মোহাম্মদ নাসির

বাংলাদেশী গীতিকার, সুরকার ও লোকশিল্পী

মোহাম্মদ নাসির (জন্ম: ১৯০২- মৃত্যু: ১৮ এপ্রিল, ১৯৭৯) একজন বাংলাদেশী গীতিকার, সুরকার ও লোকশিল্পী। তিনি চট্টগ্রামের মরমি ও আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি শিল্পী। কলকতার এইচএমভি থেকে জগন্ময় মিত্রের তত্ত্বাবধানে ১৯৩২ সালে মোহাম্মদ নাসিরের মাইজভাণ্ডারী ও আঞ্চলিক গানের রেকর্ড বের হয়।[১]

মোহাম্মদ নাসির
জন্ম১৯০২
মৃত্যু১৮ এপ্রিল ১৯৭৯(1979-04-18) (বয়স ৭৬–৭৭)
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
নাগরিকত্ববাংলাদেশি
পেশা
  • গীতিকার
  • লোকশিল্পী
পিতা-মাতা
  • আবদুল হামিদ (পিতা)
  • মাহতাবজান (মাতা)

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

মোহাম্মদ নাসির ১৯০২ সালে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার সরাইপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আবদুল হামিদ এবং মাতার নাম মাহতাবজান।

সঙ্গীতজীবন সম্পাদনা

গানের প্রতি নাসিরের ঝোঁক ছিল শৈশব থেকেই। গানের আসরের খবর পেলেই সেখানেই হাজির হতেন তিনি। গানের কারণে লেখাপড়াও বেশিদূর করেননি। লোকমান খাঁ সেরওয়ানি তাকে গান শেখার জন্য ওস্তাদ সালামত আলী দেওয়ানের কাছে নিয়ে যান। তবে তার আগেই নাসির উপমহাদেশের খ্যাতিমান সংগীতসাধক ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খরুর সান্নিধ্যে আসেন। তবে সঙ্গীতে তার হাতেখড়ি আর্য্য সংগীতের ওস্তাদ সুরেন্দ্র লাল দাশের হাতে।[১]

চাটগাঁইয়া গানের বিশ্বায়ন সম্পাদনা

মোহাম্মদ নাসির চট্টগ্রামের গানকে নিয়ে গেছেন উপমহাদেশীয় গণ্ডিতে। তার কণ্ঠেই প্রথম হিন্দুস্থান রেকর্ড থেকে চট্টগ্রামের গানের রেকর্ড বের হয়েছে।[২] ১৯৩২ সালে জগন্ময় মিত্রের তত্ত্বাবধানে কলকতার বিখ্যাত হিজ মাস্টার্স ভয়েজ (এইচএমভি) থেকে তার গ্রামোফোন রেকর্ড বের হয়েছিল। রেকর্ডকৃত গান দুটিই মাইজভাণ্ডারী গান, বাঁশী বাজে হৃদমন্দিরে কে বাঁশি ফুঁকেদয়াল ভাণ্ডারী তোরে চিনব কেমনে। দুই বছর পর এখান থেকেই তার কণ্ঠে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড প্রকাশিত হয়।আহমেদুল হক সিদ্দিকীর রচিত এবং মোহাম্মদ নাসিরের সুরে রেকর্ডকৃত গানটি হল চাঁন মুখে মধুর হাসি/দেবাইল্যা বানাইল মোরে সাম্পানর মাঝি, কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধারে সাম্পানওয়ালার ঘর

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "চাটগাঁইয়া গানের বিশ্বদর্শনের নায়ক মোহাম্মদ নাসির"। দৈনিক আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০১৫ খ্রিঃ  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. আবদুল, মান্নান (৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। "মোহাম্মদ নাসির আর আবু কাওয়ালের গান এখনো কানে বাজে"দৈনিক সমকাল। ২৭ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২০