মতিউল ইসলাম
মতিউল ইসলাম (৫ নভেম্বর ১৯১৫ - ২৯ অক্টোবর ১৯৮৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গুণিয়াউকে জন্মগ্রহণ করেন।[১] দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনীতে যোগদান করেন। চল্লিশের দশকে কলকাতার কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ফরিয়াদ ও অন্যান্য কবিতার জন্য খ্যাতি লাভ করেন। সেসময় ও তার অব্যবহিত পরবর্তী কালে তিনি অনেকগুলি কাব্য প্রকাশ করেন। তারপর বহু বছর কাব্য সাধনায় ছেদ পড়ে। নারী ও প্রকৃতির নানা বৈচিত্র্য তার কাব্যের বিষয়ীভূত হয়েছে। ব্যঙ্গাত্মক কিছু কবিতাও লিখেছেন তিনি। তার কবিমন প্রধানত রোমান্টিকতা-লালিত।[২] তার উল্লেখযোগ্য কাব্যঃ মাটির কন্যা (১৩৫৪ বঙ্গাব্দ), পুষ্পবীথি (১৯৬০), সপ্তকন্যা (১৯৫৭), প্রিয়া ও পৃথিবী (১৩৬২ বঙ্গাব্দ), দিবা ও রাত্রি (১৩৫৮ বঙ্গাব্দ) প্রভৃতি। তিনি কবিতার জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন ১৯৭৬ সালে।[১] ১৯৮৪ সনের ২৯শে অক্টোবর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অবস্থিত নিজ বাসভবন "কবিতা ভবন" এ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মতিউল ইসলাম | |
---|---|
জন্ম | শাহ্ মতিউল ইসলাম ৫ নভেম্বর ১৯১৫ |
মৃত্যু | ২৯ অক্টোবর ১৯৮৪ |
আন্দোলন | বাঙালি কবি |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "এক নজরে নাসিরনগর উপজেলা"। ২ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ রফিকুল ইসলাম ও অন্যান্য সম্পাদিত; কবিতা সংগ্রহ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; জুলাই ১৯৯০; পৃষ্ঠা- ৪৭৫।