মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়

মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় হল বাংলাদেশের একটি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান[১]। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে মোবারকগঞ্জ চিনিকল লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
অবস্থান

,
৭৩৫০

তথ্য
বিদ্যালয়ের ধরনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৬৮
অবস্থাসক্রিয়
বিদ্যালয় বোর্ডমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর
বিদ্যালয় জেলাঝিনাইদহ
কর্তৃপক্ষমোবারকগঞ্জ চিনিকল কর্তৃপক্ষ
সেশনজানুয়ারি
অধ্যক্ষমোঃ শহীদুল আলম
শিক্ষকমণ্ডলী১৭ জন
শ্রেণীশিশু থেকে দশম
লিঙ্গছেলে, মেয়ে
শিক্ষার্থী সংখ্যা৬৫০ জন
বিদ্যালয়ের কার্যসময়৫ ঘণ্টা
ক্যাম্পাসের ধরনউপশহর
রং              
ক্রীড়াফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

ইতিহাস সম্পাদনা

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের নিয়মানুযায়ী প্রতিটা চিনিকলের কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য মিল কলোনীতে একটি করে বিদ্যালয় স্থাপিত হবে। তার ধারাবাহিকতায় ১৯৬৮ সালে অফিসার্স কলোনীর "সি" টাইপ বিল্ডিং এর কয়েকটি কক্ষ নিয়ে মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। এই বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষিকা মোসাঃ মারজিউন নেসা। প্রথম পর্যায়ে অল্প কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী নিয়ে এটি নিম্ন মাধ্যমিক শ্রেণীর কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে এটি মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নিত করা হয়। বিদ্যালয়টি ১৯৮০ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসাবে যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমান কালীগঞ্জ শহর হতে প্রায় ২ কি.মি. সুরে ১.৮৩ একর জমির উপর ১টি দ্বিতল ভবন এবং একটি ১তলা ভবন নিয়ে বিদ্যালয়টি অবস্থান করছে। [২]

শিক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনা

বর্তমান এই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত সুনামের সহিত পাঠদান করে হচ্ছে।


সহশিক্ষা কার্যক্রম সম্পাদনা

শিক্ষার পাশাপাশি এই বিদ্যালয়ে প্রতি বছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং বনভোজনের আয়োজন করে থাকে। এছাড়াও বিদ্যালয় কর্তৃক আন্তক্লাস ফুটবল এবং ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলা হয়ে থাকে।

পুরস্কার সম্পাদনা

২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি "উদ্দীপনা পুরস্কার" প্রাপ্ত হয়।

ছাত্র-ছাত্রী সম্পাদনা

বর্তমান প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক মিলে বিদ্যালয়ে ৬৫০জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়ন করছে।

ফলাফল সম্পাদনা

২০১০ সাল হতে শতভাগ পাশের হারসহ জিপিএ-৫ ও বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। পাবলিক পরীক্ষায় বিদ্যালয়টি প্রতিবছর প্রায়ই উপজেলা পর্যায়ে প্রথম ও জেলা পর্যায়ে ৪র্থ অথবা ৫ম স্থান অধিকার করে থাকে।২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ২৬ জন জিপিএ-৫ পাওয়ার রেকর্ড অর্জন করে।

ঐতিহ্য সম্পাদনা

২০১৭ সালে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের মহা-পূর্নমীলনীর আয়োজন করে যা ঝিনাইদহ জেলার সব থেকে বড় অনুষ্ঠান বলে বিবেচিত হয়।[৩] ২০২০ সালে ১০ ও ১১ জানুয়ারী ২য় বারের মত ২ দিন ব্যাপি মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ১৫০০ এর বেশি ছাত্র ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়"। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর কর্তৃক প্রদত্ত ওয়েবসাইট। 
  2. "মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়"। mail.jessore.info। ৩ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। মোবারকগঞ্জ চিনিকলের অধীনে পরিচালিত একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠ । 
  3. "মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মহা-পূর্নমীলনী অনুষ্ঠিত"যুগান্তর। ২৭ জানুয়ারী ২০১৭। 
  4. "মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী"লোকসমাজ। ১০ জানুয়ারী ২০২০। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]