ভানুমতি দেবী

ভারতীয় অভিনেত্রী

ভানুমতি দেবী (১৫ই মে ১৯৩৪ – ৪ঠা জানুয়ারি ২০১৩) ছিলেন মিয়ানমারে জন্ম নেওয়া একজন ভারতীয় অভিনয়শিল্পী। তিনি চলচ্চিত্র এবং থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।[২][৩] তিনি সাময়া (১৯৭৫), আদিনা মেঘ (১৯৭০) মমতা (১৯৭৫) ইত্যাদি চলচ্চিত্রের জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি ২০১৩ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরীতে মারা যান।[৪]

ভানুমতি দেবী
জন্ম(১৯৩৪-০৫-১৫)১৫ মে ১৯৩৪ [১]
মৃত্যু৪ জানুয়ারি ২০১৩(2013-01-04) (বয়স ৭৮)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাথিয়েটার এবং চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৫৩–১৯৮৭
দাম্পত্য সঙ্গীহরিহর পাণ্ডা
সন্তানস্বর্ণলতা পাণ্ডা
পিতা-মাতাসারাটি পট্টনায়েক
পট্টদেই
পুরস্কারজয়দেব পুরস্কার

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

ভানুমতী দেবী ১৯৩৪ সালের ১৫ই মে ব্রিটিশ বার্মায় জন্মগ্রহণ করেন।[৫] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর তিনি নিজের ভারতীয় পরিবারের সাথে ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরীতে চলে যান।[৩][৫] তাঁর পিতা ও মাতার নাম ছিল যথাক্রমে সারাটি পট্টনায়েক ও পট্টদেই।

অভিনয় জীবন সম্পাদনা

ভানুমতী দেবী ১৯৪২ সালে মাত্র সাত বছর বয়সে থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেন।[৫] তাঁর করা কয়েকটি সেরা মঞ্চে অভিনয় করা নাটক ছিল লখ্যে হীরা এবং নাপাহু রতি নামারু পতি, এগুলি খুব ভালো পর্যালোচনা পেয়েছিল।[৫] তিনি সুদীর্ঘ চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কটকের অন্নপূর্ণা থিয়েটারে অভিনয় করে গেছেন।[২]

তিনি ১৯৫৪ সালে আমারি গান ঝিয়া চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন। সে সময় তাঁর বয়স ছিল উনিশ বছর।[৬] তিনি ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে ওড়িশার চলচ্চিত্রে বিশেষভাবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি এক ডজনেরও বেশি ভারতীয় চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[২] তাঁর অভিনীত কিছু চলচ্চিত্র হল সাময়া (১৯৭৫), আদিনা মেঘ (১৯৭০) এবং মমতা (১৯৭৫)।[৭] তাঁর সবচেয়ে বিশিষ্ট ভূমিকাগুলির মধ্যে একটি চরিত্র হল হারাবৌ, এটি ১৯৬৬ সালের ওড়িশার চলচ্চিত্র মাটিরা মনিষার অন্তর্ভুক্ত। এই অভিনয়ের জন্য তিনি একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।[২] তাঁর শেষ অভিনীত ছবি ছিল জয়দেব, এটি ১৯৮৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল।[২]

পুরস্কার সম্পাদনা

ভানুমতী দেবী ১৯৮৫ সালে সঙ্গীত নাটক অকাদেমি থেকে সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।[২] ২০০৫ সালে, তিনি আজীবন দক্ষতার জন্য ওড়িশা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কারের দেওয়া জয়দেব পুরস্কার পান।[২] ২০০১ সালে ভানুমতি দেবীকে হিন্দুস্তানি কণ্ঠশিল্পী গিরিজা দেবী দ্বারা মর্যাদাপূর্ণ গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।[৮]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

ভানুমতি দেবী বিবাহ করেছিলেন হরিহর পাণ্ডাকে। তাঁদের কন্যার নাম স্বর্ণলতা পাণ্ডা।

মৃত্যু সম্পাদনা

ভানুমতি দেবী ২০১৩ সালের ৪ঠা জানুয়ারী তারিখে ৭৮ বছর বয়সে ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পুরীর রেড ক্রস রোডে নিজের বাড়িতে মারা যান। পুরীর স্বর্গদ্বারে তাঁকে দাহ করা হয়েছিল।[৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Bhanumati leaves the 'stage' | Orissa Post"orissapost.com। ২০১৩। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৩Born May 15, 1934, in Burma, Bhanumati had returned Orissa 
  2. "Veteran Actor Bhanumati Devi dead"The Indian Express। ২০১৩-০১-০৫। ২০১৩-০১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-১৬ 
  3. "Bhanumati Devi cremated in Puri"The Times of India। ২০১৩-০১-০৬। ২০১৩-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-১৬ 
  4. "Bhanumati Devi"। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  5. "Bhanumati leaves the 'stage'"Orissa Times। ২০১৩-০১-০৫। ২০১৩-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-১৬ 
  6. Panda, Namita (২৬ নভেম্বর ২০১২)। "Arclights out, actresses fight poverty"telegraphindia.com। Calcutta, India। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৩She started her film career at the age of 19 in 1953 with Aama Gaan Jhua, 
  7. "Bhanumati Devi"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  8. "BHANUMATI DEVI NEWS"। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা