মীনাক্ষী মুখার্জি

ভারতীয় রাজনীতিবিদ

মিনাক্ষী মুখার্জী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একজন বামপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বাংলার বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ। বর্তমানে মীনাক্ষী মুখার্জি সিপিআই(এম) দলের যুব সংগঠন ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক।[১] তার আগে তিনি এই সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মিনাক্ষী মুখার্জী বামফ্রন্ট প্রার্থী হিসাবে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েন।[২]

মিনাক্ষী মুখার্জী
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক, ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০২১
পূর্বসূরীসায়নদীপ মিত্র
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভানেত্রী, ভারতের গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন
কাজের মেয়াদ
২০১৮ – ২০২১
পূর্বসূরীসায়নদীপ মিত্র
উত্তরসূরীধ্রুবজ্যোতি সাহা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মকুলটি,বর্ধমান, পশ্চিমবঙ্গ
রাজনৈতিক দলভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)
শিক্ষারাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

মীনাক্ষী মুখার্জি বর্ধমানের কুলটিতে জন্মগ্রহন করেন। জলধী কুমারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর তিনি আসানসোলের বিবি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তারপরে মীনাক্ষী মুখার্জি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের মধ্য দিয়েই তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। তারপর গনতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর বর্তমানে তিনি এই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক। বর্তমানে তিনি বামপন্থী ছাত্র যুব ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের সাধারন মানুষের অত্যন্ত প্রিয় এক জননেত্রী।তার সহজ সরল ভাষার অসাধারন বক্তব্য সাধারন মানুষের কাছে ক্রমাগত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সংগঠনের যে কোনো কর্মসূচীতে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেন। পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষেও সামনের সারিতে থাকেন তিনি। নিজে আহত হয়েও তার সহকর্মীদের পুলিশের আঘাত থেকে রক্ষা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ন্যায় অধিকার ছিনিয়ে আনতে আন্দোলনে নেমে পুলিশের অত্যাচার সহ্য করেছেন এমনকি জেলও খেটেছেন।

৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ কোচবিহার থেকে পায়ে হেঁটে ২৫০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে কলকাতায় পৌঁছানো ‘ইনসাফ যাত্রা’র নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মিনাক্ষী মুখার্জী। ৫০ দিনে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার ওপর দিয়ে লাখ লাখ মানুষের সমর্থন নিয়ে কলকাতার যাদবপুরের ৮ বি বাসস্ট্যান্ডের জনসভার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে এই ‘ইনসাফ যাত্রা’র। তারপর ৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সালে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের ‘যৌবনের ডাকে জনগণের ব্রিগেড’ সমাবেশকে নেতৃত্ব দেন যা দলমত নির্বিশেষে এযাবৎকালের সমস্ত ব্রিগেড সমাবেশকে ছাপিয়ে যায়।

তথ্যসুত্র সম্পাদনা

  1. সংবাদদাতা, নিজস্ব। "DYFI: যুব সম্পাদক মীনাক্ষী"www.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-৩১ 
  2. "CPI(M) fields Minakshi Mukherjee against Mamata Banerjee, Suvendu Adhikari from Nandigram"The Economic Times। ২০২১-০৩-১০। আইএসএসএন 0013-0389। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-৩১