মধুবন সিনেপ্লেক্স

মধুবন সিনেপ্লেক্স হল বাংলাদেশের বগুড়ায় অবস্থিত একটি চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ। প্রেক্ষাগৃহটি সংস্কার করে ১৫ অক্টোবর ২০২১-এ পুনরায় চালু করা হয়। ভবিষ্যতে এটিকে মাল্টিপ্লেক্সে উন্নীত করা হবে।

মধুবন সিনেপ্লেক্স
মানচিত্র
প্রাক্তন নামমধুবন (১৯৭৪–২০১৭)
ঠিকানাচন্দন বাইশা সড়ক, পশ্চিম নারুলি, চেলোপাড়া
বগুড়া
বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৪°৫১′০২″ উত্তর ৮৯°২২′৪৪″ পূর্ব / ২৪.৮৫০৬৭৮৩° উত্তর ৮৯.৩৭৮৯২১৮° পূর্ব / 24.8506783; 89.3789218
ধরনচলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ
ধারণক্ষমতা৩৪০
পর্দা
নির্মাণ
উদ্বোধন১০ অক্টোবর ১৯৭৪ (1974-10-10)
পুনঃসংস্কার১৫ অক্টোবর ২০২১ (2021-10-15)

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৬৯ সালে এমএ ইউনুস বগুড়ায় মধুবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। প্রেক্ষাগৃহটি ১৯৭৪ সালে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের দিনে ইবনে মিজান পরিচালিত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ডাকু মনসুর মধুবনে প্রদর্শিত হয়। চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহের কারণে চেলোপাড়ার জনসংখ্যা বাড়তে থাকে ও ধীরে ধীরে এটি একটি সমৃদ্ধ আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়। ১৯৯০-এর দশকে দেশে অশ্লীল চলচ্চিত্রের উত্থানের কারণে ২০০৪ সালে মধুবন বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে এমএ ইউনুসের ছেলে আর এম ইউনুস রুবেল উত্তরাধিকার সূত্রে প্রেক্ষাগৃহের মালিকানা পান।[১] ২০১৬ সালে আয়নাবাজি প্রদর্শনীর সময় আর এম ইউনুসের ছেলে ও প্রেক্ষাগৃহের অন্যতম পরিচালক শাইখুজ্জামান প্রেক্ষাগৃহের অবস্থা দেখে নিজেদের সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর তিনি এটি সংস্কারের পরিকল্পনা করেন।[২] ১৯৯০-এর দশকের পরে এটি আরও দুইবার বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩/২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে ও পরবর্তীতে আর্থিক ক্ষতির কারণে ২০১৮ সালে আবার মধুবন বন্ধ করার পরে, এর মালিক এটিকে একটি মাল্টিপ্লেক্স হিসাবে সংস্কার ও রূপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।[৩] অসম্পূর্ণ সংস্কার কাজের কারণে রুবেল পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালে প্রেক্ষাগৃহ চালু করতে পারেনি। এরপর কোভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার কারণে সংস্কার কাজ এগোনো সম্ভব হয়নি। সাড়ে তিন বছর ধরে সংস্কারের কাজ করার পর, ১৫ অক্টোবর ২০২১-এ নতুন নাম "মধুবন সিনেপ্লেক্স" নিয়ে চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহটি চালু হয়। ভারতীয় চলচ্চিত্র বাজি সেদিন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়।[৪]

বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা

৩৪০ আসন বিশিষ্ট এই চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহে তিন শ্রেণীর আসন রয়েছে, যার মধ্যে দুটি যথাক্রমে গোল্ড ট্রাক ও প্রিমিয়ার ট্রাক নামে পরিচিত। এখানে প্রতি শুক্রবার তিনটি ও সপ্তাহের অন্যান্য দিনে চারটি করে শো অনুষ্ঠিত হয়। ভবিষ্যতে এই প্রেক্ষাগৃহলে মাল্টিপ্লেক্সে রূপান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে।[৫]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বগুড়ায় চালু হচ্ছে 'মধুবন সিনেপ্লেক্স'"আরটিভিঅনলাইন.কম। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২২ 
  2. হক, সমুদ্র (১৭ অক্টোবর ২০২০)। "বগুড়ায় নির্মিত হচ্ছে আধুনিক সিনেপ্লেক্স ও মাল্টিপ্লেক্স"জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২২ 
  3. শাহিন, জিয়া (১৬ অক্টোবর ২০২১)। "সিনেমা হল বন্ধের ভিড়ে বগুড়ায় যাত্রা সিনেপ্লেক্সের"বিডিনিউজ২৪.কম। ২ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২২ 
  4. "চালু হলো বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স, প্রথম শো হাউজফুল"কালের কণ্ঠ। ১৫ অক্টোবর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২২ 
  5. বিলু, হাসিবুর রহমান (২০ অক্টোবর ২০২০)। "বগুড়ায় 'মধুবন সিনেপ্লেক্সে'র উদ্বোধন ডিসেম্বরে"টিবিএসনিউজ.নেট। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা