মার্সেল মার্সো

ফরাসি মূকঅভিনেতা এবং অভিনেতা

মার্সেল মার্সো (ফরাসি: Marcel Marceau; জন্ম: মার্সেল মাঙ্গেল, ২২ মার্চ ১৯২৩ - ২২ সেপ্টেম্বর ২০০৭)[১] ছিলেন একজন ফরাসি অভিনেতা ও মূকাভিনেতা। তিনি তার মঞ্চ ব্যক্তিত্ব "বিপ দ্য ক্লাউন" চরিত্রের জন্য সর্বাধিক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি মূকাভিনয়কে "নৈঃশব্দের শিল্পকলা" বলে আখ্যায়িত করেন এবং ৬০ বছরের অধিক সময় বিশ্বব্যাপী পেশাদার মূকাভিনয় পরিবেশন করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তিনি ফরাসি রেজিস্টেন্সে কর্মরত ছিলেন[২] এবং ১৯৪৪ সালের আগস্ট মাসে প্যারিসের স্বাধীনতার পর ৩০০০ সৈন্যের সামনে বিশাল পরিসরে তার প্রথম পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। যুদ্ধের পর তিনি প্যারিসে নাট্যকলা ও মূকাভিনয় নিয়ে পড়াশোনা করেন।

মার্সেল মার্সো
Marcel Marceau
২০০৪ সালে ড্রেসডেনে মার্সো
জন্ম
মার্সেল মাঙ্গেল

(১৯২৩-০৩-২২)২২ মার্চ ১৯২৩
স্ত্রাসবুর্গ, ফ্রান্স
মৃত্যু২২ সেপ্টেম্বর ২০০৭(2007-09-22) (বয়স ৮৪)
কাওর, লত, ফ্রান্স
সমাধিপের লাশাইজ সেমেটারি
অন্যান্য নাম"ল্য মিম মার্সো"
মাতৃশিক্ষায়তনচার্লস ডালিন্স স্কুল অব ড্রামাটিক আর্ট
পেশাঅভিনেতা, মূকাভিনেতা
দাম্পত্য সঙ্গীউগ্যুয়েত মালেত (তালাক. ১৯৫৮)
এলা জারোজেভিচ (বি. ১৯৬৬)
অয়ান সিকো
(বি. ১৯৭৫; মৃ. ২০০৭)
সন্তান

১৯৫৯ সালে তিনি প্যারিসে নিজের পান্তোমিম স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই শিল্পকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচারের জন্য মার্সো ফাউন্ডেশন গঠন করেন। তার প্রাপ্ত বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননার মধ্যে রয়েছে ১৯৯৮ সালে লেজিওঁ দনরের গ্র্যান্ড অফিসার এবং ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল অর্ডার অব মেরিট। তিনি তার টেলিভিশন কর্মের জন্য একটি এমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি বার্লিনের একাডেমি অব ফাইন আর্টসের একজন নির্বাচিত সদস্য এবং জাপানে "জাতীয় সম্পদ" হিসেবে ঘোষিত। তিনি প্রায় ২০ বছর মাইকেল জ্যাকসনের বন্ধু ছিলেন, এবং জ্যাকসন বলেন তিনি নিজেও মার্সোর কিছু কৌশল তার নাচে ব্যবহার করতেন।[৩]

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

মার্সেল মাঙ্গেল ১৯২৩ সালের ২২শে মার্চ ফ্রান্সের স্ত্রাসবুর্গে[৪] এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শার্ল মাঙ্গেল ছিলেন একজন কসাই, তিনি পোল্যান্ডের বেজিনের বাসিন্দা ছিলেন। তার মাতা আন ভের্জবের্গ ইয়াবলুনিভে (বর্তমান ইউক্রেন) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার মায়ের পরিবার সূত্রে তিনি ইসরায়েলি গায়ক ইয়ার্দেনা আরাজির আত্মীয়। মাঙ্গেলের যখন চার বছর বয়স, তখন তার সপরিবারে লিল শহরে চলে যান, কিন্তু পরবর্তী কালে তারা পুনরায় স্ত্রাসবুর্গে ফিরে আসেন।

নাৎসি জার্মানি কর্তৃক ফ্রান্স আক্রমণকালে ষোল বছর বয়সী মার্সেল তার পরিবারকে নিয়ে লিমোগেসে পালিয়ে যান। তার এক ভাই গেয়র্গ লোঁগের তাকে ফরাসি রেজিস্টেন্সে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানায়। ১৯৪৪ সালে মাঙ্গেলের পিতা নাৎসি গোপন পুলিশ বাহিনী গেস্টাপোর কাছে ধরা পড়েন এবং তাকে আউসভিৎচ কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যায়, সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। মাঙ্গেলের মা বেঁচে যান।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Marcel Marceau | French mime"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯ 
  2. ব্লেকমোর, এরিন। "The French Resistance's Secret Weapon? The Mime Marcel Marceau"হিস্টরি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯ 
  3. কেকলাঁ, স্তেফান (২০০৯)। Michael Jackson - La chute de l'ange। আর্কিপেল।
  4. "কাল মূকাভিনয় সম্রাট 'মার্সেল মার্সো'র মৃত্যুবার্ষিকী"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা