ডা: মনমোহন ভাদুড়ী (১৮৭৭- ৯ মার্চ,১৯৭১) একজন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্যাপ্টেন।

মনমোহন ভাদুড়ী
জন্ম১৮৭৭
মৃত্যু৯ মার্চ,১৯৭১
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

বিপ্লবী আন্দোলন সম্পাদনা

বোয়ালমারির ভাদুড়ী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিপ্লবী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ফরিদপুর জেলা জেলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ তার হয়ে মামলা পরিচালনা করেন। বিচারে ফাঁসির হাত থেকে রেহাই পেলেও দশ বছর কারাদণ্ড হয়।[১]

কমিউনিস্ট পার্টি সম্পাদনা

ফরিদপুরে কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠকদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। গোয়ালন্দ এলাকায় বহুদিন থেকে স্থানীয় মৎসজীবিদের ভেতরে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে রত ছিলেন তিনি।[২]

আজাদ হিন্দ ফৌজে সম্পাদনা

রাজবাড়ী জেলায় আজাদ হিন্দ ফৌজের একজন প্রধান সংগঠক ছিলেন ডা: মনমোহন ভাদুড়ী। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর আহবানে বহু তরুন তরুনী আজাদ হিন্দ ফৌজের মুক্তিমন্ত্র উদ্বুদ্ধ হয় তার নেতৃত্বে। বেড়াডাঙ্গাতে ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজের অন্যতম কেন্দ্র। স্থানীয় অনেক মহিলাও এর সদস্য ছিলেন। দেহচর্চা, লাঠিখেলা, মহড়া ইত্যাদি চলত। ১৯৪৬ সালে কালিম্পঙে বৃটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্যাপ্টেন হিসেবে নেতৃত্ব দেন। যুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর আত্মগোপনে রাশিয়া চলে গেছিলেন। নেতাজী তার গ্রন্থে তাকে ক্যাপ্টেন ভাদুড়ী বলে উল্লেখ করেছেন।[২]

মৃত্যু সম্পাদনা

৯ মার্চ, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যু হয়।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩৯৬। 
  2. পৃষ্ঠা নং ৩৫। "শতবৎসরের রাজনীতি"। রাজবাড়ী সাইবার রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ২০১৬-০৮-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫.০১.১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)