যোগীর ভবন
যোগীর ভবন বগুড়ার কাহালু উপজেলায় অবস্থিত একটি মন্দির। এটি প্রায় ৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়।
যোগীর ভবন | |
---|---|
![]() | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | বগুড়া জেলা |
অবস্থান | |
অবস্থান | কাহালু |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°৪৯′ উত্তর ৮৯°১৬′ পূর্ব / ২৪.৮১° উত্তর ৮৯.২৬° পূর্ব |
অবস্থানসম্পাদনা
কাহালু উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কি.মি. উত্তরে পাইকড় ইউনিয়নে এটি অবস্থিত। এর অবস্থান মহাস্থানগড় এর ১২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।[১][২][৩]
নামকরণসম্পাদনা
জনশ্রুতি আছে এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যোগী ও সাধু-সন্নাসীদের যাতায়াত ছিল বলে এ স্থানটির নামকরণ ‘‘যোগীর ভবন’’।[১]
বর্ণনাসম্পাদনা
জায়গাটি প্রায় আশি একর ভূমি জুড়ে বিস্তৃত। এর সমগ্র ভবনসমূহের এলাকা প্রাচীর বেষ্টিত এবং একটি বিভাজক দেওয়াল দ্বারা দুভাগে বিভক্ত। এখানে একটি আশ্রম, ০৪ টি মন্দির, কানচ কূপ, একটি ইঁদারা, ধর্মটঙ্গী এবং অগ্নিকুন্ড ঘর রয়েছে। চারটি মন্দিরের নাম হচ্ছে সর্বমঙ্গলা, দুর্গা, কালভৈরবী এবং গোরক্ষনাথ। এর মাঝে সর্বমঙ্গলা মন্দিরটি নকশাকৃত ইট ও পোড়ামাটির ফলক দ্বারা ব্যাপকভাবে অলঙ্কৃত। যোগীর ভবনের আশ্রম ও মন্দির নির্মানের তেমন কোন নির্দিস্ট তথ্য পাওয়া যায় না। তবে এখানকার বিভিন্ন দেয়ালের গায়ে লেখা থেকে অনুমান করা যায় যে এটি ৮৮৪ সালের দিকে নির্মিত হয়েছিল। জনশ্রুতি আছে জানা যায় বাংলার কিংবদন্তী নায়িকা বেহুলার মৃত স্বামী লক্ষ্ণীন্দর এখানকার কানচ কূপের পানির মাধ্যমে জীবন ফিরে পেয়েছিল।[১][২]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ "ঐতিহাসিক যোগীর ভবনের মন্দির" (Bengoli ভাষায়)। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "যোগীর ভবন - বাংলাপিডিয়া"।
- ↑ "ঐতিহাসিক যোগীর ভবনের মন্দির"। ২০১৭-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-২০।