মাহমুদুল আমিন চৌধুরী
বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী (১৮ জুন ১৯৩৭ – ২২ ডিসেম্বর ২০১৯)[১] বাংলাদেশের একাদশ প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯৮৭ থেকে ২০০২ পর্যন্ত দীর্ঘ কাল তিনি বাংলাদেশের উচ্চ আদলতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তৎপূর্বে তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত তিনি আইনপেশায় নিযুক্ত ছিলেন।
মাননীয় প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী | |
---|---|
১১তম বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি | |
কাজের মেয়াদ ১ মার্চ ২০০১ – ১৭ জুন ২০০২ | |
পূর্বসূরী | বিচারপতি লতিফুর রহমান |
উত্তরসূরী | বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৮ জুন, ১৯৩৭ রনকেলী গ্রাম, গোলাপগঞ্জ, সিলেট জেলা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ঢাকা | (বয়স ৮২)
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
দাম্পত্য সঙ্গী | আয়শা সিদ্দিকা[১] |
সন্তান | এক ছেলে, দুই মেয়ে |
পেশা | আইন |
জীবিকা | আইনবিদ |
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
সম্পাদনামাহমুদুল আমিন চৌধুরীর জন্ম ১৮ জুন ১৯৩৭ সালে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার রনকেলী গ্রামে। তার পিতা আব্দুল গফুর চৌধুরী ছিলেন সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।[১][২]
শিক্ষাজীবন
সম্পাদনাবিচারপতি মাহমুদুল সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হতে মেট্রিকুলেশন এবং এমসি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর ঢাকা সিটি ল’কলেজ হতে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।[১][৩]
কর্মজীবন
সম্পাদনামাহমুদুল আমিন চৌধুরী ১৯৬৩ সালে আইনজীবী হিসেবে সিলেট জেলা বারে যোগ দেন। জানুযারী ১৯৭৫ সালে তিনি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে সরাসির নিয়োগ লাভ করেন। খুলনায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৭৯ সালে জেলা জজ পদমর্যাদায় পদোন্নতি লাভ করেন। জামালপুর জেলার প্রথম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি জীবনে তিনি ঢাকা, জামালপুর,ফরিদপুর ও চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দদায়িত্ব পালন করেছিলেন। চট্টগ্রামে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২৭ জানুয়ারি ১৯৮৭ সালে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং জুন ১৯৯৯ সালে আপীল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন।[১]
২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে বিচারপতি লতিফুর রহমানের অবসর গ্রহণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের ১১-তম প্রধান বিচারপতি হিসাবে মাহমুদুল আমিন চৌধুরীকে নিয়োগ প্রদান করেন এবং তিনি ২০০১ সালের ১ মার্চ তারিখে প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন ও ২০০২ সালের ১৭ জুন তারিখে ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন।[১][৪]
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এ ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ শুনানির জন্য যে ডিসিপ্লিনারি প্যানেল গঠন করে তার সভাপতি হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয় সাবেক বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরীকে।[৫][৬][৭]
মৃত্যু
সম্পাদনামাহমুদুল আমিন চৌধুরী ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[৮][৯]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ সিলেটের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর ইন্তেকাল | শেষ পাতা"। ittefaq। ২০১৯-১২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৩।
- ↑ "সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী আর নেই"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। ২০১৯-১২-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২৩।
- ↑ বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরীর জীবনী।
- ↑ প্যানেল প্রধান সাবেক বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী।
- ↑ "বিপিএলে স্পট ফিক্সিং: শুনানিতে প্রধান মাহমুদুল আমিন চৌধুরী"। ২০১৩-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-০৯।
- ↑ ম্যাচ ফিক্সিং শুনানিতে প্যানেল প্রধান হচ্ছেন মাহমুদুল আমিন চৌধুরী।
- ↑ "সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী আর নেই"। কালের কণ্ঠ। ২২ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী মারা গেছেন"। চ্যানেল ২৪। ২২ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০১৯।
বহি:সংযোগ
সম্পাদনা- বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি - বাংলাপিডিয়া হতে প্রাপ্ত নিবন্ধ।
- বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি যেভাবে নির্বাচন করা হয়।