সিত্বে
সিত্বে (বা পূর্বনাম আকিয়াব) হচ্ছে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য'র রাজধানী। সিত্বে শব্দটি রাখাইন শব্দ। ২০০৬ সালে শহটিতে ১ লক্ষ ৮১ হাজার অধিবাসী বসবাস করতো।
সিত্বে စစ်တွေမြို့ | |
---|---|
সিত্বের প্রধান সড়ক | |
মায়ানমার (বার্ম)'র ম্যাপে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২০°০৯′০০″ উত্তর ৯২°৫৪′০০″ পূর্ব / ২০.১৫০০০° উত্তর ৯২.৯০০০০° পূর্ব | |
Country | ![]() |
Division | রাখাইন রাজ্য |
District | Sittwe District |
Township | Sittwe Township |
জনসংখ্যা (2006) | |
• মোট | ১,৮১,০০০ |
• Ethnicities | রাখাইন বামার কামান মারামাগ্যি রোহিঙ্গা এবং বাঙালী |
• Religions | বৌদ্ধধর্ম ইসলাম |
সময় অঞ্চল | MMT (ইউটিসি+6.30) |
এলাকা কোড | 42, 43 |
[১] |
নামকরণসম্পাদনা
বার্মিজ সিত্বে শব্দটি এসেছে রাখাইন শব্দ সেইতে ত্বয়ে থেকে যার অর্থ যুদ্ধের ময়দান। বার্মার রাজা বোদাওপায়া ১৭৮৪ সালে ম্রাউক ইউ রাজ্য আক্রমণ করে। রাখাইন প্রতিরোধ যোদ্ধারা কালাদান নদীর তীরে বর্মী বাহিনীকে বাধা দেয়। জলে স্থলে যুদ্ধ চলতে থাকে। শেষপর্যন্ত ম্রাউক ইউ বাহিনী পরাজিত হয়। যুদ্ধ সংঘটনের স্থানটি রাখাইনদের কাছে সিত ত্বয়ে নামে পরিচিতি লাভ করে এবং কালক্রমে বার্মিজদের কাছে এটা সিত্বে হয়ে ওঠে।
১৮২৫ সালে প্রথম ইংরেজ-বার্মিজ যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনী সিত্বে তে অবতরণ করে এবং তাদের সৈন্যদেরকে প্রাচীন প্যাগোডাতে থাকার ব্যবস্থা করে। আখিয়াব দাও নামের প্যাগোডাটি আজো টিকে আছে। ব্রিটিশরা এই এলাকাকে আকিয়াব নামে ডাকা শুরু করে।
জনগোষ্ঠীসম্পাদনা
সিত্বে নগরীতে বসবাস কারী জনগোষ্ঠীর প্রধান অংশ রাখাইন জাতি। এছাড়া কিছু বার্মিজ লোক বসবাস করে। এখানকার প্রধান ধর্ম গুলোর মধ্যে থেরাভেড়া বৌদ্ধধর্ম, হিন্দু ধর্ম এবং প্রকৃতিপূজা। এখানকার রোহিংগা জনগোষ্ঠীর ধর্ম ছিলো ইসলাম। রোহিংগা জনগোষ্ঠীর বসবাসের এলাকাকে বলা হতো অং মিংগালা। ২০১২ সালের অক্টোবর মাসের দাংগার পর সিত্বের রোহিংগাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
মায়ানমারের জাতীয় আদমশুমারি তে রোহিংগাদের নিবন্ধিত হওয়ার অধিকার নেই। মায়ানমার সরকার এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে রোহিংগা নামে সম্বোধনে অস্বীকৃতি জানায়। তাই দেশটির অভ্যন্তরে ঠিক কত জন রোহিংগা বাস করে বা করতো তার সংখ্যা নিরুপণ করা সম্ভব নয়।
চিত্রপটসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "National Telephone Area Codes"। Myanmar Yellow Pages। ১৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৬।