রেহানা খাতুন
রেহানা খাতুন (জন্ম ৩০ আগস্ট ১৯৪৮) একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ , ফারসি ভাষার শিক্ষিকা, দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি বিভাগের সাবেক প্রধান [১] এবং Encyclopaedia of Persian Language and Literature (India and Pakistan) এর প্রণেতা.[২][৩] ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের বিস্তারে অবদান রাখায় ভারত সরকার ২০১৪ সালে তাকে পদ্মশ্রী পদকে ভুষিত করেন। [৪] রেহানা খাতুন আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রাক্তন ছাত্রী যিনি পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। [১][৫]
রেহানা খাতুন | |
---|---|
জন্ম | |
পেশা | ভারতীয় লেখিকা ও শিক্ষিকা |
পিতা-মাতা | নজির আহমেদ |
পুরস্কার | পদ্মশ্রী |
জীবনী
সম্পাদনাProf Rehana Khatoon is undoubtedly the world’s foremost expert on Arzu, and I hope to work primarily with her on Indo-Persian Philosophy and the politics of vernacular culture, wrote Dr. Arthur Dudney,[৬] Columbia University, USA, an expert on Siraj-ud-Din Ali Khan Arzu, the famous poet-scholar.[১][৭]
আল্লাহ আমাকে ফারসি সাহিত্যে কিছু করার জন্য সামান্য মেধা ও সাহস দান করেছেন - রেহানা খাতুন[৮]
রেহানা খাতুন ১৯৪৮ সালের ৩০ আগস্ট ভারতের মধ্যপ্রদেশের আলিগড়ে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতা নজির আহমেদও ছিলেন একজন পদ্মশ্রী খেতাবপ্রাপ্ত[৯]।তার পিতা হতে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে ফারসি ভাষায় মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন, এরপর ১৯৭৫ সালে এমফিল এবং ১৯৮০ সালে ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন। [১][২][৭]
পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্যপদ লাভ করেন এবং সদস্যপদের অধীনে গবেষক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন [১] ১৯৮০ সালে তিনি দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্য হিসেবে যোগদান করেন [২] যেখানে তিনি অবসরের পূর্ব পর্যন্ত ফারসি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। [৭][১০] তার কর্মজীবনের সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতালীয় ছাত্রদের জন্য আধুনিক পাঠ্যক্রমের নিবিড় কোর্সের পরিচালক হিসেবে কাজ করেন [২] এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রোম লা স্যাপিয়েনজা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারকলিপিতে অবদান রাখেন। রেহানা খাতুন নিয়মিতভাবে নবীনসূচীতে যোগদানের মাধ্যমে ফারসি সাহিত্যে নিজেকে যুক্ত রাখেন। তিনি ১৯৭৮ সালে তেহরানে "বনযাদ-ই-ফারহান-ই-ইরান" আয়োজিত দুই মাসের দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে অংশ নেন এবং ১৯৯৫ সালে ইসফাহান বিশ্ববিদ্যালয়, ইরানে চার মাসের কোর্সে অংশ নেন।একাডেমিক স্যার কলেজ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া দ্বারা পরিচালিত কোর্সে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৮৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, নিউ দিল্লির ১৮ টি কোর্সে অংশ নেন। [২][৭]
অবস্থান
সম্পাদনাদিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি অনুষদের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রেহানা খাতুন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের DRS Programme এর Deputy Coordinator হিসেবে কাজ করেন [২] এবং গ্রন্থাগার উপকমিটি - গালিব ইনস্টিটিউট -২০১৪ এর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১১] তিনি দিল্লীর শিক্ষাবিদ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতিও নির্বাচিত হন এবং ২০০৭ ও ২০০৮ সালে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক সদস্য ছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি গালিব ইনস্টিটিউট , আমির খসরু সোসাইটি , উপমহাদেশের ফারসির বিশ্বকোষ এবং আঞ্জুমান তারিখি উর্দু এর সদস্যপদে ছিলেন।[১][৭]
পদক ও স্বীকৃতি
সম্পাদনারেহানা খাতুন ভারত সরকার কর্তৃক ২০১৪ সালে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত হন[১][৪][১২], তার পিতা ১৯৮৭ সালের পদ্মশ্রী পদকধারী নজির আহমদের পদকপ্রাপ্তির প্রায় সাতাশ বছর পর।[১][৯] এছাড়াও তিনি অন্যান্য পদক ও স্বীকৃতি লাভ করেন যার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য:
- মাওলানা মুহাম্মদ আলী জৌহর পদক - মাউলানা মুহাম্মাদ আলি জাউহার একাডেমি - ২০১২[১][১৩]
- স্যার সৈয়দ পদক - ২০১১[২]
- আল বিরুনী পদক - ইসলামী প্রজাতন্ত্রী ইরান সরকার - ২০১১[১][২]
- Presidential Award of Certificate of Honour by the President of India - ২০০৯[১][২][১৪]
- ফাখরুদ্দিন আলি আহমেদ গালিব পদক - গালিব ইনস্টিটিউট , নয়াদিল্লী - ২০০২[১][২]
- ক্যারিয়ার পদক - দস, New Delhi - ১৯৯৪-১৯৯৭ [২]
- সদস্যপদ - ইস্পাহান বিশ্ববিদ্যালয়, তেহরান [২]
- Research Scientist "A" - University Grants Commission, New Delhi - 1988
- Post-Doctoral Fellowship - University Grant Commission, New Delhi - 1980
- Senior Research Fellowship - University Grant Commission, New Delhi - 1977
- Ghalib Medal - 1969[১]
প্রকাশনা
সম্পাদনারেহানা খাতুন[১০]অভিধানতত্ত্ব, তুলনামূলক ভাষাবিদ্যা এবং ফার্সি ভাষা ও সাহিত্যের বিষয়ে ৩০ এর অধিকসংখ্যক বই লিখেছেন[১][৭][১০] তিনি Delhi: Past and Present: Focus on Persian Sources নামে একটি সূত্রগ্রন্থও লিখেছেন। [১০] তার উল্ল্যেখযোগ্য কিছু রচনা হল :[৭]
- রেহানা খাতুন (১৯৮৯)। Ahwal-o-Asar-i-Siraj-ud-Din Ali Khan-i-Arzu (উর্দু ভাষায়)। দিল্লী।
- রেহানা খাতুন (১৯৯১)। Muthmir (ফারসি ভাষায়)। পাকিস্তান: করাচী বিশ্ববিদ্যালয়।
- রেহানা খাতুন (১৯৯১)। Afazil-i-Khujand (উর্দু ভাষায়)। দিল্লী।
- রেহানা খাতুন (১৯৯৫)। Karnama-i-Nazir (উর্দু ভাষায়)। দিল্লি।
- রেহানা খাতুন (২০০১)। Irani ke man Deedam (ফারসি ভাষায়)। দিল্লি।
- রেহানা খাতুন (২০০১)। Majalla-i-Tahqeeqat-i-Farsi (ফারসি ভাষায়)। দিল্লি।
- রেহানা খাতুন (২০০৩)। Lughat-i-Shahjahani - Persian Urdu dictionary with Hindi pronunciation (ফারসি and উর্দু ভাষায়)। দিল্লি।
- রেহানা খাতুন। Sirajul Laughat-i-Khan-i-Arzu (ফারসি ভাষায়)। ৩ খণ্ড। তেহরান: Anjuman-i-Athar wa Mafakhir-i- Frahangi।
- রেহানা খাতুন (২০০৮)। Essays on Mirza Hargopal Tafta (উর্দু ভাষায়)। দিল্লি: গালিব ইনস্টিটিউট।
- রেহানা খাতুন (২০১০)। Shaikh-ut-Taefe (উর্দু ভাষায়)। দিল্লি।
- রেহানা খাতুন (২০১০)। Shree Raghunathji Mandir, Gulab Garh, Jammu (উর্দু ভাষায়)। দিল্লি।
- রেহানা খাতুন (২০১২)। Majmu’a-e-Maqalat-e-Farsi (ফারসি ভাষায়)। দিল্লি: ইরান সংস্কৃতি কেন্দ্র।
- রেহানা খাতুন (২০১৩)। Persian Literature in India। দিল্লি।
বইয়ের পাশাপাশি, রেহানা খাতুন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে কিছু নিবন্ধও প্রকাশ করেন। [১][২][১৫]। তিনি ডায়াবেটিসের উপর ড. সি. এল. আর্য লিখিত একটি চিকিৎসাবিষক গ্রন্থ এবং জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়ার প্রভাষক মকবুল লিখিত গল্পগ্রন্থ Mitti Se Heera কে হিন্দি থেকে উর্দুতে অনুবাদ করেন।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড ঢ ণ ত "AMU Network - Facebook"। AMU Network - Facebook। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ ড "Sir Syed awards"। Sir Syed Foundation। ২০১২। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "SS Foundation"। SS Foundation। ২০১২। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Padma Awards Announced"। Circular। Press Information Bureau, Government of India। ২৫ জানুয়ারি ২০১৪। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ "Rehana Khatoon"। YouTube video। ১৬ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Dudney"। Columbia University। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ "Bio"। Web profile। ২০১৪। ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Quote"। Farhang Foundation। ২০১৪। ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Nazir Ahmed"। Aligarh Movement। ২০১৪। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ "DU Beat"। DU Beat। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Ghalib Institute"। Ghalib Institute। ২০১৪। ১১ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Times of India"। Times of India। ২৯ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Maulana Muhammad Ali Jauhar Academy"। jauharacademy.org। Maulana Muhammad Ali Jauhar Academy। ২০১৩। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Certificate of Honour"। Two Circles। ৭ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Article" (পিডিএফ)। Amir Khusru Academic Society (AKSA)। ১৯৮৭। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- "Rehana Khatoon"। YouTube video। ১৬ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- "Civil Investiture Ceremony"। Veooz India। ৩১ মার্চ ২০১৪। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- "Prof Rehana Khatoon with Mr Ghyasi at Rashtrapati Bhavan"। Veooz India। ৩১ মার্চ ২০১৪। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪।