কোনো জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তুর নিজস্ব মহাকর্ষের প্রভাবে সংঘটিত সঙ্কোচনই মহাকর্ষীয় পতন যা মহাকর্ষের কেন্দ্রের দিকে বস্তুটিকে সঙ্কুচিত করে। মহাকর্ষীয় পতন মহাবিশ্বের কাঠামো গঠনের একটি মৌলিক প্রক্রিয়া।সময়ের সাথে সাথে পদার্থের একটি প্রাথমিক, অপেক্ষাকৃত মসৃণ সংস্থান মহাকর্ষীয় পতনের মধ্য দিয়ে ক্রমোচ্চ শ্রেণিবিভাগে অপেক্ষাকৃত ঘন কাঠামো যেমনঃ ছায়াপথ, তারামন্ডল, নক্ষত্র এবং গ্রহ তৈরি করে।

একটি বিশাল তারার মহাকর্ষীয় পতনের ফলে উৎপন্ন একটি টাইপ II সুপারনোভা

মহাজাগতিক পদার্থের মেঘের মহাকর্ষীয় পতনের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে একটি তারকা জন্মগ্রহণ করে। এই পতনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় যতক্ষণ না তারার কেন্দ্রস্থলে থার্মোনিউক্লিয়ার ফিউশন ঘটে। এর পরে এই পতন ধিরে ধিরে থামতে থাকে যখন বহির্মূখী তাপমাতৃক চাপের প্রভাবে মহাকর্ষ শক্তি ভারসাম্য অর্জন করে। তারাটি তখন প্রগতিশীল সাম্যাবস্থায় থাকে। এর সমস্ত শক্তির উৎস শেষ হয়ে গেলে একটি তারা আবার নতুন করে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে যতক্ষণ না এটি নতুন সাম্যাবস্থায় পৌঁছায়।

আরো দেখুন সম্পাদনা

প্রাসঙ্গিক তথ্যপঞ্জি সম্পাদনা

  • Pilchin, Lev Eppelbaum, Izzy Kutasov, Arkady (2013). Applied geothermics (Aufl. 2014 ed.). Berlin, Heidelberg: Springer Berlin Heidelberg. p. 2. ISBN 9783642340239.