মোহাম্মদ হোসেন খান

মোহাম্মদ হোসেন খান বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও কলামিস্ট ছিলেন।[১][২][৩][৪][৫]

মোহাম্মদ হোসেন খান
জন্ম১৪ আগস্ট ১৯৪০
আনোয়ারা উপজেলা, চট্টগ্রাম
মৃত্যু১৪ নভেম্বর ২০১৩(2013-11-14) (বয়স ৭৩)
শিক্ষাকাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ
ঢাকা আর্ট কলেজ
চট্টগ্রাম কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পিতা-মাতামোহাম্মদ ইসমাইল খান (বাবা)
ফাতেমা খানম (মা)

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

মোহাম্মদ হোসেন ১৯৪০ সালের ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ ইসমাইল খান ও মা এর নাম ফাতেমা খানম।

শিক্ষা জীবন সম্পাদনা

খান ১৯৫৬ সালে কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। তিনি ঢাকা আর্ট কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজেও পড়াশোনা করেছেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।

কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তমদ্দুন মজলিসের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করেন। ষাট এর দশকের শুরুতে ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। খান ১৯৬২ সালে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ দিবস পালন করতে গিয়ে মুসলিম ইন্সটিটিউট হলে সমাবেশ শেষ করে মিছিলের সময় ফেরদৌস আহমদ কোরাইশী, রশীদ আল ফারুকী, মোহাম্মদ নুরুল্লা, মুহসীনসহ গ্রেফতার হন। এরাই হলেন চট্টগ্রামে প্রথম ছাত্র রাজবন্দী।[৬] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ে তিনি সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছাত্র শক্তির কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকার আবুজর গিফারী কলেজে যোগ দিয়ে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সম্পাদক ও অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দৈনিক আজাদী পত্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি ইবনে সাজ্জাদ ছদ্মনামে বিরস রচনা নামে সাপ্তাহিক কলাম লিখেছেন। এছাড়া প্রতীতির পংক্তিমালা, কাঙ্গালের বাসিকথা তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। সুফিতত্ত্ব বাউল, দেহতত্ত্ব দর্শন ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের নিরলস গবেষক ছিলেন মোহাম্মদ হোসেন খান।

মৃত্যু সম্পাদনা

২০১৩ সালের ১৪নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা