মার্কো রয়েস
মার্কো রয়েস (জার্মান: Marco Reus; জন্ম: ৩১ মে ১৯৮৯) হলেন একজন পেশাদার জার্মান ফুটবলার। তিনি আক্রমণভাগের মিডফিল্ডার হিসেবে জার্মান ফুটবল ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে খেলেন। এছাড়া মার্কো জার্মান জাতীয় দলেরও একজন খেলোয়াড়। তিনি তার বহুমুখী নৈপুণ্য, গতি ও কৌশলের জন্য সুপরিচিত।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মার্কো রয়েস | ||||||||||||||||
জন্ম | ৩১ মে ১৯৮৯ | ||||||||||||||||
জন্ম স্থান | ডর্টমুন্ড, পশ্চিম জার্মানি | ||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮০ মি (৫ ফু ১১ ইঞ্চি) | ||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের মিডফিল্ডার / উইঙ্গার | ||||||||||||||||
ক্লাবের তথ্য | |||||||||||||||||
বর্তমান দল | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ||||||||||||||||
জার্সি নম্বর | ১১ | ||||||||||||||||
যুব পর্যায় | |||||||||||||||||
১৯৯৪–১৯৯৬ | পোস্ট এসভি ডর্টমুন্ড | ||||||||||||||||
১৯৯৬–২০০৬ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | ||||||||||||||
২০০৬–২০০৯ | রট উইস আহলেন | ৪৪ | (৫) | ||||||||||||||
২০০৯–২০১২ | বরুসিয়া মোনছেনগ্লাডবাচ | ৯৭ | (৩৬) | ||||||||||||||
২০১২– | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ২১৪ | (৯৯) | ||||||||||||||
জাতীয় দল‡ | |||||||||||||||||
২০০৯ | জার্মানি অনূর্ধ্ব-২১ | ২ | (০) | ||||||||||||||
২০১১– | জার্মানি | ৪৪ | (১৩) | ||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| |||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৬:০১, ২২ মে ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২০:৩৮ ১৩ অক্টোবর ২০১৯ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
মার্কো তার কর্মজীবন শুরু করেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে। তার তিনটি ক্লাবের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এর মধ্যে বরুসিয়া মুনশেনগ্লাদবাখ উল্লেখযোগ্য। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে মার্কো আক্রমণভাগের মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন। দুই পায়েই বল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতার কারণে তিনি ডান, বাম দুই পাশেই এবং মধ্যমাঠেও খেলতে সক্ষম। ২০১২ সাল তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল সময়কাল, এই মৌসুমে তিনি ১৮টি গোল করেছেন। এছাড়া মুনশেনগ্লাদবাখকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগে স্থান করে নিতে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ঐ মৌসুমের শেষে মার্কো বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে চলে যান। তিনি ১১ নম্বর জার্সি পরিধান করেন। এই জার্সিটি আগে মারিও গোটসা পরতেন, তিনি ক্লাব ছেড়ে যাবার সময় সেটি মার্কোকে দিয়ে যান। বেকেনবাওয়ার মার্কো সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, "ক্লাসিক খেলোয়াড় হিসেবে মার্কো ও গোটসার সমকক্ষ কেউ নেই।" ২০১৩ সালে ব্লুমবার্গ কর্তৃক মার্কো বিশ্বের চতুর্থ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
প্রারম্ভিক কর্মজীবন
সম্পাদনাজার্মানির ডর্টমুন্ডে মার্কো জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি তার শহরের স্থানীয় ফুটবল ক্লাব পোস্ট এসভি ডর্টমুন্ডের হয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে তরুণ খেলোয়াড় র্যাঙ্কিং-এ স্থান করে নেন।[২] রট ভিস অ্যাথলেন ক্লাবের অনূর্ধ্ব ১৯ দলে কচলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মার্কো বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে খেলেন। অ্যাথলেনের হয়ে তার প্রথম দুই ম্যাচেই তিনি গোল করেন। পরবর্তী বছরে অ্যাথলেনের প্রথম দলের হয়ে তিনি ১৪টি ম্যাচ খেলেন। মৌসুমের শেষে তিনি একটি গোল করেন যা তার ক্লাবকে বুন্দেসলিগার দ্বিতীয় পর্বে নিয়ে যায়।[৩] ২০০৮-০৯ সালে ১৯ বছর বয়সী মার্কো তার পেশাদার ফুটবলার জীবনের অভিষেক ঘটান। তিনি ২৭ ম্যাচে চারবার গোল করেন।[৪] ২০০৯ এর ২৫ মে তিনি বরুসিয়া মুনশেংলাদবাখের হয়ে চার বছরের জন্য চুক্তি করেন।[৫]
২০০৯ এর আগস্টে মার্কো তার বুন্দেসলিগার প্রথম গোলটি করেন মেইন্স-এর বিপক্ষে। প্রায় ৫০ মিটার দূরত্ব একাই অতিক্রম করে তিনি গোলটি করেন।[৬] তিনি তার ক্লাবের একজন নিয়মিত গোলদাতা হয়ে ওঠেন। ২০১১-১২ মৌসুমের শুরুতে মার্কো ১২ ম্যাচের ৭টিতে গোল করেন। গ্লাদবাখের সাথে তার চুক্তি ২০১৫ সালে শেষ হবার কথা। মার্কো বলেছেন তার আদর্শ ফুটবলার হলেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার টমাস রসিস্কি, যিনি ২০০৬ সালে আর্সেনালে যাওয়ার পূর্বে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ছয় বছর খেলেছেন।[৭]
আন্তর্জাতিক কর্মজীবন
সম্পাদনা২০০৯ এর আগস্টে তুরস্কের বিপক্ষে তার অনূর্ধ্ব-২১ দলে অভিষেক ঘটান।[৮] ২০১০ এর ৬ মে জাতীয় দল থেকে মাল্টার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে খেলার জন্য তিনি প্রথম ডাক পান।[৯][১০] ২০১০ এর ১১ মে তাকে প্রথম একাদশ থেকে পায়ে ব্যাখার কারণে বাদ দেয়া হয়।[১১] ২০১১ এর ৭ অক্টোবরে তিনি তুরস্কের জাতীয় দলের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচে খেলেন।[১২] ২০১২ সালের ২৬ মে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি জাতীয় দলের হয়ে প্রথম গোলটি করেন। এই ম্যাচে জার্মান দল ৫-৩ গোলে সুইজারল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়।[১৩] ২২ জুনে প্রথমবারের মত মার্কো উয়েফা ইউরো ২০১২-এর কোয়ার্টার ফাইনালে গ্রীসের বিপক্ষে গোল করেন।[১৪]
কর্মজীবন পরিসংখ্যান
সম্পাদনাআন্তর্জাতিক
সম্পাদনা- ২৩শে জুন ২০১৮ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।[১৫]
জার্মানি | ||
---|---|---|
বছর | উপস্থিতি | গোল |
২০১১ | ৩ | ০ |
২০১২ | ১০ | ৫ |
২০১৩ | ৬ | ২ |
২০১৪ | ৪ | ০ |
২০১৫ | ৪ | ২ |
২০১৬ | ২ | ০ |
২০১৮ | ৪ | ১ |
সর্বমোট | ৩৩ | ১০ |
ক্লাব
সম্পাদনা- ১২ই মে ২০১৮ [১৬] পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
ক্লাব | মৌসুম | লীগ | কাপ | মহাদেশীয় | অন্যান্য | সর্বমোট | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
রট উইস আহলেন | ২০০৭-০৮ | ১৭ | ১ | ০ | ০ | - | - | ১৭ | ১ | ||
২০০৮-০৯ | ২৭ | ৪ | ১ | ০ | - | - | ২৮ | ৪ | |||
সর্বমোট | ৪৪ | ৫ | ১ | ০ | – | – | ৪৫ | ৫ | |||
বরুসিয়া মোনছেনগ্লাডবাচ | ২০০৯-১০ | ৩৩ | ৮ | ২ | ০ | - | - | ৩৫ | ৮ | ||
২০১০-১১ | ৩৪ | ১১ | ৩ | ১ | - | - | ৩৭ | ১২ | |||
২০১১-১২ | ৩২ | ১৪ | ৫ | ৩ | - | - | ৩৭ | ২১ | |||
সর্বমোট | ৯৯ | ৩৭ | ১০ | ৪ | – | - | ১০৯ | ৪১ | |||
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ২০১২-১৩ | ৩২ | ১৪ | ৩ | ১ | ১৩ | ৪ | ১ | ০ | ৪৯ | ১৯ |
২০১৩-১৪ | ৩০ | ১৬ | ৪ | ০ | ৯ | ৫ | ১ | ২ | ৪৪ | ২৩ | |
২০১৪-১৫ | ২০ | ৭ | ৫ | ১ | ৪ | ৩ | ০ | ০ | ২৯ | ১১ | |
২০১৫-১৬ | ২৬ | ১২ | ৪ | ২ | ১৩ | ৯ | ০ | ০ | ৪৩ | ২৩ | |
২০১৬-১৭ | ১৭ | ৭ | ৩ | ২ | ৪ | ৪ | ০ | ০ | ২৪ | ১৩ | |
২০১৭-১৮ | ১১ | ৭ | ০ | ০ | ৪ | ০ | ০ | ০ | ১৫ | ৭ | |
সর্বমোট | ১৩৬ | ৬৩ | ১৯ | ৬ | ৪৭ | ২৫ | ২ | ২ | ২০৩ | ৯৬ | |
কর্মজীবন সর্বমোট | ২৮২ | ১০৭ | ৩০ | ১০ | ৪৭ | ২৫ | ৪ | ৩ | ৩৬৩ | ১৪৫ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Uersfeld, Stephan (২৩ আগস্ট ২০১২)। "Bundesliga Season Preview"। ESPN Soccernet। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১২।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Arango? Einfach ein Chiller..." (German ভাষায়)। Spox.com। ৯ এপ্রিল ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Reus, Marco" (German ভাষায়)। kicker.de। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Marco Reus nominiert" (German ভাষায়)। torfabrik.de। ৬ মে ২০১০। ১৬ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Gladbach: Marco Reus soll Nachfolger von Marko Marin werden" (German ভাষায়)। bundesligamannschaften.de। ৬ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Joker Reus krönt Solo aus der eigenen Hälfte" (German ভাষায়)। kicker.de। ২৮ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "The Good Life: 10 Facts On Dortmund Ace Marco Reus"। Goal.com। ১৫ এপ্রিল ২০১৩। ২৯ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Junioren-Europameister im Kader fürs Malta-Spiel" (German ভাষায়)। dfb.de। ৬ মে ২০১০। ৯ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Marco Reus im Aufgebot für Länderspiel gegen Malta" (German ভাষায়)। Borussia Mönchengladbach। ১০ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Aogo und Badstuber dabei, Enttäuschung bei Hitzlsperger" (German ভাষায়)। kicker.de। ৬ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Marco Reus sagt Löw ab" (German ভাষায়)। kicker.de। ১১ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Germany's perfect nine leaves Turkey clinging to play-off spot"। The Guardian। 7 October 2011। সংগ্রহের তারিখ 26 April 201। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Hat-trick by Eren Derdiyok sets up shock Switzerland win over Germany"। The Guardian। ২৭ মে ২০১২। ২১ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ Rostance, Tom (২২ জুন ২০১২)। "Germany 4–2 Greece"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ ন্যাশনাল-ফুটবল-টিমস.কমে মার্কো রয়েস (ইংরেজি)
- ↑ "Marco Reus"। ESPN Soccernet। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৩।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- প্রোফাইল - জার্মান জাতীয় দল (জার্মান)
- Marco Reus at transfermarkt.de (জার্মান)
- ন্যাশনাল-ফুটবল-টিমস.কমে মার্কো রয়েস (ইংরেজি)
- মার্কো রয়েস – ফিফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (ইংরেজি)
- মার্কো রয়েস – উয়েফা প্রতিযোগিতার রেকর্ড (আর্কাইভ) (ইংরেজি)
- এএসপিএন এফসি প্রোফাইল