মায়া সীতা
হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণের কিছু সংকলনে মায়া সীতা বা ছায়া সীতা (কাব্যের নায়িকা সীতার প্রতিরূপ) নামে এক কাল্পনিক চরিত্রের অবতারণা করা হয়েছে, যাকে লঙ্কাপতি রাক্ষসরাজ রাবণ আসল সীতার স্থলে হরণ করে নিয়ে গিয়েছিল।
মূল কাহিনীতে
সম্পাদনামূল রামায়ণের (বাল্মিকী রামায়ণ, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ থেকে পঞ্চম শতাব্দী) কাহিনী অনুসারে, রাবণ কর্তৃক অপহৃতা সীতাকে তার স্বামী শ্রীরামচন্দ্র (যিনি অযোধ্যার রাজা দশরথের পুত্র ও ভগবান বিষ্ণুর এক অবতার) উদ্ধার করেন। রামায়ণের কিছু অনুবাদ সংস্করণে (যেমন : কূর্মপুরাণ,মহাভারত, বিষ্ণু পুরাণ প্রভৃতি) উল্লিখিত হয় যে, রাবণ কর্তৃক সীতাহরণের পূর্বে অগ্নিদেব সীতার পবিত্রতা রক্ষার উদ্দেশ্যে মায়া সীতা সৃষ্টি করেন এবং আসল সীতাকে অগ্নির ভিতর গোপনে সুরক্ষিত রাখেন।অগ্নি পরীক্ষার সময়ে মানবী সীতা পুনরায় প্রকাশিত হন।
পরবর্তীকালের সংযোজন
সম্পাদনাকিছু গ্রন্থের মতে, মায়া সীতা অগ্নিপরীক্ষার মাধ্যমে নষ্ট হয়ে যান; আবার কিছু গ্রন্থ বর্ণনা করে যে, আশীর্বাদ প্রাপ্তির পর তার দ্রৌপদী বা দেবী পদ্মাবতীরূপে পুনর্জন্ম হয়েছিল। কিছু শাস্ত্র অনুসারে, মায়া সীতা পূর্বজন্মে বেদবতী ছিলেন, যাকে রাবণ উৎপীড়ন করার প্রয়াস করেছিল।
বিস্তারলাভ
সম্পাদনাদ্বাদশ শতাব্দীতে বৈষ্ণব ভক্তি আন্দোলনের সময়ে (যেমন: তুলসীদাস-এর রামচরিতমানস-এ) মায়া সীতা তত্ত্বটি আরও বিস্তারলাভ করে।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Camille Bulcke; Dineśvara Prasāda (2010). Rāmakathā and Other Essays. Vani Prakashan. p. 115. আইএসবিএন ৯৭৮-৯৩-৫০০০-১০৭-৩. Retri
অতিরিক্ত পাঠ
সম্পাদনা- ooks Doniger, Wendy (1999). "The Shadow Sita and the Phantom Helen". Splitting the Difference: Gender and Myth in Ancient Greece and India. University of Chicago Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-২২৬-১৫৬৪১-৫.
- Mani, Vettam (1975). Puranic Encyclopaedia: a Comprehensive Dictionary with Special Reference to the Epic and Puranic Literature. Delhi: Motilal Banarsidass Publishers. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৪২৬-০৮২২-০