রমেশ কৃষ্ণন (জন্ম ৫ই জুন ১৯৬১) হলেন ভারতের প্রাক্তন পেশাদার টেনিস খেলোয়াড় এবং একজন টেনিস প্রশিক্ষক।[১] ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে একজন জুনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে, তিনি উইম্বলডন এবং ফ্রেঞ্চ ওপেন উভয়েই একক শিরোপা জিতেছিলেন। তিনি ১৯৮০-এর দশকে তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিলেন। তিনি বিজয় অমৃতরাজের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের একজন সদস্য ছিলেন যেটি ১৯৮৭ সালে সুইডেনের বিরুদ্ধে ডেভিস কাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল। ১৯৮৯ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কৃষ্ণন তৎকালীন বিশ্বের এক নম্বর ম্যাটস উইল্যান্ডারকেও হারান। তিনি ২০০৭ সালে ভারতের ডেভিস কাপ অধিনায়ক হয়েছিলেন।
রমেশ কৃষ্ণন
রমানাথন কৃষ্ণান এবং রমেশ কৃষ্ণান, কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী ডঃ এম.এস. গিলের সঙ্গে, নতুন দিল্লি, ২৬শে নভেম্বর ২০০৯।
রমেশ কৃষ্ণন ভারতের মাদ্রাজে[২] জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি রমানাথন কৃষ্ণনের পুত্র। রমানাথন ১৯৬০-এর দশকে দুবার উইম্বলডনের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলেন। ১৯৭৯ সালে উইম্বলডন জুনিয়র শিরোপা জিতে রমেশ তাঁর বাবার একটি কৃতিত্বের সমান হয়েছিলেন। তিনি সেই বছর ফ্রেঞ্চ ওপেন জুনিয়র শিরোপাও জিতেছিলেন। এই দুই জয়কে একত্রে জুনিয়র চ্যানেল স্ল্যাম বলা হয়, এবং এই সময় তিনি বিশ্বের এক নম্বর জুনিয়র খেলোয়াড়ের মর্যাদা পেয়েছিলেন।
সিনিয়র স্তরে, রমেশ উইম্বলডনে একবার ( ১৯৮৬ ) এবং ইউএস ওপেনে দুবার ( ১৯৮১ এবং ১৯৮৭ ) কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিলেন। তিনি তাঁর ক্রীড়া শৈলী, পূর্বানুমান এবং অলরাউন্ড খেলার জন্য প্রশংসিত ছিলেন, কিন্তু তাঁর খেলায় কিলার (অভিঘাতী) স্ট্রোক বা শক্তিশালী সার্ভিসের অভাব থাকায় তিনি পুরুষদের খেলার একেবারে শীর্ষে পৌঁছাতে পারেন নি।
১৯৮৭ সালে ডেভিস কাপ ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া ভারতীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রমেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে, তিনি প্রথম একক ম্যাচে জন ফিটজেরাল্ডকে চার সেটে পরাজিত করেন এবং তারপরে নিষ্পত্তিমূলক পঞ্চম রাবারে ওয়ালি মাসুরকে সরাসরি পরাজিত করে ভারতকে ৩-২ ব্যবধানে জয় এনে দেন। কিন্তু, সুইডেনের বিপক্ষে ফাইনালে, ভারত ৫-০ ব্যবধানে পরাজিত হয়। সেখানে কৃষ্ণান দুটি একক ম্যাচে ম্যাটস উইল্যান্ডার এবং অ্যান্ডার্স জেরিডের কাছে হেরে যান, ভারতীয় দল একটি মাত্র সেট জিততে সক্ষম হয়। রমেশ ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ভারতের ডেভিস কাপ দলের একজন অদম্য খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি ২৯ - ২১ জয়ের রেকর্ড (একক ২৩-১৯ এবং ডাবলসে ৬-২) সংকলন করেছিলেন।[৩]
রমেশ ১৯৯৩ সালে পেশাদার খেলা থেকে অবসর নেন। তাঁর খেলোয়াড় জীবনে, তিনি আটটি শীর্ষ-স্তরের একক শিরোপা এবং একটি দ্বৈত শিরোপা জিতেছেন; তিনি চারটি চ্যালেঞ্জার একক শিরোপাও জিতেছিলেন (১৯৮৬ সালে শেনেকট্যাডি ফাইনালে কিশোর আন্দ্রে আগাসিকে পরাজিত করেন)। ১৯৮৫ সালের জানুয়ারিতে তাঁর জীবনের সর্বোচ্চ একক র্যাঙ্কিং ছিল বিশ্বের ২৩ নম্বরে।[৫]
১৯৯৮ সালে, রমেশ ভারতীয় টেনিসে তাঁর কৃতিত্ব এবং অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন।[৬]
প্রতিযোগিতায় জয়; বা ফাইনালে পৌঁছানো; সেমিফাইনাল; কোয়ার্টার-ফাইনাল; রাউন্ড ৪, ৩, ২, ১; রাউন্ড রবিন পর্যায়ে সম্পন্ন; বাছাইপর্বে হেরে যাওয়া; প্রতিযোগিতায় অনুপস্থিত; ডেভিস কাপের আঞ্চলিক বিভাগে খেলেছে (সঙ্গে তার সংখ্যা ইঙ্গিত করা হয়েছে) বা প্লে-অফ; ব্রোঞ্জ জয়, রৌপ্য (রৌ-এফ বা রৌ-এস) বা অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক; একটি ডাউনগ্রেডেড মাস্টার সিরিজ/১০০০ টুর্নামেন্ট (মাস্টার্স সিরিজ নয়); বা একটি প্রদত্ত বছরে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত না হওয়া।
বিভ্রান্তি এবং দুবার গণনা এড়ানোর জন্য, এই তালিকা একটি প্রতিযোগিতা শেষে, অথবা যখন প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ শেষ হয়েছে তখনই হালনাগাদ করা হয়।
১৯৮৭ - ভারতীয় দলের সদস্য, যাঁরা ডেভিস কাপের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন। (কৃষ্ণন সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নির্ধারক একক রাবার জিতেছিলেন। ফাইনালে সুইডেনের কাছে হেরে যায় ভারত। )
↑"Padma Awards"(পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৫। ১৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৫।