মরিয়নি রেলওয়ে জংশন
মরিয়নি রেলওয়ে জংশন হচ্ছে যোরহাট জেলায় অবস্থিত একটা গুরুত্বপূৰ্ণ রেল জংশন।
মরিয়নি | |
---|---|
ভারতীয় রেল জংচন | |
অবস্থান | ধোদর আলি, মরিয়নি, অসম ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৬°৩৯′১১″ উত্তর ৯৪°১৮′৩২″ পূর্ব / ২৬.৬৫৩° উত্তর ৯৪.৩০৯° পূর্ব |
উচ্চতা | ১১৭ মিটার (৩৮৪ ফু) |
মালিকানাধীন | ভারতীয় ৰেল |
পরিচালিত | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে |
লাইন | লামডিং-ডিব্ৰুগড় শাখা ফরকাটিং-যোরহাট-মরিয়নি শাখাপথ |
প্ল্যাটফর্ম | ৪টা |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | ভূমির ওপরে, মানক |
পার্কিং | আছে |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | কাৰ্য্যরত |
স্টেশন কোড | MXN |
বিভাগ | তিনসুকীয়া |
অবস্থান | |
ইতিহাস
সম্পাদনামরিয়নিকে রেলসেবা স্পৰ্শ করার পর কাটনীবাড়ি অঞ্চলে ইংরেজরা একটি জংশন স্থাপন করেন। প্ৰধানত ককিলামুখের জাহাজঘাটে চা-পাতা তোলার উদ্দেশ্যে এই জংশনটি স্থাপন করা হয়েছিল। পরবৰ্তীকালে বৰ্তমান স্থানে আনা হয়।[১] ১৮৮৫ সালে যোরহাট প্ৰভিন্সিয়াল রেল লাইনটি খোলার পর মরিয়নি রেল জংশনে রূপান্তরিত হয়।[২] তখনকার হাবিতলীয়া মরিয়নিকে মূল রেলপথ ও ফরকাটিং-মরিয়নি বাঞ্চ লাইনে যুক্ত হওয়ার পর ১৯৩৮ সালে মরিয়নিতে একটা লোকো শেড স্থাপন করা হয়। কিন্তু কোনো কারণে উক্ত লোলোকো শেডটি কিছু বছর পর বন্ধ হয়ে যায় এববং স্থানটি পুনরায় হাবি ঘিরে ধরে। জনৈক ‘পাঠেক’ উপাধির একজন জ্যেষ্ঠ রেলওয়ে পরিদৰ্শক মরিয়নি পরিদৰ্শনের উদ্দেশ্যে আসাতে হাবির মধ্যে লুকিয়ে পড়া শেডটি দেখেন এবং এর সম্প্ৰসারণের জন্য পরামৰ্শ দেন। ফলে ১৯৪৪ সালে যোরহাট প্ৰভিঞ্চিয়াল রেলওয়ের (জে.পি.আর) ওয়ার্কশপটি মরিয়নিতে তুলে আনা হয়। সেই বছরেই সৈন্যবাহিনী (১৩১-আই.আর.এম.সি) মরিয়নির সুবৃহৎ লোকো শেডটি নিৰ্মাণ করে ফেলে। ১৯৪৮ সালে ফরকাটিঙের লোকো শেডটিও চোদ্দটি বাষ্পীয় ইঞ্জিনের সাথে মরিয়নিতে তুলে আনা হয়। এর আগে এতে চারটা সাণ্টার ইঞ্জিন ছিল।[১] সৰ্বমোট ১৮টারও অধিক ইঞ্জিনের হিচ্হিচনী ও উকির শব্দ রেল নগরীটিকে অহৰ্নিশ মুখরিত করে তোলে। লোকোশেড স্থাপন করার পর মরিয়নিতে স্থাপিত হয় রেলওয়ের গুরুত্বপূৰ্ণ কয়েকটি বিভাগ। ট্ৰাফিক, ক্যারেজ, ট্ৰেইন লাইটিং, ট্ৰেইন ক্লিনিং, দুটি করে অগ্নি নির্বাপক কেন্দ্ৰ, পাওয়ার হাউস, ফিল্টার হাউস, ফিল্টার হাউস, উন্নত চিকিৎসালয়, টেলিফোন কাৰ্যালয় ইত্যাদিতে নিয়োজিত কয়েক হাজার রেলকৰ্মচারীর আবাসিক এলাকারূপে প্ৰায় দশটি রেলওয়ে কলোনি গড়ে ওঠে।[১]
বৰ্তমান
সম্পাদনাব্যয় বহুলতা ও উৎপাদনহীনতার জন্য ১৯৯৭ সালের ২৮ ফেব্ৰুয়ারিতে তিনসুকীয়া রেলওয়ে ডিভিজনের বৃহত্তম লোকো শেড – মরিয়নি লোকো শেডটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এই জংশনের মাধ্যমে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রেল চলাচল করে। রাজধানী এক্সপ্ৰেস, ব্ৰহ্মপুত্ৰ মেইল, কামরূপ এক্সপ্ৰেসের মত কয়েকটি গুরুত্বপূৰ্ণ রেল এতে থাকে।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ মনোজ কুমার শৰ্মা, সম্পাদক: মুকুল বরা (২০০৬ সাল)। "রেল নগরী মরিয়নি অতীত আরু বৰ্তমান"। জ্যোতিদৰ্পণ, যোরহাট জিলা মাধ্যমিক শিক্ষক আরু কৰ্মচারী সন্থা (চতুৰ্থ প্ৰকাশ): ৪৬,৪৭,৪৮ পৃষ্ঠা। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ প্ৰীতম কুমার শইকীয়া, সম্পাদক: মুকুল বরা (২০০৬ সাল)। "ইতিহাসর বুকুত মরিয়নির জন্ম পত্ৰিকা বিচারি"। জ্যোতিদৰ্পণ, যোরহাট জিলা মাধ্যমিক শিক্ষক আরু কৰ্মচারী সন্থা (চতুৰ্থ প্ৰকাশ): ৪৯,৫০ পৃষ্ঠা। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|তারিখ=
(সাহায্য)