মিঠাপুকুর বড় মসজিদ

বাংলাদেশের মসজিদ

মিঠাপুকুর বড় মসজিদ (মিঠাপুকুর তিন কাতারের মসজিদ)[১] বাংলাদেশের রংপুর বিভাগে অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। এটি মূলত রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীন মসজিদ। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা[২] ধারণা করা হয় মোঘল আমলের শেষের দিকে তৈরি।

মিঠাপুকুর বড় মসজিদ
মিঠাপুকুর তিন কাতারের মসজিদ
ধর্ম
জেলারংপুর জেলা
অবস্থান
অবস্থানমিঠাপুকুর উপজেলা
দেশবাংলাদেশ

অবস্থান সম্পাদনা

রংপুর শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে ও রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের উপর অবস্থিত এই মসজিদ। রংপুর থেকে এখানে আসতে হলে আপনাকে প্রথমে বাস বা অটো রিক্সা করে গড়ের মাথা নামক জায়গায় আসতে হবে । এখানে আসার পর পশ্চিম দিকে যে রাস্তাটি চলে গেছে বিরামপুর ও দিনাজপুর সেই রাস্তা ধরে হেটে গেলে ৫ মিনিট আর যানবাহন যেমন রিক্সায় গেলে ২ মিনিটেই যেতে পারবেন মিঠা পুকুর বড় মসজিদে । রাস্তা থেকেই বাম দিকে বা দক্ষিণ দিকে তাকালেই দেখতে পারবেন এই সুন্দর মসজিদটি ।

মিঠাপুকুর নামক উপজেলা সদরে এ মসজিদটি অবস্থিত বলে একে মিঠাপুকুর বড় মসজিদ বলে ।

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সম্পাদনা

আয়তাকার তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের পরিমাপ ১০.৬৬ মিঃ। এ মসজিদের সম্মুখে প্রাচীরবেষ্টিত অঙ্গনের পূর্ব পাশের মধ্যবর্তী স্থানে বাংলাদেশের নিজস্ব স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের দোচালা পদ্ধতিতে নির্মিত অপূর্ব প্রবেশ তোরণ ও মসজিদের চার কোণে চারটি কর্ণার টাওয়ার যা ছাদের কিনারা থেকে বেশ ওপরে উঠে ছোট গম্বুজের মতো কিউপোলা আকারে শেষ হয়েছ। আয়তাকার মসজিদটি দুইটি ল্যাটারাল খিলানের সাহায্যে তিন ভাগে ভাগ করে ওপরে তিনটি অর্ধ গোলাকার গম্বুজ নির্মাণ করা হয়েছে।মসজিদের পূর্ব দেয়ালে তিনটি প্রবেশপথ এবং উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে মোট পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে। তিনটি মিহরাব,মসজিদের সম্মুখের দেয়াল,প্যারাপেট দেয়াল ও গম্বুজের ড্রামসমূহ সুন্দর প্যানেল, লতাপাতা, ফুল জ্যামিতিক নক্সা ও সাপের ফনাসদৃশ নক্সা দ্বারা অলংকৃত। মসজিদের সম্মুখের দেয়ালের শিলালিপি থেকে জানা যায় জনৈক শেখ মোহাম্মদ সাবেরের পুত্র শেখ মোহাম্মদ আছের কর্তৃক ১২২৬ হিজরীতে (১৮১০ খ্রিঃ) মসজিদটি নির্মিত।

 
মিঠাপুকুর বড় মসজিদের পার্শ্ব রাস্তা

বিবরণ সম্পাদনা

 
মিঠাপুকুর বড় মসজিদ এর অদুরে উত্তর দিক থেকে

পাকা সড়কে পশ্চিমে দীর্ঘ, প্রায় ২৫ একর আয়তনে একটি জলাশয় আছে। এটি প্রাক মুসলিম আমলে তৈরি তাতে সন্দেহ নেই। দিঘির নাম মিঠাপুকুর সেই নাম অনুসারে স্থানের নাম হয়েছে মিঠাপুকুর। এ মসজিদের চার কোনায় চারটি মিনার আছে। সেগুলি আট কোনাকার তৈরি। মিনারগুলি ছাদের কিছু উপর উঠে ছোট গম্বুজ শেষ। সামনের দেয়ালে তিনটি প্রবেশ প্তহ আছে। উত্ত্র-দকশিনে একটি করে। সামনের দেয়ালে কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথ। ভিতরে পশ্চিম দেয়ালে আছে তিনটি মেহরাব। মসজিদের ছাদের উপরে আছে তিনটি কন্দকারে নির্মিত তিনটি সুন্দর গম্বুজ।[৩]

চিত্রশালা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "রংপুর জেলা"www.rangpur.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-২৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "প্রত্নস্হলের তালিকা"বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরhttp://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬  |প্রকাশক= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)
  3. আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া লেখক; ঝিনুক প্রকাশনী; প্রশ্নোত্তরে বাঙলাদেশের প্রত্নকীর্তি (প্রথম খন্ড); ২০১০; পৃষ্ঠা- ১৩৪, ISBN 984- 70112-0112-0