যোগেশ চন্দর দেবেশ্বর

ভারতীয় ব্যবসায়ী

যোগেশ চন্দর দেবেশ্বর (৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭ – ১১ মে ২০১৯) একজন ভারতীয় ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি আইটিসি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি যে কোনো ভারতীয় কোম্পানির সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন।

যোগেশ চন্দর দেবেশ্বর
আইটিসি লিমিটেডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
কাজের মেয়াদ
১ জানুয়ারি ১৯৯৬ – ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
উত্তরসূরীসঞ্জীব পুরী
এয়ার ইন্ডিয়া চেয়ারম্যান ও এমডি
কাজের মেয়াদ
১৯৯১-১৯৯৪
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯৪৭-০২-০৪)৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭
লাহোর, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু১১ মে ২০১৯(2019-05-11) (বয়স ৭২)
জাতীয়তাভারত
বাসস্থানকলকাতা, ভারত
প্রাক্তন শিক্ষার্থীআইআইটি দিল্লি
পেশাব্যবসায়ী

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

১৯৪৭ সালের ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের, লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন যোগেশ চন্দর দেবেশ্বর।[১] তিনি ১৯৬৮ সালে ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান দিল্লি থেকে যন্ত্র প্রকৌশল স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[২] তিনি পরে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ছয় সপ্তাহের অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে যোগদান করেন।[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

যোগেশ চন্দর দেবেশ্বর ১৯৬৮ সালে আইটিসি লিমিটেডে যোগদান করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে প্রধান বোর্ড পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয় এবং ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান হয়।[৩] ২০১০ সালে দেবেশ্বরের আইটিসি - র প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা ছিল।[৪] পরে ২০১৭ সালে সংস্থার চিফ একজিকিউটিভ পদ থেকে সরে দাঁড়ান যোগেশচন্দ্র দেবেশ্বর।[৫]

তিনি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় বোর্ডের একজন পরিচালক হিসেবে ছিলেন , ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর কর্পোরেট গভর্নেন্সের সদস্য এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ অ্যাপ্লায়েড ইকোনমিক রিসার্চের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

দেভেশ্বর তাঁর মৃত্যুর সময় ভারতের দীর্ঘতম দায়িত্ব পালনকারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন।[৬] এবং তার কোম্পানির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতনের প্রায় তিনগুণ উপার্জন করেন।[৭] ২০১১ সালে জানা যায় যে তখন তাঁর বেতন ছিল ২৬ লক্ষ রুপি।[৮] ২০১৩ সালে হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ তাঁকে ভারতের সেরা পারফর্মিং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিশ্বের সপ্তম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়।[৯][১০] তিনি ২০০৫ - ২০০৬ সালে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১১] ২০১১ সালে দেভেশ্বরকে ভারতে তৃতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মভূষণে তাঁকে সম্মানিত করে তত্কালীন সরকার।[৮]

মৃত্যু সম্পাদনা

দেভেশ্বর ১১ মে ২০১৯ সালে মারা যায় এবং যদিও মৃত্যুর তাৎক্ষণিক তার মৃত্যু সঠিক কারণ জানতে পারে নি , তবে জানা গেছে কয়েক বছর আগে ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর।সেই থেকে অসুস্থ ছিলেন।[১২][১৩] মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Y.C. Deveshwar thinks ITC could be a model for running India's PSUs - Business Today"intoday.in। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৫ 
  2. Nayar, Lola (২৪ মার্চ ২০১৭)। "Yogesh Chander Deveshwar, ITC"Outlook। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৯ 
  3. Gupta, Indrajit & Surendar, T (2010) "Remaking Indian Tobacco Co.", Forbes.com, 30 June 2010, retrieved 31 July 2011
  4. Ghosal, Sutanuka (2011) "Inhouse talent preferred for ITC heir: Yogi Deveshwar", The Economic Times, 16 June 2011, retrieved 31 July 2011
  5. সংস্থা, সংবাদ। "প্রয়াত আইটিসি চেয়ারম্যান যোগেশচন্দ্র দেবেশ্বর"www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-০১ 
  6. Kalbag, Chaitanya (৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "From centre-half to referee"Business Today। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৫ 
  7. Indrajit Gupta & T. Surendar (৩০ জুন ২০১০)। "Remaking Indian Tobacco Co."Forbes। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৫ 
  8. "ITC chief Y C Deveshwar to pave way for successor by February 2017"The Economic TimesThe Times Group। ১৪ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৫ 
  9. Hansen, Morten T.; Herminia Ibarra; Urs Peyer (৩০ জানুয়ারি ২০১৩)। "The Best-Performing CEOs in the World"Harvard Business ReviewHarvard Business Publishingআইএসএসএন 0017-8012ওসিএলসি 1751795। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৫ 
  10. "Meet YC Deveshwar: The 7th Best Performing CEO in the World"Yahoo Finance IndiaYahoo। ২২ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৫ 
  11. "YC Deveshwar is new CII chief"The Economic Times। ১৮ মে ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০২০ 
  12. "ITC chairman YC Deveshwar passes away"The Economic Times। ১১ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১৯ 
  13. "Lost our husbands to tobacco let's fight it together, Mrs Deveshwar"Health news, Medibulletin (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা