মসজিদে বিলাল

মসজিদে বিলাল (বিলাল মসজিদ) ভারতের কর্ণাটক-এর ব্যাঙ্গালোর-এর বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি। এটি ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে উদ্বোধন করা হয়। ১১ জুন ব্যানারঘাটা সড়কে তুর্কি ধাঁচে 'মসজিদ ঈদগাহ বিলাল' স্থাপন করা হয়। মসজিদটি শহরের দক্ষিণ অংশের একটি জনপ্রিয় রাস্তার ট্রাফিক মোড়ের কোণে অবস্থিত। প্রেস্টিজ গ্রুপ ডেভেলপাররা ২০১০ সালে নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল এবং সম্প্রতি শেষ হয়। তখন জনাব আলহাজ্ব হাবীব খান সাহেব ২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই কমিটির সভাপতি ছিলেন। ২০০,০০০,০০০ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মসজিদটি এক সাথে ৬,৫০০ লোকের নামাজ পড়ার জন্য জায়গা প্রদান করে। ব্যয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রেস্টিজ গ্রুপ দ্বারা অবদান ছিল।

মসজিদ-ই-বিলাল

চারতলা মসজিদটি ১.৪৫ একর বিলাল ঈদগাহের একটি অংশে নির্মিত হয়। ১৯৯০ সালে বেঙ্গালুরু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ১০,০০০,০০০ টাকা মূল্যে ঈদের জামাতের জন্য জমি কেনা হয়। স্থানীয় বিধায়ক এবং প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী এবং কর্ণাটকের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামালিঙ্গা রেড্ডি সম্প্রদায়কে জায়গাটি অধিগ্রহণে সহায়তা করেছিলেন।

বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব আশরাফ সাহেব ও সেক্রেটারি আলহাজ্ব ফাইয়াজ সাহেব ইসলামিক ভয়েসকে বলেন, মসজিদটি প্রায় ৪২,০০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে রয়েছে। ঈদগাহ মাঠে প্রায় ৫০০ গাড়ির পার্কিংয়ের জায়গা রয়েছে। হযরত মাওলানা মোহাম্মদ শাকিরুল্লা সাহেব মসজিদের ইমাম ও খতিব। অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাওলানা কাসিম কোরেশী।

ঘটনা

• ২০১৫ সালে ঈদের নামাজ একটি গণজামাত অনুষ্ঠিত হয়, স্থানীয় প্রশাসন দ্বারা এক কিলোমিটারের মধ্যে সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
• ২০১৬ সালে জন জনহিতৈষী জনাব জাফুরাল্লার দ্বারা একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং ইমামের নির্দেশনায় ২৫ থেকে ৩০টি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
• ২০১৬ সালের নিকাহ অনুষ্ঠানগুলি জোহর (বিকাল), আসর (সন্ধ্যা) এবং মাগরিব (সন্ধ্যা) নামাজের পরে নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয়রা তাদের বন্ধু এবং সহকর্মীদের নিকাহ একটি গর্বের মুহূর্ত হিসাবে এখানে পরিচালনা করেছে বলে মনে করে।