ললিতা লেনিন
ললিতা লেনিন (মালয়ালম: ലളിത ലെനിന്; জন্ম ১৭ই জুলাই ১৯৪৬, থ্রিথাল্লুর, ত্রিশূর, কেরালা) হলেন একজন ভারতীয় মালয়ালম কবি।
ললিতা লেনিন | |
---|---|
জন্ম | কে কে ললিতা বাই ১৭ জুলাই ১৯৪৬ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | রসায়ন, শিক্ষা এবং গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে স্নাতক |
মাতৃশিক্ষায়তন | কেরালা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান (অবসরপ্রাপ্ত) |
পরিচিতির কারণ | কবি |
দাম্পত্য সঙ্গী | কে এম লেনিন |
সন্তান | পুত্র অনিল লেনিন |
পুরস্কার | ড. এস আর রঙ্গনাথন স্বর্ণপদক, কেরালা সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার, আবুধাবি শক্তি পুরস্কার |
কে কে ললিতা বাই (তাঁর দাপ্তরিক নাম) তিরুবনন্তপুরমে অবস্থিত কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের প্রধানও ছিলেন। এছাড়াও, তিনি কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, কেরালা সাহিত্য একাডেমির সাধারণ পরিষদের সদস্য, জনশিক্ষা সংস্থা ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সদস্য, স্টেট ইনস্টিটিউট অফ চিলড্রেন লিটারেচারের গভর্নিং বডির সদস্য, স্টেট রিসোর্স সেন্টারের সদস্য, অব্যাহত শিক্ষার জন্য কেরালা স্টেট কোর গ্রুপের সদস্য ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় ভাষা ইনস্টিটিউটের গভর্নিং বডির সদস্যও ছিলেন।[১]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাললিতা লেনিন ১৯৪৬ সালে কেরালার ত্রিশূরের থ্রিথালুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন গ্রন্থকার এবং কলাম লেখক কে এম লেনিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। কে এম লেনিন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কাজ করেন। তাঁদের পুত্র অনিল লেনিন এবং পুত্রবধূ বিদুষী লেনিন দুজনেই আইনজীবী এবং মুম্বাইতে কর্মরত।[২]
পটভূমি
সম্পাদনাললিতা লেনিন কেরালা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন, শিক্ষা এবং গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হন।
১৯৭৬ সালে মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অফ লাইব্রেরি সায়েন্স ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনের জন্য তিনি ড. এস আর রঙ্গনাথন স্বর্ণপদক লাভ করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে ত্রিশূরের পিচিতে কেরালা ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে সহকারী গ্রন্থাগারিক হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৭৯ সালে, তিনি কেরালা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিভাগের একজন প্রভাষক হন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি এই বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০৬ সালের ৩১শে মার্চ বিভাগ থেকে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনাললিতা লেনিন ১৯৭১ সাল থেকে মূলধারার সাময়িকীতে কবিতা, ছোটগল্প এবং নিবন্ধ লিখে অবদান রেখে চলেছেন।
কবিতা সংকলন
সম্পাদনা- করিঙ্গিলি (১৯৭৬)
- কার্কিদাভাভু (১৯৯৫)
- নমুক্কু প্রাার্থিককাম (২০০০)
- কদল (শিশুদের জন্য কবিতা) (২০০০)
উপন্যাস
সম্পাদনা- মিন্নু (শিশুদের জন্য উপন্যাস)
টেলিভিশন প্রোগ্রাম
সম্পাদনা- মহাবলীর জন্য গানের কথা, তিরুবনন্তপুরম দূরদর্শন (১৯৮৭)।
- কেরালার গ্রন্থাগার আন্দোলনের উপর একটি তথ্যচিত্রের চিত্রনাট্য, তিরুবনন্তপুরম দূরদর্শনের জন্য নির্মিত (১৯৮৮)।
- তিরুবনন্তপুরম দূরদর্শনে দুটি টেলিভিশন সিরিয়াল ওরিদাথোরিক্কল (১৯৯৯০) এবং মুক্কুথিয়াম মাঞ্চডিয়াম (১৯৯৮) এর গল্প।
- তিরুবনন্তপুরম দূরদর্শনে টেলিভিশন অনুষ্ঠান অক্ষরম (16 পর্ব) এর উপস্থাপনা (১৯৯৯)।
- কাইরালি টিভির কবিতা ভিত্তিক রিয়েলিটি শো মামপাজহাম (২০১০) এর বিচারক
সাধারণ
সম্পাদনা- পুথিয়া বায়না, মহিলাদের জন্য পড়ার উপর একটি বই।
অনুবাদ
সম্পাদনা- পাবলিক লাইব্রেরি সেবানম (২০০৬) (অনুবাদ: পাবলিক লাইব্রেরি সার্ভিস: আইএফএলএ/ইউনেস্কো গাইডলাইনস ফর ডেভেলপমেন্ট , মুনচেন: কেজি সাউর, ২০০১)
- কাহলিল জিবরানের কাজের মালয়ালম অনুবাদ: ভূদাইভাঙ্গাল (দ্য আর্থ গডস)। কোট্টায়াম, ডিসি বুকস, ২০০২
পুরস্কার
সম্পাদনাললিতা লেনিনের বই, মিন্নু, ১৯৮৬ সালে শিশু সাহিত্যের জন্য কেরালা সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হয়। তিনি ১৯৯৬ সালে কবিতার জন্য আবুধাবি শক্তি পুরস্কার এবং ২০০১ সালে কবিতার জন্য মুলুর পুরস্কারের প্রাপক।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Official Web Site of Kerala Library Association"। www.keralalibraryassociation.org। ২০১৯-০৫-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-২৫।
- ↑ "ललिता लेनिनन की जीवनी - Biography of Lalitha Lenin in hindi ..."। Jivani Sangrah। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "Archived copy"। www.lalithalenin.in। ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-২৫।