মহেন্দ্রনাথ রায়
মহেন্দ্রনাথ রায় (ইংরেজি: Mahendranath Roy) (? - ১৯৩০) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম শহীদ বিপ্লবী। বিপ্লবী দলে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিলো। মেছুয়াবাজার বোমার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বিচারে কয়েক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়, কিন্তু আপিলে ছাড়া পান। ১৯৩০ সালে আবার ধরা পড়েন এবং রাজস্থানের দেউলি বন্দী-শিবিরে পাঠানো হয়। এখানে নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে মারা যান।[১][২]
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/1/1b/%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC.jpg/220px-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%A5_%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC.jpg)
মেছুয়াবাজার বোমা মামলা
সম্পাদনামেছুয়াবাজার বোমার মামলার ঘটনা ঘটে ১৯১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে। এই মামলায় নিরঞ্জন সেনগুপ্ত, সতীশচন্দ্র পাকড়াশী, রমেশচন্দ্র বিশ্বাস, সুধাংশু দাসগুপ্ত, নিশাকান্ত রায়চৌধুরী, সুধীর কুমার আইল, দেবপ্রিয় চট্টোপাধ্যায়, শচীন্দ্রলাল করগুপ্ত, মুকুল রঞ্জন সেন, সুধাংশু মজুমদার, বিহারীলাল বিশ্বাস, মহেন্দ্রনাথ রায়, তারাপদ গুপ্ত, সত্যব্রত সেন, রবীন্দ্রনাথ বসু ও সুবোধ চক্রবর্তী সাত বৎসর ও পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। মুকুল সেন, শচীন্দ্রলাল করগুপ্ত, জগদীশ চট্টোপাধ্যায়, নির্মল দাস মুক্তি পান এবং এঁরা সকলেই তরুণ বিপ্লবী দলের সদস্য ছিলেন।[২]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৫৫৯, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ ক খ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৮৩-৮৪ ও ২৮৪।