মিজো সংস্কৃতি
মিজো জনগণের সংস্কৃতি খ্রিস্টধর্ম দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। ভারত, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে মিজোদের শিল্পকলা ও জীবনযাপন পদ্ধতিতে মিজো সংস্কৃতি নিহিত।
মিজো জনগণ
সম্পাদনামিজো জনগণ (মিজো : মিজো হ্নাম) হল উত্তর-পূর্ব ভারত, পশ্চিম বার্মা (মিয়ানমার) এবং পূর্ব বাংলাদেশের একটি জাতিগত গোষ্ঠী; মিজো জনগণ শব্দটি দিয়ে বেশ কয়েকটি জাতিগত মানুষজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যারা বিভিন্ন কুকি-চিন ভাষায় কথা বলে। যদিও মিজো শব্দটি প্রায়শই একটি সামগ্রিক জাতিসত্তার নাম দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে এটি বিভিন্ন গোষ্ঠী যেমন হমার, রাল্টে, লাই, লুসেই ইত্যাদিকে বোঝানোর জন্য একটি ছাতা শব্দ।[১]
মিজোরাম ভাষা
সম্পাদনামিজোরামের সরকারি ভাষা হলো মিজো এবং এর সঙ্গে ইংরেজিও সরকারি ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মিজো ভাষা, বা মিজো তাওং হল চীন-তিব্বতীয় ভাষার পরিবারের অন্তর্গত একটি ভাষা, যেটি ভারতের মিজোরাম রাজ্য এবং বার্মার চিন রাজ্যের মিজো জনগোষ্ঠীর স্থানীয়ভাবে কথ্য ভাষা।[২]
মিজো সাহিত্য
সম্পাদনামিজো সাহিত্য হল মিজো জনগণের প্রধান ভাষা মিজো তাওং- এ রচিত সাহিত্য, যেটির লিখিত এবং মৌখিক উভয় ঐতিহ্যই রয়েছে। ২০ শতকে এটির একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। ভাষাটি মূলত লুসাই ভাষা থেকে বিকশিত হয়েছে। তবে এর ওপর পাউই ভাষা, পাইতে ভাষা এবং হ্মার ভাষার উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে, বিশেষ করে সাহিত্য পর্যায়ে।[৩]
মিজো সঙ্গীত
সম্পাদনামিজো লোকসঙ্গীতে যখন গান গাওয়া হয়, তখন তার সঙ্গে থাকে ঐতিহ্যবাহী ড্রাম, কাঁসর এবং অন্যান্য দেশীয় ঘাতবাদ্য যন্ত্র।[৪]
মিজো লোকনৃত্য
সম্পাদনামিজো মানুষদের নিজেদের অনেকগুলি নৃত্য রয়েছে, যেগুলি প্রদর্শনের সময় কাঁসর এবং ড্রামের মতো কয়েকটি বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। মিজোরামের বিভিন্ন নৃত্য হল চেরাউ নৃত্য, খুউল্লাম, চেইহলাম, চাইলাম, ত্লাংলাম, সরলামকাই এবং চাওংলাইজাউন।[৫]
মিজো খাবার
সম্পাদনাউত্তর-পূর্ব ভারত এবং উত্তর ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের খাদ্য ব্যবস্থার সাথে মিজোরামের খাদ্যের অনেক মিল রয়েছে। বেশিরভাগ মিজো লোকের প্রধান খাদ্য হল ভাত, যার সাথে মাংস এবং শাকসবজি পরিবেশন করা হয়। তরকারির মধ্যে থাকে ঘরোয়াভাবে প্রস্তুত বাই থেকে শুরু করে সাধারণ উদ্ভিজ্জ স্টু, তিল, রসুন, পেঁয়াজ এবং ভেষজ সহ নন ভেজ স্টু।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ KHAWTINKHUMA, VANTHUAMA। "MEMORANDUM SUBMITTED TO HIS MAJESTY'S GOVERNMENT BY MIZO UNION"। ZOLENTHE.NET। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১২।
- ↑ Lalthangliana, B., 'Mizo tihin ṭawng a nei lo' tih kha ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে, see also Matisoff, 'Language names' section
- ↑ "Lalthangliana, B., 'Mizo tihin ṭawng a nei lo' tih kha"। ১৩ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ B. Thangliana, Mizo Literature, 1993, p.76
- ↑ Lianhmingthanga, F। Mizo Nun hlui। MBSE।
- ↑ Mizar, Shilpa (৩০ জুন ২০১০)। "Mizo by nature"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।