মধুমাধবী হল আরোহী কাষ্ঠল লতা (গুল্ম) জাতীয় একধরনের ফুলেল উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম stixis suaveolens। পরিবার Capparidaceae। ভারতের আসাম অঞ্চলে এটি মধুমালতী নামে পরিচিত।[১]

নামকরণ সম্পাদনা

বাংলাদেশে মধুমালতী নামে কাষ্ঠল লতা থাকায় অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মার সম্মতিক্রমে উদ্ভিদটির নামকরণ করা হয়েছে মধুমাধবী।[১]

আবাসভূমি সম্পাদনা

মধুমাধবী ঘন জঙ্গল, খোলা বন, পাহাড়ের পাদদেশে জন্মে। অতীতে বাংলাদেশে মধুমাধবী সহজলভ্য হলেও বর্তমানে এটি বিপন্ন উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচিত। এই ফুলেল উদ্ভিদটি বর্তমানে শুধুমাত্র মৌলভীবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের বনে টিকে আছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এটি ভারতের সিকিম, আসাম, অরুণাচল, ত্রিপুরামেঘালয়ে জন্মে থাকে। দেশটিতে প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতায় এদের দেখা মেলে। এছাড়াও নেপাল, ভুটান, চীন, লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামমিয়ানমারের বনে এদের দেখতে পাওয়া যায়।[১]

বর্ণনা সম্পাদনা

গুল্ম বা কাষ্ঠল লতা জাতীয় এই গাছটি প্রায় ১৫ মিটার লম্বা হয়। ফুল ফোটার মৌসুম মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এবং আগস্ট-অক্টোবরেও গাছে ফুল থাকে। ফুল ছোট আকৃতির হয়, এতে ৫-৬টি পাপড়ি থাকে। ফুল হালকা হলুদ বর্ণের ও সুগন্ধি। ফল পাকলে কমলা রং ধারণ করে। ভারতের আদিবাসীরা এটির ফল খায়। [১]

বংশবিস্তার সম্পাদনা

বীজ থেকে নতুন চারা গজানোর মাধ্যমে বংশবিস্তার ঘটে। এটি বর্তমানে বিপন্ন উদ্ভিদ। তাই বনের পরিবেশে টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি এক্স-সিটু কনজারভেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একে টিকিয়ে রাখা যেতে পারে। এছাড়া বাড়ির বাগানে, উদ্ভিদ উদ্যানে রোপণ করার মাধ্যমে গাছটি ক্রমবর্ধমান বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা