মিথিয়াস টুডু
মিথিয়াস টুডু (আনু. ১৯৩০[১] - ১০ জুলাই ২০১৭) আসাম রাজ্যের একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি গোসাইগাঁও থেকে আসাম বিধানসভার ৮ বার সদস্য ছিলেন। তিনি হিতেশ্বর শইকীয়া এবং তরুণ গগৈ মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীও ছিলেন।[২][৩][৪][৫][৬]
মিথিয়াস টুডু | |
---|---|
রাজস্ব মন্ত্রী, আসাম সরকার | |
কাজের মেয়াদ ৭ জুন ২০০২ - ২১ মে ২০০৬ | |
মুখ্যমন্ত্রী | তরুণ গগৈ |
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯১ - ১৯৯৬ | |
মুখ্যমন্ত্রী | হিতেশ্বর শইকীয়া |
আসাম বিধানসভার সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০১ - ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | তাজেন্দ্র নারজারি |
উত্তরসূরী | মাজেন্দ্র নারজারি |
সংসদীয় এলাকা | Gossaigaon |
কাজের মেয়াদ ১৯৫৭ - ১৯৯১ | |
পূর্বসূরী | Jatindra Narayan Das |
উত্তরসূরী | তাজেন্দ্র নারজারি |
সংসদীয় এলাকা | Gossaigaon |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
মৃত্যু | ১০ জুলাই ২০১৭ (৯২ বছর) শিলিগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | Independent |
দাম্পত্য সঙ্গী | Rahe Sakm (বি. ১৯৫৮) |
সন্তান | 4 |
পেশা | Politician |
শিক্ষা
সম্পাদনাটুডু সপ্তগ্রাম বেঙ্গলি হাইস্কুলে এবং গৌহাটির কটন কলেজে শিক্ষা লাভ করেন।[১] কটন কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর টুডু গ্রাহামপুর হাই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।[৭]
রাজনৈতিক পেশা
সম্পাদনাটুডু ১৯৫৭ সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে গোসাইগাঁওয়ের জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন। তিনি ৮,৩৬১ ভোট পেয়ে আসনটির বিধায়ক হন।[৮]
টুডু আবার ১৯৬২ সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে গোসাইগাঁও থেকে কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন। তিনি ৭,৩৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচনী এলাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।[৯]
১৯৬৭ সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে, টুডু আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন এবং ১৯,৩২৬ ভোট পান।
১৮৭২ সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন, তিনি ২২,২৪২, মোট ভোটের ৬৬.৩২% পেয়েছিলেন। তিনি তার নিকটতম প্রতিপক্ষকে ১৬,৫০৩ ভোটে পরাজিত করেন।[৫]
১৯৭৮ সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন, তিনি ১৪,৫৬২ ভোট পান, মোট ভোটের ৩৫.১৮% এবং তিনি তার নিকটতম প্রতিপক্ষকে ৫,১৯১ ভোটে পরাজিত করেন।[৫]
১৯৮৩ সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন, তিনি ১৬,১৪১ ভোট পান, মোট ভোটের ৪১.৭২%। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৭৫৭১ ভোটে পরাজিত করেন। তাকে হিতেশ্বর শইকীয়া মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী করা হয়েছিল।[২][৫]
১৯৮৫ সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন, ২১,৫৪৮ ভোট, মোট ভোটের ৩৯.৫২%। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ১৩,৭২২ ভোটে পরাজিত করেন।[৫]
১৯৯১ সালে, তিনি ২০,৯৭০ ভোট পেয়েছিলেন, মোট ভোটের ২৪.৯৮%। ৩৪ বছর ধরে বিধায়ক থাকার পর তিনি ৩৮,৩৩৯ ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজেন্দ্র নাজারির পরে দ্বিতীয় হয়েছেন।[৮]
১৯৯৬ সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে, টুডু আবার গোসাইগাঁওয়ে কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন। তিনি ১৯,৪১৮ ভোট পেয়েছেন, মোট ভোটের ২৭.০৪%। আবারও হেরে যান তাজেন্দ্র নাজারির কাছে।[৫]
২০০১ আসাম বিধানসভা নির্বাচনে, টুডু আবার কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন। তিনি ৬১,৫০৪ ভোট পান, মোট ভোটের ৫৪.৯২% এবং আবার গোসাইগাঁয়ের জন্য বিধায়ক হন। তাকে তরুণ গগৈ মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী করা হয়েছিল। তিনি ২০০৬ সালে পুনরায় নির্বাচন করতে চাননি এবং তার ছেলে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছিলেন কিন্তু হেরে যান।[৫]
ব্যক্তিগত জীবন এবং মৃত্যু
সম্পাদনাটুডু খেলাধুলা এবং পড়া উপভোগ করতেন। তিনি ১৯৫৮ সালে রাহে সাকমকে বিয়ে করেন এবং তাদের ১ ছেলে এবং ৩ মেয়ে ছিল। তার ছেলে, ক্রিসোস্টাম টুডু, ২০০৬ এবং ২০১১ সালে গোসাইগাঁও আসনের জন্য ব্যর্থ হয়েছিলেন।[১]
জুলাই ২০১৭ সালে টুডু গ্রাহামপুরে তার বাসভবনে স্ট্রোক করেন। এক সপ্তাহ পরে ১০ জুলাই ২০১৭ টুডু সোমবার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে শুভম প্রাইভেট নার্সিং হোমে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে মারা যান, একই দিন কংগ্রেস মন্ত্রী রামেশ্বর ধানোয়ার হিসাবে দুপুর ১২.৩০ টায়। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং বিরোধী দলের নেতা দেবব্রত সাইকিয়া উভয়েই শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, সোনোয়াল বলেছেন “টুডু এবং ধানোয়ার উভয়েই দীর্ঘ বছর ধরে জনপ্রতিনিধি ছিলেন এবং আসামের সামাজিক-রাজনৈতিক জীবনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী হিসেবে তাদের অবদান দীর্ঘকাল স্মরণ করা হবে।”[২] কোকরাঝাড় জেলার গোসাইগাঁও মহকুমার অধীনে তাঁর জন্মস্থান গ্রাহামপুরে তাঁর দেহ সমাধিস্থ করা হয়।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ Assembly, Assam (India) Legislature Legislative (১৯৭৮)। Assam Legislative Assembly Who's who (ইংরেজি ভাষায়)। Assam Legislative Assembly.।
- ↑ ক খ গ "Former Assam ministers Rameswar Dhanowar, Mithius Tudu pass away after prolonged illness"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১১।
- ↑ ক খ Desk, Sentinel Digital (২০১৭-০৭-১১)। "Former minister Mithius Tudu passes away - Sentinelassam"। www.sentinelassam.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১১।
- ↑ "26 kins of political leaders in Assam poll fray"। Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৩-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "Gossaigaon Assembly Constituency Election Result - Legislative Assembly Constituency"। resultuniversity.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১১।
- ↑ "Tudu ministership" (পিডিএফ)। shodhganga.inflibnet.ac.in/। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৫।
- ↑ "Veteran Congress leaders die"। www.telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-৩০।
- ↑ ক খ "🗳️ Mathias Tudu winner in Gossaigaon, Assam Assembly Elections 1957: LIVE Results & Latest News: Election Dates, Polling Schedule, Election Results & Live Election Updates"। LatestLY (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১২।
- ↑ "🗳️ Mathius Tudu, Gossaigaon Assembly Elections 1962 LIVE Results | Election Dates, Exit Polls, Leading Candidates & Parties | Latest News, Articles & Statistics | LatestLY.com"। LatestLY (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১২।