মেঘনা গ্যাসক্ষেত্র
মেঘনা গ্যাসক্ষেত্র বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র।[১] এটি বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড-এর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান।[২]
মেঘনা গ্যাসক্ষেত্র | |
---|---|
দেশ | বাংলাদেশ |
অঞ্চল | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা |
সমুদ্রতীরাতিক্রান্ত/ডাঙাবর্তী | ডাঙাবর্তী |
পরিচালক | বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড |
ক্ষেত্রের ইতিহাস | |
আবিষ্কার | ১৯৯০ |
অবস্থান
সম্পাদনামেঘনা গ্যাসক্ষেত্রের অবস্থান চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায়,[১] যা রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে।[৩] এটি বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের উত্তরে মেঘনা প্লাবনভূমিতে অবস্থিত।[৪]
আবিষ্কার
সম্পাদনাপেট্রোবাংলা ১৯৯০ সালে এই গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে।[৩]
খনন ও কূপ
সম্পাদনাএখান হতে উল্লম্ব-পদ্ধতিতে খননকৃত ১০,০৬৯ ফুট গভীরতার একটি কূপের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন করা হয়, যেটির লং-স্ট্রিং ৯,৯১২ হতে ৯,৯৪৮ ফুট এবং শর্ট-স্ট্রিংসমূহ ৯,৬২৪ হতে ৯,৬৩৯ ফুট ও ৯,৭৪৪ হতে ৯,৭৬১ ফুট গভীরে অবস্থিত।[৫]
মজুদ ও উত্তোলন
সম্পাদনাএটি একটি মধ্যম আকৃতির গ্যাসক্ষেত্র।[৪] পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, এখানে মোট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ ১০১ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)।[৩] দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে ১৯৯৭ সাল থেকে এখান হতে গ্যাস উত্তোলন করা শুরু করা হলেও অত্যধিক পানি উৎপাদনের কারণে ২০০৭ সালের ১০ আগস্ট থেকে এক্ষেত্র থেকে গ্যাস উৎপাদন স্থগিত করা হয়;[৩] তবে পরবর্তীতে শর্ট স্ট্রিং দিয়ে গড়ে দৈনিক ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।[৬]
বর্তমান অবস্থা
সম্পাদনাবর্তমানে এই গ্যাসক্ষেত্রটিতে অবশিষ্ট আছে মাত্র ৩১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।[৭]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Bangladesh Gas Fields Company Limited"। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোং লি:, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : এক নজরে"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৪ জুলাই ২০১৯। ২৯ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ "বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোং লি:, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : মেঘনা গ্যাস ফিল্ড"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ৪ জুলাই ২০১৯। ২৯ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ বদরুল ইমাম (জানুয়ারি ২০০৩)। "প্রাকৃতিক গ্যাস : গ্যাসক্ষেত্র"। সিরাজুল ইসলাম। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "মেঘনা গ্যাস ফিল্ডের কূপসমূহ" (পিডিএফ)। ২৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "দেশে গ্যাস উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে তিতাস গ্যাসক্ষেত্র"। দৈনিক নয়াদিগন্ত। ১ মার্চ ২০১৮। ২৯ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "২০ বছরের মধ্যেই গ্যাস-সংকটের শঙ্কা"। বাংলা ট্রিবিউন। ২২ জুন ২০১৯। ২৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
বহি:সংযোগ
সম্পাদনা- মেঘনা গ্যাসক্ষেত্র ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ মে ২০২০ তারিখে - বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড, ব্রাহ্মণবাড়িয়া'এর তথ্য বাতায়নে।