ভৈরবকুণ্ড শিব মন্দির
ভৈরবকুন্ড শিব মন্দির বা দাইফাম শিব মন্দির ভুটানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু মন্দির। এটি ভুটানের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে জোমোটসাংখা (ডাইফাম) শহরের কাছে এবং আসামের উদালগুড়ি শহর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[১]
ভৈরবকুণ্ড শিব মন্দির | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | সমদ্রপ জংখার জেলা |
ঈশ্বর | শিব |
বৈশিষ্ট্য |
|
অবস্থান | |
অবস্থান | জোমোটসাংখা (দাইফাম) |
দেশ | ভুটান |
স্থানাঙ্ক | ২৬°৫৩′৩৬″ উত্তর ৯২°০৫′২৮″ পূর্ব / ২৬.৮৯৩৩০২১° উত্তর ৯২.০৯১০৩৭৭° পূর্ব |
সৃষ্টির কাহিনী
সম্পাদনাশিব পুরাণ ও স্বস্থানী ব্রতকথা অনুসারে, শিব তার প্রিয় সতী দেবী বা দক্ষিণানির মৃত্যুর পর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে পৃথিবীতে ঘুরেছিলেন। তার এই যাত্রায় ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে সতী দেহের কিছু অংশ মাটিতে পড়ে যায়। ৫১টি ( কখনও কখনও ১০৮টি ) স্থানে শরীরের অঙ্গগুলি পড়েছিল এবং উক্ত স্থানসমূহ শক্তিপীঠ বা শক্তির আসন হিসাবে পরিচিত পবিত্র স্থান হয়ে ওঠে। তার মধ্যে একটি হল ভৈরব কুণ্ড।[২]
পরে দেবতাদের রাজা ইন্দ্র তার স্বর্গীয় সাদা হাতি ঐরাবতে এখানে অবতরণ করেন এবং বহু বছর ধরে ধ্যান করে। ইন্দ্র অনেক অগ্নি আচার পালন করার পরে, শিব এই স্থানটিকে বৃষ্টি দিয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন। আজও কথিত আছে যে যখনই এখানে অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হয়, তখনই ভৈরবকুণ্ডে বৃষ্টি পড়ে।[৩]
বর্তমান মন্দিরের ঠিক নীচে একটি গুহা রয়েছে। কথিত আছে যে, ভগবান শিব ধ্যান করেছিলেন এবং তাঁর ধ্যানের স্থানের কাছে একটি হ্রদ (কুণ্ড) তৈরি হয়েছিল। বহু বছর পরে, ভৈরব নাথ (ভগবান শিবের একটি উগ্র প্রকাশ) একই স্থানে ধ্যান করছিলেন। তিনি একটি প্রাকৃতিক শিব লিঙ্গ আবিষ্কার করেন এবং স্থানটির নাম ভৈরবকুণ্ড (বা "ভৈরব লেক") হয়।[৪]
পূজা
সম্পাদনাভৈরব কুণ্ড হ্রদ ভুটানের সামদ্রুপ জংখার জেলা এবং ভারতের আসাম ও অরুণাচেল প্রদেশের ত্রি-সংগমস্থলে অবস্থিত। এখানে ভুটানে উৎপন্ন জাম্পানি নদী ও ভৈরবী নদী একত্রিত হয়ে ব্রহ্মপুত্রের একটি প্রধান উপনদী ধনশিরি নদী তৈরি করেছে। মকর সংক্রান্তির সময়, ভক্তরা মন্দিরে যান এবং নদীর মিলনস্থলের কুণ্ডে পবিত্র স্নান করেন এবং ভগবান শিবের পূজা করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Newspaper, Bhutan's Daily। "Significance of Bhairab Kunda Temple in Bhutan"। Kuensel Online। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-২৩।
- ↑ Dhrubaraj Sharma (জানুয়ারি ৯, ২০২১)। "Significance of Bhairab Kunda Temple in Bhutan"। Kuensel Online। Thimphu: Kuensel। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৯, ২০২১।
- ↑ Dhrubaraj Sharma (জানুয়ারি ৯, ২০২১)। "Significance of Bhairab Kunda Temple in Bhutan"। Kuensel Online। Thimphu: Kuensel। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৯, ২০২১।
- ↑ Dhrubaraj Sharma (জানুয়ারি ৯, ২০২১)। "Significance of Bhairab Kunda Temple in Bhutan"। Kuensel Online। Thimphu: Kuensel। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৯, ২০২১।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে ভৈরবকুণ্ড শিব মন্দির সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।