মোল্লা জিউন

ফকিহ । মুফাসসির

মোল্লা জিউন বা শায়খ আহমদ ইবনে আবি সাঈদ মোল্লা জিউন (আরবি: شیخ احمد بن ابی سعید ملا جيون ; জন্ম :১০৪৮ হি: - মৃ: ১১৩০ হি:) মোল্লা জিউন নামে তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় মুসলিম পণ্ডিত ; ফকিহ , মুফাসসির এবং তৎকালীন সময়ের একজন আলিমে দ্বীন (ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব)।[১]

মোল্লা জিউন
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১০৪৮ হিজরি
মৃত্যু১১৩০ হিজরি
ধর্মইসলাম
আখ্যাসুন্নী
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
প্রধান আগ্রহফিকহ

জন্ম ও বংশ সম্পাদনা

নাম আহমদ। পিতার নাম আবু সাঈদ। তার দাদার নাম আবদুল্লাহ। তিনি ১০৪৮ হিজরিতে ভারতের আমেঠি জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন।

জ্ঞানার্জন সম্পাদনা

সাত বছর বয়সে তিনি স্বীয় ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআন হিফজ ( সংরক্ষণের লক্ষ্যে মুখস্থ) করেন। জ্ঞানর্জনের জন্য তিনি ভারতের বিভিন্ন জেলায় সফর করেন। সেসময়ের জ্ঞানী-গুণী প্রজ্ঞাবান আলিমদের নিকট থেকে তিনি জ্ঞান অর্জন করেন। পাঠ্য ভুক্ত অধিকাংশ গ্রন্থ শায়খ মুহাম্মদ সাদেক তুর্কির নিকট অধ্যয়ন করেন। পরিশেষে তিনি কর্ম জীবননের শুরুতে নিজ জন্মভূমিতে অধ্যাপনা শুরু করেন।

স্মৃতিশক্তি সম্পাদনা

তিনি খুব মেধাবী ছিলেন। অতুলনীয় মধুর ছিল তার ব্যবহার। উঠাবসা কথাবার্তা চলাফেরায় তিনি ছিলেন অমায়িক স্বভাবের। নম্র ও ভদ্রতায় সমসাময়িক মহলে প্রশংসিত হতেন। কারো প্রতি তিনি কোন অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতেন না। পাঠ্যভুক্ত বই পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা অনায়াসে মুখস্থ করে ফেলতেন। আরবি, ফার্সিউর্দু ধর্মীয় ইসলামিক সুদীর্ঘ কবিতা তিনি একবার দেখে বা শুনে হুবহু মুখস্থ বলতে পারতেন।

হজব্রত পালন সম্পাদনা

মোল্লা জিউনের বয়স যখন ৫৫ বছর তখন তিনি হজব্রতে যান। দীর্ঘ সময় সেখানে তিনি অতিবাহিত করেন। ১১১২ হিজরিতে তিনি পুনরাই হারামাইন শরিফাইন (মক্কা-মদিনা) জিয়ারত করেন। এবারে তার মাতা পিতা উভয়ের পক্ষ থেকে দুটি বড় হজ্ব আদায় করেন। এ সময় তিনি অত্যন্ত যোগ্যতার সাথে বুখারিমুসলিম শরিফের দরস দেন।

রচনাবলি সম্পাদনা

মৃত্যু সম্পাদনা

তিনি ১১৩০ হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে আমেঠি নামক স্থানে তারই মাদরাসার এক পাশে তাকে দাফন করা হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. معجم المطبوعات العربية - اليان سركيس - ج 2 - الصفحة 1164
  2. التفسيرات الأحمدية في بيان الآيات الشرعية المكتبة الفرانية ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১৮-০৬-১৮ তারিখে