রুবি মায়ার্স

ভারতীয় অভিনেত্রী

রুবি ময়ারস (১৯০৭ - ১০ই অক্টোবর ১৯৮৩; তাঁর মঞ্চ নাম সুলোচনা দ্বারা বেশি পরিচিত) একজন বাগদাদী ইহুদি বংশে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ছিলেন।

সুলোচনা
১৯২০-এর দশকে রুবি মায়ার্স
জন্ম
রুবি মায়ার্স

১৯০৭
মৃত্যু১০ অক্টোবর ১৯৮৩(1983-10-10) (বয়স ৭৫–৭৬) [১]
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯২০–৮০

ইম্পেরিয়াল স্টুডিওজ-এর একটি চলচ্চিত্রে দিনশো বিলিমোরিয়ার সাথে জুটি বাঁধার মাধ্যমে তিনি উক্ত সময়ে চলচ্চিত্র জগতের সর্বাধিক বেতন প্রাপ্ত অভিনেত্রীতে পরিণত হয়েছিলেন। ১৯৩০ সালের মাঝামাঝি সময়ে, তিনি রুবি পিক্স নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা চালু করেছিলেন।[২]

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

রুবি মায়ার্স ১৯০৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির পুনেতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৩] নিবিড় সুন্দর এবং বাদামি চোখের অধিকারী রুবি সুলোচনা প্রথমদিকের ইউরেশীয় ভারতীয় চলচ্চিত্রের তারকাদের মধ্যে একজন ছিলেন এবং তিনি নিজের নাম নিজেই রেখেছিলেন।

পেশা সম্পাদনা

তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের প্রথম দিকের ইউরেশীয় নারী তারকাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। যখন কোহিনূর ফিল্ম কোম্পানির মোহন ভাবনানী তাঁর কাছে চলচ্চিত্রে কাজ করার বিষয়ে যোগাযোগ করতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি একজন টেলিফোন চালক হিসেবে কাজ করছিলেন। প্রস্তাবটি পেয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন; কারণ উক্ত সময়ে অভিনয় পেশাটি নারীদের জন্য বেশ অনিশ্চিত একটি পেশা হিসাবে বিবেচিত হতো। তবে ভাবনানী তাঁর প্রস্তাবে অবিচল ছিলেন এবং রুবি অভিনয় জগত সম্পর্কে কিছুই না জানা সত্ত্বেও অভিনয় জগতে প্রবেশ করতে রাজি হয়েছিলেন। তিনি ইম্পেরিয়াল ফিল্ম কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পূর্বে কোহিনূর ফিল্ম কোম্পানির ভাবনানীর নির্দেশনায় তারকা হয়ে উঠেছিলেন, যেখানে তিনি দেশের সর্বাধিক বেতন প্রাপ্ত চলচ্চিত্র তারকায় পরিণত হয়েছিলেন।

তাঁর অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে টাইপিস্ট গার্ল (১৯২৬), বলিদান (১৯২৭) এবং ওয়াইল্ডক্যাট অফ বোম্বে (১৯২৭) অন্যতম; যেখানে তিনি একজন মালী, পুলিশ, হায়দ্রাবাদি ভদ্রলোক, রাস্তার অনাথ শিশু, কলা বিক্রেতা এবং ইউরোপীয় স্বর্ণকেশী সহ আটটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[৪]

১৯২৮ - ১৯২৯ সালের মধ্যে, পরিচালক আর. এস. চৌধুরীর সাথে মাধুরী (১৯২৮), আনারকলি (১৯২৮) এবং ইন্দিরা বি. এ. (১৯২৯) নামে তিনটি ব্যাপক জনপ্রিয় নির্বাক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন। বাস্তবে তাঁর খ্যাতি এতটা প্রসারিত ছিল যে, যার প্রমাণ হচ্ছে যখন খাদি প্রদর্শনীর উদ্বোধনকারী মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর উপর একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছিল, তখন উক্ত চলচ্চিত্রের পাশাপাশি মাধুরী চলচ্চিত্র হতে তাঁর একটি নৃত্যও প্রদর্শিত হয়েছিল।

পুরস্কার সম্পাদনা

চলচ্চিত্র জগতে আজীবন অবদানের জন্য ১৯৭৩ সালে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার দাদা সাহেব ফালকে প্রদান করা হয়েছিল।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Ruby Myers, Sulochana - Biography ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে British Film Institute.
  2. Silent Screen Stars' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে India Heritage:Performing Arts:Cinema In India:Personalities:Silent Screen Stars.
  3. Queens of hearts The Tribune, 9 December 2007.
  4. Hansen, Kathryn (১৯৯৮)। "Stri Bhumika: Female Impersonators and Actresses on the Parsi Stage": 2299। জেস্টোর 4407133 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা