মামা ভাগ্নে পাহাড়

মামা ভাগনে পাহাড় হল বীরভূম জেলার একমাত্র পাহাড়। এটি ছোট নাগপুর মালভূমির অন্তিম পূর্ব ভাগে অবস্থিত দুবরাজপুর শহরের নিকট অবস্থিত। এই পাহাড়টি মূলত 'গ্রানাইট' শিলা দ্বারা গঠিত। মামা ভাগ্নে পাহাড় বর্তমানে একটি পর্যটনের জায়গা হিসেবে সুবিদিত।[১]

পুরাণ ও ইতিহাস সম্পাদনা

 
মামা ভাগ্নে পাহাড়

এই পাহাড়ের আশে পাশে কোথাও পাহাড় বা টিলা না থাকলেও ব্যতিক্রমী ভাবে এই বিক্ষিপ্ত অনুচ্চ টিলা ও প্রস্তরররাজি বহু পুরাণকথার জন্ম দিয়েছে। রাম যখন সীতা উদ্ধারে লঙ্কা যাত্রা করেন তখন হিমালয় থেকে সেতু বন্ধের পাথর রথে করে আনা হচ্ছিল। সেসময় কিছু পাথর পড়ে 'মামা ভাগনে' পাহাড়ের সৃষ্টি এরকম কিংবদন্তি প্রচলিত আছে।[২] অপর একটি পৌরাণিক সূত্রে জামা যায় দেবতা বিশ্বকর্মা মহাদেব শিববের আদেশে দ্বিতীয় কাশী নির্মান করছিলেন এক রাত্রির মধ্যে। সেই সময় পড়ে যাওয়া পাথর থেকেই সৃষ্টি হয় মামা ভাগনে পাহাড়।

সংস্কৃতি সম্পাদনা

 
মামা ভাগ্নে পাহাড় ও শিলাখণ্ড

মামা ভাগনে পাহাড়, পাহাড়ের ওপর পাহাড়েশ্বর শ্মশানকালীমন্দির ও নিকটবর্তী হেতমপুর রাজবাড়ি কে কেন্দ্র করে বীরভূম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এই অঞ্চলে সত্যজিৎ রায়েঅভিযান (চলচ্চিত্র), গুপী গাইন বাঘা বাইনসন্দীপ রায়ের রবার্টসনের রুবি, গোঁসাইপুর সরগরম ইত্যাদি ছবির চলচ্চিত্রায়ন হয়েছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "কংক্রিটে মুখ ঢাকছে মামা-ভাগ্নের"। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. "রক্ষা করুন ইতিহাসকে"। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭