মাঙ্গনিয়ার
এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। |
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
মাঙ্গনিয়ার বা মাঙ্গনহার হল একটি মুসলিম সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায় ভারতের রাজস্থানের মরুভূমিতে বিশেষত বাড়মের এবং জয়সলমির জেলায় বসবাস করে।
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
অজানা | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
রাজস্থান, ভারত · সিন্ধু, পাকিস্তান | |
ভাষা | |
মারোয়াড়ি · সিন্ধি ধাট্টি (ধাতকি) | |
ধর্ম | |
ইসলাম, হিন্দু |
ইতিহাস
সম্পাদনামাঙ্গনিয়াররা থর মরুভূমি অঞ্চলের বিখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী, তাঁরা নিজেদের রাজপুত বংশজ বলে মনে করেন। তাঁদের সংগীত মরুভূমির বাচনিক ইতিহাসের একটি রূপ হিসেবে প্রজন্মন্তরে সঞ্চারিত হয়। চিরাচরিতভাবে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজপুত সম্প্রদায়েরা মাঙ্গনিয়ার শিল্পের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে, তাঁরা স্থানীয় ভাষায় যজমান নামে পরিচিত। অন্যদিকে প্রতিবেশী সিন্ধুপ্রদেশের মুসলিম রাজপুতেরাও একইভাবে তৎস্থানীয় লাংহা লোকসংগীতশিল্পীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে। রাজপুত পৃষ্ঠপোষকদের জন্য তুষ্ট করার নিমিত্তে অনেক সময় মাঙ্গনিয়াররা বিশেষভাবে রচিত প্রশংসাসূচক বহু সংগীত রচনা করেন ও রাজপুতদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন জন্মোৎসব, বিবাহ ইত্যাদিতে পরিবেশন করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ][সন্দেহপূর্ণ ] [ সন্দেহজনক ]
বর্তমান পরিস্থিতি
সম্পাদনা১৯৭৮ সালে, যোধপুরভিত্তিক সংগীতশিল্পী কোমল কোঠারি মাঙ্গনিয়ারদের প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা প্রদান করেন, তাদের প্রথমবারের মতো রাজস্থান রাজ্যের বাইরে গান গাওয়ার উৎসাহ দেন। বর্তমানে বেশ কিছু মাঙ্গনিয়ার গোষ্ঠী আন্তর্জাতিকভাবে সফর করছে।
বাদ্যযন্ত্র
সম্পাদনাকমাইচা
সতেরো তার বিশিষ্ট কমাইচা একটি নমিত বা ব্যাঁকা যন্ত্র। আমের কাঠ দিয়ে তৈরি হয় সাধারণত, এর গোলাকার অনুনাদক বা প্রান্ত ছাগলের চামড়া দিয়ে ঢাকা থাকে। এর তিনটি তার ছাগলের অন্ত্রের অংশ দিয়ে তৈরি হয় এবং বাকি চোদ্দটি তার ইস্পাতনির্মিত হয়ে থাকে।
খরতাল বা করতাল
খরতাল হল সেগুনের তৈরি এক ধরনের হাতে ধরা বাদ্যযন্ত্র। এর নামটি এসেছে "কর"থেকে যার অর্থ হাত এবং "তাল", যার অর্থ ছন্দ।
ঢোলক
ঢোলক হল একটি ঢোল বা ছোট মৃদঙ্গের মতো যা হিস্পানিক বাদ্যযন্ত্র বঙ্গোর মতো। ঢোলকের আবরণটি আলকাতরা, কাদামাটি এবং বালির মিশ্রণ (ঢোলক মসলা) যা ছন্দকে কম-বেশি করে।
প্রমুখ
সম্পাদনা• স্বরূপ খান, ভারতীয় বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী।