মিকি রুনি

মার্কিন অভিনেতা

মিকি রুনি (ইংরেজি: Mickey Rooney; জন্ম: ইয়োসেফ ইউল জুনিয়র, ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯২০ - ৬ এপ্রিল ২০১৪) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, প্রযোজক ও বেতার ব্যক্তিত্ব। নয় দশকের অধিক কর্মজীবনে তিনি তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তিনি নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের সর্বশেষ জীবিত তারকাদের একজন।[]

মিকি রুনি
Mickey Rooney
১৯৪৫ সালে রুনি
জন্ম
ইয়োসেফ ইউল জুনিয়র

(১৯২০-০৯-২৩)২৩ সেপ্টেম্বর ১৯২০
মৃত্যু৬ এপ্রিল ২০১৪(2014-04-06) (বয়স ৯৩)
স্টুডিও সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সমাধিহলিউড ফরেভার সেমেটারি, ক্যালিফোর্নিয়া
জাতীয়তামার্কিন
পেশাঅভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, প্রযোজক, বেতার ব্যক্তিত্ব
কর্মজীবন১৯২২-২০১৪

রুনি ১৯৩৯ থেকে ১৯৪১ সালে বক্স অফিসের শীর্ষ তারকা ছিলেন[] এবং সেই যুগের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতাদের একজন ছিলেন।[] এসময়ে তিনি বেবস ইন দ্য আর্মস (১৯৩৯) এবং দ্য হিউম্যান কমেডি (১৯৪৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। কিন্তু এরপর আর তার কর্মজীবনে এতো সমৃদ্ধি আসে নি। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সেনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন এবং দুই বছর মঞ্চ ও বেতার দুই মিলিয়নের অধিক সেনাদের বিনোদন প্রদান করেন এবং যুদ্ধাঞ্চলে তার অভিনয় পরিবেশনার জন্য তাকে ব্রোঞ্জ তারকা প্রদান করা হয়। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার পর তার বয়সের জন্য তিনি অল্প বয়স্ক অভিনেতা হিসেবে কাজ করার মত যোগ্য ছিলেন না আবার প্রাপ্ত বয়স্ক তারকা হিসেবে কাজ করার মত ততটা লম্বা ছিলেন না, ফলে তার মূল চরিত্রে কাজের সুযোগ কমে যেতে থাকে। পরবর্তীকালে তিনি দ্য বোল্ড অ্যান্ড দ্য ব্রেভ (১৯৫৬), ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিস (১৯৬১), রিকুয়েম ফর আ হেভিওয়েট (১৯৬২), ইটস আ ম্যাড, ম্যাড, ম্যাড, ম্যাড ওয়ার্ল্ড (১৯৬৩) এবং দ্য ব্ল্যাক স্ট্যালিয়ন (১৯৭৯) চলচ্চিত্রে পার্শ্ব ভূমিকায় অভিনয় করে পুনঃখ্যাতি অর্জন করেন। দ্য বোল্ড অ্যান্ড দ্য ব্রেভদ্য ব্ল্যাক স্ট্যালিয়ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে আরও দুটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে কাজ শুরু করেন এবং সুগার বেবিজ নাটকে কাজ করে আবার খ্যাতনামা তারকা হয়ে ওঠেন। রুনিকে শতাধিক টেলিভিশন নাটক, বিচিত্রানুষ্ঠান, আলাপচারিতা অনুষ্ঠানে দেখা যায়, এবং বিল (১৯৮১)-এ তার কাজের জন্য তিনি একটি এমি পুরস্কারগোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি তার পঞ্চাশ বছর চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার অর্জন করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বার, টাই (৭ এপ্রিল ২০১৪)। "Mickey Rooney, an enduring star - The Boston Globe"বোস্টন গ্লোব। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. জো সেলস, ন্যান্সি (৭ এপ্রিল ২০১৪)। "Mickey Rooney Blew Through Wives and Fortunes, but God, What a Talent!"ভ্যানিটি ফেয়ার। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. বম, গ্যারি; ফিনবার্গ, স্কট (২১ অক্টোবর ২০১৫)। "Tears and Terror: The Disturbing Final Years of Mickey Rooney"দ্য হলিউড রিপোর্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা