মহাবিপন্ন
আইইউসিএন লাল তালিকায় মহাবিপন্ন অবস্থা দেখানো হয়েছে।
মহাবিপন্ন অবস্থা আইইউসিএন লাল তালিকায় বুনো প্রজাতিসমূহের জন্য সর্বোচ্চ বিপদগ্রস্ত অবস্থা। মহাবিপন্ন প্রজাতি বলতে বোঝায়- হয় প্রজাতিটি চরমভাবে বিলুপ্তির সম্মুখীন অথবা তিনটি প্রজন্মের মধ্যে প্রজাতিটির ৮০% বিলুপ্ত হয়েছে বা ভবিষ্যতে হবে। কোন একটি প্রজাতি মহাবিপন্ন কিনা তা মূলত পাঁচটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। এই পাঁচটি বিষয় প্রজাতিটির মহাবিপন্ন হওয়ার নির্ধারক। প্রজাতিটির মোট সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেলে, প্রজাতিটি খুব কম পরিমাণ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হলে, পূর্ণবয়স্ক প্রজননক্ষম নমুনার সংখ্যা ২৫০০টি অথবা ২৫০টিরও কম হলে অথবা প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি ধারণা করা হয় যে, আগামী পাঁচ প্রজন্মের মধ্যে বা ২০ বছর পরে (প্রজাতির আয়ুস্কালভেদে ১০০ বছর পরে) প্রজাতিটি বন্য পরিবেশে বিলুপ্ত হয় যাবে, তবে প্রজাতিটিকে মহাবিপন্ন ঘোষণা করা যাবে।[১]
সংরক্ষণ অবস্থা | |
---|---|
বিলুপ্ত | |
সংকট জনক | |
কম সংকট জনক | |
অন্যান্য শ্রেণী | |
| |
সম্পর্কিত বিষয় | |
উপরে রেড লিস্ট ক্লাসের তুলনা | |
যেহেতু বিস্তৃত আর পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান ব্যতীত লাল তালিকায় কোন প্রজাতিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় না, সেকারণে যেসব প্রজাতির অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে, কিন্তু এ ধরনের অনুসন্ধান চালানো হয়নি, তাদের মহাবিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এধরনের প্রজাতিগুলোকে সম্ভবত বিলুপ্ত নামের নতুন একটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল থেকে প্রস্তাবনা এসেছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "শ্রেণী ও মানদণ্ড (সংস্করণ ৩.১), আই ইউ সি এন লাল তালিকা"। ১৯ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৯।