ত হয়। ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরে ৩০ লাখ টাকার সরকারী অনুদানে কলেজ শাখায় আধুনিক দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে এল সিস্টেমের দ্বিতল ভবনের ৭৫% ভেঙ্গে কলেজের জন্য সরকারী অনুদানে প্রায় ৩কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন চারতলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০১৮ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। [২]


তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৮ 
  2. ০১. শতায়ুর পথে স্মরনিকা-২০২২ ০২. শতায়ুর পথে-৫ (৮৯তম জন্মবার্ষিকী, সম্ভবত-২০১২)  line feed character in |সাময়িকী= at position 30 (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)