রফিকুল আলম
রফিকুল আলম (জন্ম: ৪ অক্টোবর, ১৯৫৭) ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। এছাড়াও আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যান হিসেবে তার যথেষ্ট খ্যাতি ছিল।
ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | - | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | - | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনা১৯৮০ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য মনোনীত হন। ১৯৮৬ সালে এশিয়া কাপ প্রতিযোগিতায় দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন তিনি। ৩১ মার্চ, ১৯৮৬ তারিখে মোরাতুয়ায় সামিউর রহমানের সাথে পাকিস্তানের বিপক্ষে তারও ওডিআই অভিষেক ঘটে। খেলায় তিনি ১৪ রান তুলেন।[১] এরপর ২ এপ্রিল, ১৯৮৬ তারিখে ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন। খেলায় তিনি ১০ রান তুলেছিলেন যা তার সর্বশেষ ওডিআই ছিল।[২]
আইসিসি ট্রফি
সম্পাদনাইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৮২ সালের দ্বিতীয় আইসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে ও জিম্বাবুয়ের কাছে পরাজিত হয়। সাত খেলার প্রত্যেকটিতে অংশ নিলেও দলে তেমন অবদান রাখতে পারেননি। সর্বমোট ৭৯ রান তুলেন। প্রথম খেলাতেই পশ্চিম আফ্রিকার বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ৩৩ রান তুলেন।
চার বছর পর ১৯৮৬ সালের ঐ প্রতিযোগিতায় নিজেকে কিছুটা মেলে ধরার চেষ্টা চালান। ২৭.০০ গড়ে ১৩৫ রান তুলেন। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। এছাড়াও ৫ উইকেট দখল করেন রফিকুল আলম।
অন্যান্য
সম্পাদনাবাংলাদেশে আগত বিভিন্ন বিদেশী দলের বিপক্ষে তার অংশগ্রহণ ছিল। তন্মধ্যে, জানুয়ারি, ১৯৮৬ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া ওমর কোরেশী একাদশের বিপক্ষে অংশ নেন। ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ১৯৯২ সালের এসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ অংশ নেন রফিকুল আলম।
মূল্যায়ন
সম্পাদনা৭০-এর দশক থেকে শুরু করে ৯০-এর দশকের শুরুর দিক পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেট অঙ্গনে অন্যতম ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনকারীর ভূমিকা পালন করেন। তবে এ ধারাবাহিকতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেখাতে ব্যর্থ হন। তাস্বত্ত্বেও অনেক ক্রিকেটবোদ্ধারা তাকে ৮০-এর দশকের অন্যতম সেরা বাংলাদেশী ক্রিকেটাররূপে বিবেচনায় এনে থাকেন।[৩]
অবসর
সম্পাদনাক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন রফিকুল আলম। ১৯৯০-এর দশকে তরুণদের জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যরূপে কাজ করেন। ক্লাব পর্যায়ের দলগুলোকে প্রশিক্ষণের দিকে নজর দেন। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকসহ ২০০০, ২০০১ ও ২০০২ সালে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সফলতম প্রধান কোচ ছিলেন। আগস্ট, ২০০৭ সালে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফারুক আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হন। ধানমণ্ডী ক্রিকেট একাডেমি গঠনের পর থেকে এর কোচিং পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন রফিকুল আলম।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Cricinfo Scorecard: Bangladesh vs. Pakistan (1986-03-31). Retrieved on 2007-08-23.
- ↑ Cricinfo Scorecard:Bangladesh v Sri Lanka (1986-04-02). Retrieved on 2008-04-21.
- ↑ [১]: Rafiqul Ameer."Looking Back: Bangladesh Cricket in the 80's". Retrieved on 2007-12-18.
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রফিকুল আলম (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে রফিকুল আলম (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)