মনিকা চাকমা
মনিকা চাকমা (জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৩) হলেন একজন বাংলাদেশী নারী ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য। তিনি একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড়। তিনি ২০১৯ সালে বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ নারী আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গোল করে পরিচিতি পান। ফিফা তার এ গোলকে ‘জাদুকরী গোল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং মনিকা চাকমাকে 'ম্যাজিকেল চাকমা' উপাধি দেওয়া হয়।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মনিকা চাকমা | ||
জন্ম | [১] | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০০৩||
জন্ম স্থান | সুমন্ত পাড়া, লক্ষ্মীছড়ি, খাগড়াছড়ি জেলা | ||
উচ্চতা | ১.৬৩ মিটার (৫ ফুট ৪ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | বসুন্ধরা কিংস মহিলা | ||
জার্সি নম্বর | ৬ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০১১–২০১৪ | ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে, রাঙ্গামাটি | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০২০– | বসুন্ধরা কিংস | ২৫ | (৯) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১৪–২০১৬ | বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৪[১] | ১০ | (৫) |
২০১৫–২০১৯ | বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ [১] | ১১ | (০) |
২০১৮– | বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ | ৮ | (১) |
২০১৯– | বাংলাদেশ | ৮ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ৯ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২০ মার্চ ২০১৯ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনামনিকা চাকমার জন্ম ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তারিখে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ির দুর্গম পাহাড়ি এলাকা সুমন্ত পাড়া গ্রামে ।[২] কৃষক বাবা বিন্দু কুমার চাকমা ও রবি মালা চাকমার পাঁচ মেয়ের মধ্যে মনিকা সবার ছোট। ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতি মনিকার বাবার পছন্দ ছিলো না। তাই বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পাড়ার ফুটবল খেলায় অংশ নিতেন। তার খেলায় সঙ্গী ছিলেন বড় বোন অনিকা চাকমা ও চাচাত ভাই কিরণ চাকমা।
শিক্ষা ও খেলাধুলা
সম্পাদনামনিকা চাকমার ২০১০ সালে লক্ষ্মীছড়ির মরাচেঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হয়ে প্রথম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলেন। ২০১২ সালে চট্টগ্রামে বিভাগীয় পর্যায়ে খেলতে গেলে রাঙামাটি মগাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিরসেন চাকমার নজরে আসে। তিনি মনিকাকে রাঙামাটি মগাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দেন। মনিকা ২০১৩ সালে স্কুলটির হয়ে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলে জাতীয় পর্যায়ে রানার্সআপ হন। জাতীয় পর্যায়ে প্রথম খেলার ডাক পান অনূর্ধ্ব-১৪ দলে। এ দলটি ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এএফসির টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান ফেয়ার প্লে ট্রফি জিতেছিলো। ওই আসরে মনিকা গোল করেছিল তিনটি। রাঙামাটি ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠ শেষে মনিকা ঘাগড়া কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করেন ।[৩]
আন্তর্জাতিক পরিসর
সম্পাদনাথাইল্যান্ডে এশিয়ান অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলেছেন মনিকা। এছাড়া বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে খেলেন এবং তার দুর্দান্ত গোলে ফিফার ‘ভক্তদের প্রিয়’ কনটেন্টে স্থান পায় বাংলাদেশ। এ গোলের কারণে ফিফা তাকে ‘জাদুকরী চাকমা’ উপাধিতে ভূষিত করে।[৪]
ম্যাজিকেল মনিকা চাকমা মূলত পুলিশে চাকরি নেননি, মনিকা চাকমা নামে আরেকজন নারী ফুটবলার ছিলেন যার বাড়ি রাঙামাটি তিনিই পুলিশে চাকরি নেন।
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Monika, the Rangamati girl dreaming big"। ঢাকা ট্রিবিউন। ১৩ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৯।
- ↑ "খাগড়াছড়ির তিন ফুটবল কন্যা"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ১৭ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৯।
- ↑ "মনিকার জার্সি বদল! জাতীয় ফুটবলার থেকে পুলিশ"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ১৮ মার্চ ২০১৮। ২৬ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৯।
- ↑ "'ম্যাজিক্যাল চাকমা' কিশোরী মনিকা"। একুশে টিভি। ২২ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৯।