মনীন্দ্র কুমার রায়

মনীন্দ্র কুমার রায় একজন বাংলাদেশী পরিসংখ্যানবিদ, অধ্যাপক, গবেষক এবং লেখক। তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বর্তমানে রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য[১] [২] হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশে স্নাতক পর্যায়ে কয়েকটি পরিসংখ্যান বইয়ের লেখক।

অধ্যাপক ড.
মনীন্দ্র কুমার রায়
উপাচার্য
রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০১৭
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
পেশাঅধ্যাপক, পরিসংখ্যানবিদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসক, গবেষক

শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

মনীন্দ্র কুমার রায় ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালে, তিনি কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনৈতিক সাইবারনেটিক্স (স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনফারেন্সের সাথে সম্পর্কিত, মিনিম্যাক্স ইন এস্টিমেশন)-এ পিএইচডি অর্জন করেন। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একটি ভিডিও ফিচার এবং নিবন্ধ প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।[৩]

কর্মজীবন সম্পাদনা

মনীন্দ্র কুমার রায় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের মাধ্যমে তার শিক্ষাজীবন শুরু করেন। সেই বছর পরে, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যানের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পিএইচডি শেষ করার পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণার কাজ চালিয়ে যান। তিনি ১৯৯২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। দীর্ঘ ৪২ বছর শিক্ষকতা শেষে তিনি ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ২০১৬ সালে, তিনি রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে যোগদান করেন। ২০১৭ আগস্ট, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ বছরের জন্য রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হন। [৪]

তিনি আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের নির্বাচিত সদস্য [৫] | পরিসংখ্যান বিষয়ক একটি গবেষণা ভিত্তিক বই লেখার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় তাকে "একুশে পদক" প্রদান করা হয়। তিনি ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড বিশ্ববিদ্যালয়র (ISU) একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য। [৬]

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

মনীন্দ্র কুমার রায় আটটি পরিসংখ্যান বই লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ফান্ডামেন্টাল অফ প্রবাবিলিটি (সম্ভাবনার মৌলিক বিষয়গুলি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৯১
  • পরিসংখ্যানিক বিন্যাস পরিচিতি ১ম খণ্ড, বাংলা একাডেমি, ১৯৯৬
  • পরিসংখ্যানিক বিন্যাস পরিচিতি ২য় খণ্ড, বাংলা একাডেমি, ১৯৯৬
  • ফান্ডামেন্টাল অফ প্রবাবিলিটি অ্যান্ড প্রবাবিলিটি ডিস্ট্রিবিউশন (সম্ভাবনার মৌলিক বিষয়গুলি ও সম্ভাবনা বিতরণ) (৩য় সংস্করণ), ২০০৪
  • বিজনেস স্ট্যাটিস্টিক্স (ব্যবসায় পরিসংখ্যান), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১২
  • মৌলিক পরিসংখ্যান, ২০২১

এছাড়া, তার প্রায় ৫১ টি গবেষণাপত্র বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বাংলাপিডিয়ায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নিবন্ধটি লিখেছেন এবং পরিসংখ্যান সম্পর্কিত নিবন্ধটির সহ-লেখক।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন"বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন 
  2. "বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা (যোগদানের তারিখ)" (পিডিএফ)বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন 
  3. "ওলগা মিশে গেছেন এই বাংলায়"প্রথম আলো [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "কুমুদিনী বুলেটিন (পৃষ্ঠা ১২)" (পিডিএফ)কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট 
  5. "ISI Elected member list"আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট। ৫ অক্টোবর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২১ 
  6. "Academic council member at ISU"www.isu.ac.bd 
  7. ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস"বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743