রাজসিক বিহার

মৃণাল হক নির্মিত ভাস্কর্য

রাজসিক বিহার (রাজসিক নামেও পরিচিত) মৃণাল হক হক নির্মিত একটি ঘোড়ার গাড়ির ভাস্কর্য।[১] এটি ঢাকার পরিবাগে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ ও মিন্টু রোডের সংযোগস্থলের সড়কদ্বীপে শেরাটন হোটেলের সামনে স্থাপন করা হয়। এটির মূল পটভূমি নবাব-জমিদারদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকা শহরের রাজসিক ভ্রমণ। ঢাকা নগরীর ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নগর কর্তৃপক্ষের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০০৮ সালের ১৯ জানুয়ারিতে ভাস্কর্যটি উম্মুক্ত করা হয়।[২][৩]

রাজসিক বিহার
শিল্পীমৃণাল হক
বছর১৯ জানুয়ারি, ২০০৮
বিষয়ঢাকার নবাব পরিবার
অবস্থানঢাকা
স্থানাঙ্ক২৩°৪৪′৩০″ উত্তর ৯০°২৩′৪৬″ পূর্ব / ২৩.৭৪১৫৭৯° উত্তর ৯০.৩৯৬১৫২° পূর্ব / 23.741579; 90.396152
মালিকঢাকা সিটি কর্পোরেশন

পটভূমি ও বর্ণনা সম্পাদনা

ঢাকার নবাব-জমিদাররা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যখন ভ্রমণে বের হতেন তখন তাদের গাড়িতে দ্রুতগতিসম্পন্ন দুটি ঘোড়া থাকত। তাদের গাড়ির নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে পথচারী ও অন্যান্য ঘোড়াগাড়ি ও বাহন একপাশে সরে দাঁড়াত। এ পটভূমিতে ঢাকা ভ্রমণের ঐতিহ্যকে প্রাধাণ্য ধরে মৃণাল হক ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেন। ভাস্কর্যে নবাব সলিমুল্লাহ স্ত্রী, ছেলে এবং পেয়াদাসহ এমনই এক বিহারে বেরিয়েছেন শহর দেখতে।[২][৪]

সম্পূর্ণ ভাস্কর্যটি সোনালী রঙে আবৃত। চার চাকার গাড়ির সম্মুখভাগ পরিবাগের দিকে এবং পিছনের দিকটি মিন্টু রোডের অভিমুখে। ভাস্কর্যে একজন কোচোয়ান বসে আছেন সামনে দুটি ঘোড়া নিয়ন্ত্রণ করছেন, গাড়ির ভিতরে নবার তার পরিবারের সাথে উপবিষ্ট এবং গাড়ির পেছেনে একজন দেহরক্ষী বন্দুক হাতে বসে আছেন। ভাস্কর্যের যাত্রিবাহী কেবিনের ডানপাশে একটি লন্ঠন দণ্ডায়মান আছে।[৫]

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মৃণাল হকের সৃষ্টিকর্ম"একুশে টিভি। ২০২০-০৮-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৭ 
  2. "ভাস্কর্য রাজসিক বিহার"কালের কণ্ঠ। ২০১৪-০৩-২৫। ২০১৭-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৭ 
  3. "রাজসিক বিহার"কালের কন্ঠ। ২০১২-০৯-০২। ২০২২-০৭-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৭ 
  4. কমল, এরশাদ (২০০৮-০৫-০৬)। "Mrinal Haque's "Protyasha" to be unveiled today"দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৪-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০৭ 
  5. ইসলাম, উদিসা (২০১৬-০২-২৮)। "রাজধানীজুড়ে 'আজব' সব ভাস্কর্য"বাংলা ট্রিবিউন। ২০২২-০৭-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা