মৃগেল

মৃগেল বা মিড়কা বা সির্হিনাস মৃগালা (বৈজ্ঞানিক নাম: Cirrhinus cirrhosus) হচ্ছে Cyprinidae পরিবারের Cirrhinus গণের মিষ্টি জলের কার্প জাতীয় মাছ।

মৃগেল Cirrhinus cirrhosus
সংরক্ষণ অবস্থা
সংকটাপন্ন  (আইইউসিএন ৩.১)
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ:	প্রাণী জগৎ
পর্ব:	কর্ডাটা
শ্রেণী:	Actinopterygii
বর্গ:	Cypriniformes
পরিবার:	Cyprinidae
গণ:	Cirrhinus
প্রজাতি:	C. cirrhosus
দ্বিপদী নাম
Cirrhinus cirrhosus (Bloch, 1795)
প্রতিশব্দ
Cirrhinus mrigala (F. Hamilton, 1822)

বর্ণনা

এদের দেহ লম্বা এবং গভীরতা মাথার দৈর্ঘ্যর তুলনায় বেশি। এই জাতের মাছ কাতলা এবং রুই মাছের মত।এদের দেহ সাইক্লয়েড আঁশের দ্বারা আবৃত থাকে। এদের মাথায় কোনো আঁশ থাকে না। এদের মুখ বড় হয়। বুকের পাখনা মাথার থেকে ছোটো হয়, পায়ুর পাখনা লেজের পাখনার থেকে বেশী প্রসারিত হয় না।সাধারণত এই মাছের পিছেনর দিকের রঙ গাড় ধূসর হয়, আর পাশের দিকে ও পেটের রঙ হয় রুপালি। এদের মুখের চোয়ালে কোনো দাঁত থাকে না।

বিস্তৃতি

মৃগেল মাছের উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ এশিয়া । এই মাছ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান মায়ানমার, নেপাল,লাওস এ পাওয়া যায়।

ভারত ও অন্যান্য দেশে এদের বিস্তার প্রচুর।

চাষ পদ্ধতি

মৃগেল মাছ পানির নিচের স্তরের খাবার খায়।যার ফলে এ মাছ পানির উপরের স্তরের মাছ কাতল এবং মধ্য স্তরের রুইমাছের সাথে খুব সহজেই চাষ করা যায়। এর ফলে খাবারের খরচ কম হয়। সাধারণত এরা ১-২ কেজি ওজনের হয়। কিন্ত সর্বোচ্চ এরা ১৩-১৪ কেজি পযন্ত হতে পারে।

খাদ্য

পানির নিচের স্তরের মাছ হওয়ায় এরা পানির নিচের কীটপতঙ্গ, শামুক ঝিনুক, শেওলা,ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্ভিদ ও প্রাণীকণা খেয়ে থাকে।তবে পুকুরে চাষের ক্ষেত্রে মৃগেল মাছকে আলাদা সম্পূরক খাবার দিতে হয়। ঠিকমতো সম্পূরক খাবার দিলে মাছ ৬ মাসের ভিতরে খাওয়ার ও বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়।

আরও দেখুন

• বাংলাদেশের মাছের তালিকা
• বাংলাদেশের স্বাদুপানির মাছের তালিকা
• বাংলাদেশের সংরক্ষিত মাছের তালিকা