মোহাম্মদ খালেদ হোসেন
মোহাম্মদ খালেদ হোসেন, (জন্ম: ১৯৭৯ - মৃত্যু: ২০ মে ২০১৩) যিনি সজল খালেদ নামে বেশি পরিচিত, এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে মৃত্যুবরণকারী প্রথম বাংলাদেশী৷[১] পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া এভারেস্ট জয় করে নামার পথে ৮,৬০০ মিটার উচ্চতায় ‘অজানা কারণে’ মারা যান তিনি৷[২] এর আগে হিমালয়ের মেরা পিক, চুলু ওয়েস্ট ও লান্সিসারি চূড়া জয় করেছিলেন তিনি।[৩]
মোহাম্মদ খালেদ হোসেন | |
---|---|
জন্ম | ১৯৭৯ |
মৃত্যু | ২০ মে ২০১৩ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশ |
অন্যান্য নাম | সজল খালেদ |
মাতৃশিক্ষায়তন | আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ |
পেশা | পর্বতারোহী, চলচ্চিত্র পরিচালক |
পরিচিতির কারণ | মাউন্ট এভারেস্ট জয় |
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সম্পাদনামোহাম্মদ খালেদ হোসেনের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের সিংপাড়া হাসারগাঁও গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মায়ের নাম সখিনা বেগম। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।[৪] তিনি আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ পড়াশোনা করেন; ১৯৯৩ সালে এসএসসি, ১৯৯৫ সালে এইচএসসি পাস করে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক এবং ফিল্ম স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনামোহাম্মদ খালেদ হোসেনের স্ত্রীর নাম তাহমিনা খান শৈলী। তাদের একমাত্র সন্তানের নাম সুস্মিত হোসেন।
কর্মজীবন
সম্পাদনাপর্বতারোহণ ছাড়াও মোহাম্মদ খালেদ হোসেনের পরিচালনায় ২০১৩ সালে কাজলের দিনরাত্রি নামে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে।[৫] সরকারি অনুদানের এ চলচ্চিত্রটি জনপ্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্প অবলম্বনে তৈরি।
পর্বত জয়
সম্পাদনাখালেদ, ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে বাংলাদেশ থেকে দ্বিতীয়বারের মত এভারেস্ট অভিযানে বের হয়ে, নেপালের সাউথ ফেস দিয়ে ২০ মে সকাল আনুমানিক ১০টায় এভারেস্ট জয় করেন।[৬] এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে তিব্বতের নর্থ ফেস ধরে এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন খালেদ হোসেন। সেবার তিনি উঠেছিলেন প্রায় ২৩,০০০ ফুট পর্যন্ত। কিন্তু ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ায় নেমে আসতে হয়েছিল।[৭]
এভারেস্টের চূড়ায় মৃত্যু
সম্পাদনাএভারেস্টের সর্বোচ্চ চূড়া (২৯,০৩৫ ফুট) জয় করে নেমে আসার পথে সাউথ সামিটে (উচ্চতা প্রায় ২৮,৭৫০ ফুট) পৌঁছার পর খালেদ হোসেন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। এ কারণে তিনি পা ফেলতে পারছিলেন না। ৮,৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থান কালে পর্বতারোহী খালেদ মারা যান।[৭]
অন্যান্য পর্বত জয়
সম্পাদনাখালেদ ২০০৬ সালে সিকিমের ফ্রে পর্বত, ২০০৯ সালে নেপালের মাকালু, ২০১০ সালে হিমালয়ের বাংলাদেশ-নেপাল ফ্রেন্ডশিপ পিক এবং ২০১১ সালে অন্নপূর্ণা রেঞ্জের সিংগুচুলি পর্বত জয় করেন।[৮]
প্রকাশিত বই
সম্পাদনা- পর্বতারোহণ নিয়ে এডমন্ড ভিস্টর্সেলের লেখা একটি বইও তিনি অনুবাদ করেছেন, যার নাম পর্বতের নেশায় অদম্য প্রাণ।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ঢাকা ট্রিবিউন"। ৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩।
- ↑ "পরিবর্তন ডট কম"। ৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩।
- ↑ "বিডিনিউজ২৪ ডট কম"। ৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩।
- ↑ "বাংলানিউজ২৪ ডট কম"। ৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩।
- ↑ দৈনিক কালের কন্ঠ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ দি ডেইলি স্টার
- ↑ ক খ "এভারেস্টে ঝরে গেল বাংলাদেশির প্রাণ"। প্রথম আলো। ২১ মে ২০১৩। ২০১৪-০৪-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৩।
- ↑ "Everest triumph ends in tragedy"। দি ডেইলি স্টার। ২২ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৩।