মণ্ডা

বাংলাদেশী মিষ্টি

মণ্ডা বাংলাদেশের একটি গোল চ্যাপ্টা আকৃতির বাঙালি মিষ্টান্ন। দেখতে অনেকটা পেঁড়ার মত। "‍মিঠাই-মণ্ডা" একটি বহুল প্রচলিত শব্দবন্ধ। কড়া পাকের সাধারণতঃ চিনি মেশানো ক্ষীরের গরম নরম অবস্থায় গোল তাল পাকানো মণ্ডকে পরিষ্কার শক্ত কোন তলের উপর বিছানো কাপড়ের উপর হাতদিয়ে ছুঁড়ে আছাড় মেরে সাধারণতঃ চ্যাপ্টা করার কাজটি করা হয়। পরে ঠাণ্ডা হলে শক্ত হয়ে যায় ও তখন কাপড় থেকে খুলে নেওয়া হয়। তাই যেদিকটা নিচে (কাপড়ে লেগে) থাকে সেটা পুরো সমতল হয়, আর অন্য দিকটা একটু উত্তল আর কিনারা একটু ফাটা ফাটা হয়। ক্ষীরের রঙের উপর নির্ভর করে মণ্ডা সাদা বা ঈষৎ হাল্কা খয়েরি রঙের হয়। (সম্ভবত চিনিকে বেশি গরম করলে পুড়ে বা ক্যারামেলাইজ হয়ে খয়েরী রং ধরে)। মণ্ডা সাধারণতঃ কাগজে মুড়ে বিক্রি করা হয়।

মণ্ডা

হরির লুঠ, ইত্যাদি বাঙালি হিন্দু ধর্মীয় লোকাচারে মণ্ডা বহুল ব্যবহৃত হয়।

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরের অদূরবর্তী মুক্তাগাছা নামক স্থানটি মণ্ডা তৈরিতে প্রসিদ্ধ। তবে শেরপুরেও মন্ডা উৎপাদিত হয়।[১] শেরপুরের মণ্ডা দেশজুড়ে।[২] মুক্তাগাছা তে শীতকালে সাধারণত আরও এক ধরনের মন্ডা পাওয়া যায় যা চিনির পরিবর্তে খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি হয়।

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "শেরপুরের মন্ডা"আওয়ার শেরপুর। আগস্ট ১৬, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৭, ২০২০ 
  2. "শেরপুরের মণ্ডা দেশজুড়ে"বাংলাদেশ প্রতিদিন। জানুয়ারি ২৮, ২০২১। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৩০, ২০২১