মোল্যা নজরুল ইসলাম

জিএমপি চতুর্থ পুলিশ কমিশনার

মোল্যা নজরুল ইসলাম (জন্ম ৩০ জুন ১৯৭৩) হলেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডিআইজি। ইতিপূর্বে তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ছিলেন। এ পদে যোগদানের পূর্বে তিনি ২০১৯ সালে নৌ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেন।[১]

মোল্যা নজরুল ইসলাম
জিএমপি’র চতুর্থ কমিশনার
কাজের মেয়াদ
১৩ জুলাই ২০২২ – ১ জুন ২০২৩
পূর্বসূরীখন্দকার লুৎফুল কবির
পূর্বসূরীমাহবুব আলম
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1973-06-30) ৩০ জুন ১৯৭৩ (বয়স ৫০)
নড়াইল
জাতীয়তাবাংলাদেশী
দাম্পত্য সঙ্গীসারমিন আক্তার (বি. ২০০২)
সন্তান
  • আবরার জায়েন
  • এলান্দ জিফান
জীবিকাপুলিশ কর্মকর্তা

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

নজরুল খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলার মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। ২০০১ সালে ২০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

নজরুল ২০০৭ সালে গাইবান্ধা জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০১২ সালে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি ডিবি) দায়িত্ব দেওয়া হয়।[৩] ২০১৫ সালে তাকে জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করা হয়। ২০১৬ সালে জয়পুরহাট মিশন শেষে মোল্যা নজরুলকে বিশেষ পুলিশ সুপার পদে অপরাধ তদন্ত বিভাগে নিয়ে আসা হয়। ২০১৯ সালে অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেক বিশেষায়িত ইউনিট নৌ পুলিশে। ২০২২ সালের ১৩ জুলাই তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন।[৪][৫]

সমালোচনা সম্পাদনা

মোল্লা নজরুল ঢাকা মহানগর (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ডিসি থাকা অবস্থায় এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন। তার বিরুদ্ধে ওই ব্যবসায়ীকে নির্যাতন করে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে এক কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।[৬] এ ঘটনার পর নড়াইল এলাকার সরকারদলীয় সাংসদ কবিরুল হক নিজস্ব প্যাডে মোল্লা নজরুলের নেতৃত্বে ঘুষ নেওয়ার লিখিত অভিযোগ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে।[৭] তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে অভিযোগপত্রের অনুলিপি দেন।[৮] অভিযোগকারী ব্যবসায়ী আবিদুল ইসলাম সাংসদ কবিরুল হকের আত্নীয়।[৯] ঘুষ কেলেঙ্কারির বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে পুলিশ বিভাগসহ সারাদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ডিসি নজরুলকে ওই পদ থেকে সরিয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।[১০]

২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর, মোল্লা নজরুল ইসলামকে বাদ দিয়ে মামলার অনুমোদন দেয় দুদক ও জানায়, “ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের সঙ্গে মোল্লা নজরুলের কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে আসামি করা হয়নি”।[১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "গাজীপুরে নতুন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল"www.dainikamadershomoy.com। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  2. ডেস্ক, পুলিশ নিউজ (১৩ জুলাই ২০২২)। "জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের যোগদান"news.police.gov.bd 
  3. প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ। "অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন মোল্যা নজরুল-মোস্তাকসহ ২০ কর্মকর্তা"bdnews24। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  4. "পুলিশের ২০ কর্মকর্তার পদোন্নোতিসহ বদলি"dbcnews.tv। ৩১ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  5. "পুলিশ কমিশনার এঁর জীবনালেখ্য"গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  6. "সহসাই শেষ হচ্ছে না মোল্লা নজরুলের দুর্নীতির অনুসন্ধান | আইটি | ঢাকা টাইমস"dhakatimes24.com। ১৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২২ 
  7. "ডিসি নজরুলের ঘুষ কেলেঙ্কারি: দুদকের অনুসন্ধানে ভিডিও ফুটেজ"banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-৩১ 
  8. "ঘুষের কোটি টাকা ফেরত দিয়েছেন মোল্লা নজরুল!"AjkerKhobor.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২২ 
  9. "মোল্লা নজরুলের ঘুষের প্রমাণ দুদকে"banglanews24.com। ২০১৩-০৬-২২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২২ 
  10. "দায়মুক্তি পেলেন ডিসি নজরুল"www.risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০২২