যোগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
যোগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বা রামচন্দর (? - ২৭ মার্চ, ১৯১৩) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। বিপ্লবী অনুশীলন দলের সভ্য ছিলেন। শ্রীহট্টের একটি আশ্রমের অধিবাসী স্ত্রী-পুরুষদের উপর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য এস.ডি.ও. গর্ডন সাহেবকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা নিয়ে সাহেবের বাংলোয় যান যোগেন্দ্রনাথ। দুর্ভাগ্যক্রমে নিজের হাতেই বোমাটি ফেটে যাওয়ায় তিনি মারা যান।[১]
যোগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৭ মার্চ, ১৯১৩ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারতীয় পাকিস্তানি |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
জন্ম
সম্পাদনাযোগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর জন্ম নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলার দিয়ারা গ্রামে।।[২]
মৌলভীবাজার দুর্ঘটনা
সম্পাদনাসিলেটের বর্তমান মৌলভীবাজার জেলার অরুণাচল জগৎসী আশ্রমে সাধুদের ওপর পুলিসের অত্যাচার হয়েছিলো এবং এজন্য মহকুমা হাকিম গর্ডন সাহেব দায়ী ছিলেন। অনুশীলনের নেতারা গর্ডন সাহেবকে শাস্তি দেওয়ার জন্য যোগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, তারাপ্রসন্ন বল, ও অমৃতলাল সরকারকে পাঠান। যোগেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সাথে একটি বোমা ও পিস্তল ছিলো। কাটা তারের বেড়া পার হওয়ার সময় ঘোর অন্ধকার রাত্রে যোগেন্দ্র হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে বোমা ফাটে এবং নিজ বোমায় যোগেন্দ্র নিহত এবং অপর দুজন আহত হন। যোগেন্দ্রের দেহ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে, অপর দুজন অতি কষ্টে দলের কর্মী লালমোহন দে'র সাহায্যে পলায়ন করে ঢাকায় আসতে সক্ষম হন। যোগেন্দ্রের দেহ শনাক্ত করার জন্য সরকার ১৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৬১০, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ ক খ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ৭৮।