ভূতের বাচ্চা সোলায়মান

ভূতের বাচ্চা সোলায়মান মুহম্মদ জাফর ইকবাল রচিত একটি শিশুতোষ কল্পকাহিনী যা ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাগৃতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের পূর্বেই ২০০৬ সালে একই নামের একটি নাটক এনটিভিতে প্রচারিত হয়েছিল।[১] ২০১৮ সালের ৩রা মার্চ মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হত্যাপ্রচেষ্টা চালানোর কারণ হিসেবে আক্রমণকারী এই বইটির কথা উল্লেখ করে। [২]

ভূতের বাচ্চা সোলায়মান
বইয়ের প্রচ্ছদ
লেখকমুহম্মদ জাফর ইকবাল
প্রচ্ছদ শিল্পীবিপ্লব সরকার
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা
ধরনশিশুতোষ
প্রকাশকজাগৃতি প্রকাশনী
প্রকাশনার তারিখ
২০১৭
পৃষ্ঠাসংখ্যা৮৮
আইএসবিএন৯৭৮-৯৮৪-৯২৩৯২-২-২

প্রধান চরিত্রগুলো সম্পাদনা

  • নিতু
  • দবির, নিতুর মধ্যপ্রাচ্য ফেরত চাচা
  • সোলায়মান, ভূতের বাচ্চা

গল্প সংক্ষেপ সম্পাদনা

গল্পের প্রধান চরিত্র নীতু। নীতুর দূরসম্পর্কের চাচা 'দবির' মধ্যপ্রাচ্য থেকে নীতুদের বাসায় বেড়াতে আসে। তিনি ছোটদের দেখতে পারে না এমনকি মেয়েদের পড়ালেখা নিয়ে কটুবাক্য করে। এছাড়াও দেশি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিভিন্নভাবে হেয় করতে দবির চাচা সর্বদা বদ্ধ পরিকর। দবির চাচাকে শিক্ষা দিতে নীতু আর তার চাচাতো ভাই-বোনেরা প্লানচ্যাটে বসে ভূত ডাকতে। তাদের ডাকে একটি বাচ্চা ভূত সাড়া দেয়। এই বাচ্চা ভূতটির নামই হল সোলায়মান। সোলায়মান নীতুদের ডাকে আসলেও আর নিজে নিজে ফিরে যেতে পারেনা। এদিকে নীতুর দবির চাচা বাচ্চা ভূতের ব্যাপারটি জানতে পেরে সোলায়মানকে বিদেশী টিভি চ্যানেলের কাছে বিক্রি পায়তারা করে। এই পরিকল্পনা মোতাবেক নীতুকে আটকে ভূতের বাচ্চা সোলায়মানকে অপহরণও করে। নীতুর চাচাতো ভাই-বোনেরা নীতুকে উদ্ধার করে আবার প্লানচ্যাটে বসে। ভূতের বাচ্চা সোলায়মানের মা এসে এবার তাকে নিয়ে যায়। দবির যাদের কাছে ভূতের বাচ্চা বিক্রির ফন্দি করেছিল তারা এসে দবিরকে গণধোলাই দেয়।

নামকরণ বিতর্ক ও মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাপ্রচেষ্টা সম্পাদনা

বইটি প্রকাশের পরপরই এর নামকরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ আনেন।[৩] বইটির নিষিদ্ধকরণ দাবির পাশাপাশি এবং লেখককেও ব্যক্তিগত আক্রমণ হতে থাকে। বাংলাদেশি নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ [৪] অনেককেই সেই সময় এইসব সমালোচনার পাল্টা উত্তর দিতে দেখা গেছে।

২০১৮ সালের ৩রা মার্চ মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাপ্রচেষ্টাকারী, ফয়জুর রহমান ওরফে ফয়জুল ঘটনাস্থলে ধরা পড়ে।[৫] জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী ফয়জুর [৬][৭] লেখকের উপর আক্রমণের কারণ[৫][৮] হিসেবে এই বইয়ের কথা উল্লেখ করলে বইটি আবার আলোচনায় আসে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "ভূতের বাচ্চা সোলায়মান নাটকে স্বচ্ছ"champs21। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "'ভূতের বাচ্চা সোলায়মান' লেখায় জাফর ইকবালকে হামলা করেছি"দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২২ 
  3. "জাফর ইকবালের ভূতের বাচ্চা সোলায়মান"বাংলাকথা। ৭ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৮ 
  4. "জাফর ইকবালের বই প্রসঙ্গে যা বললেন তসলিমা"ঢাকাটাইমস২৪। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৮ 
  5. "শিকড় অনেক গভীরে ॥ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা || প্রথম পাতা || জনকন্ঠ"জনকন্ঠ। ২০১৮-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৫-২২ 
  6. "হামলাকারী ফয়জুল জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী-র‍্যাব"যুগান্তর। ৪ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৮ 
  7. "সালাফি মতবাদে উদ্বুদ্ধ ফয়জুলের পরিবার"যুগান্তর। ৪ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৮ 
  8. "জাফর ইকবাল ইসলামের শত্রু, তাই তাকে মেরেছি"banglatribune। ৩ মার্চ ২০১৮। ৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা