মালয়েশীয় মালয়ালি

মালয়েশীয় মালয়ালি, মালয়ালী মালয়েশীয় নামেও পরিচিত, তারা মালয়ালি বংশোদ্ভূত ব্যক্তি যারা মালয়েশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিল বা কেরালার মালয়ালম ভাষী অঞ্চল থেকে মালয়েশিয়ায় অভিবাসী হয়েছিল। তারা দ্বিতীয় বৃহত্তম ভারতীয় জাতিগত গোষ্ঠী যা মালয়েশিয়ার ভারতীয় জনসংখ্যার প্রায় ১৫% গঠন করে। মালয়েশিয়ার মালয়ালী অভিবাসনের সিংহভাগ ব্রিটিশ রাজের সময় শুরু হয়েছিল, যখন ব্রিটেন ভারতীয় শ্রমিকদের বাগানে কাজ করার জন্য অভিবাসন সুবিধা দিয়েছিল কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ তামিলদের বিপরীতে মালয়ালীদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠকে অয়েল পাম এস্টেটে সুপারভাইজার (যাকে মন্দুর বলা হয়) হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। অয়েল পাম এস্টেট কাঙ্গানি পদ্ধতি অনুসরণ করে নিয়োগ করত। কেউ কেউ বাণিজ্য ও ছোট ব্যবসায় জড়িত ছিল যাদের উল্লেখযোগ্য অংশ মুদি দোকান বা রেস্তোরাঁ চালাতো। মালয়েশিয়ার মালয়ালি জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি মালয়েশিয়ার নাগরিক।

মালয়েশীয় মালয়ালি
മലേഷ്യൻ മലയാളികൾ
মালয়ালম সামাজিক মঞ্চ নাটক পরিবেশন করার পরে সেলাঙ্গরের মালায়ালি তরুণ-তরুণীরা (১৯৮২)
মোট জনসংখ্যা
আনুমানিক ৩৪৪,০০০ (≈ মালয়েশীয় ভারতীয়দের ১৫.৫%)[১][২]
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
 মালয়েশিয়া (উপদ্বীপীয় মালয়েশিয়া এর পশ্চিম উপকূল)
ভাষা
মালয়ালাম, তামিল, ইংরেজি, ও মালয়
ধর্ম
প্রধানত:
হিন্দুধর্ম
সংখ্যালঘু:
ইসলাম খ্রিস্টধর্ম
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী
মালয়ালি, মালয়েশীয় ভারতীয়, তামিল মালয়েশিয়ান, তেলুগু মালয়েশীয়, দ্রাবিড়ীয়

ইতিহাস সম্পাদনা

ঊনবিংশ শতাব্দীর পূর্বে সম্পাদনা

মালয় উপদ্বীপের লোকেরা চতুর্থ শতাব্দীর দিকে প্রধানত বাণিজ্যের মাধ্যমে দক্ষিণ ভারতের প্রভাব পেতে শুরু করে। যাইহোক, ১৫১১ সালে মালাক্কা দখলের সময় কোচিন থেকে ৮০০ পর্তুগিজ এবং ৬০০ মালাবারি যোদ্ধা সহ আলফোনসো দে আলবুকার্কের আগমন ছিল মালয় উপদ্বীপে মালায়ালিদের আগমনের প্রথম রেকর্ড।

১৭৮৬ সালে ফ্রান্সিস লাইট যখন পেনাং প্রতিষ্ঠা করেন, তখন মালাবারের বন্দী শ্রমিকদের দ্বারা অনেক উল্লেখযোগ্য সরকারী ভবন এবং রাস্তা নির্মিত হয়েছিল। সুতরাং, এই শ্রমিকদের অভিবাসনের ফলে পেনাং দ্বীপে কামপুং কাকা ও কামপুং মালাবারের মতো অঞ্চলগুলির অস্তিত্ব ঘটে। এছাড়াও, পেনাংয়ে অনেক ভারতীয় মুসলিম বণিক মালাবারি ছিলেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Project, Joshua। "Malayali, Malayalam in Malaysia"joshuaproject.net 
  2. "Unjuran Populasi Penduduk 2015"। ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৬। ২০১৬-০২-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।