ভাটিয়ারী
ভাটিয়ারী সমুদ্র আর পাহাড়ে ঘেরা ভ্রমণ পিপাসুদের একটি তীর্থস্থান, যা ভাটিয়ারী ইউনিয়নের অন্তর্গত। বাংলাদেশের ভূমি বৈচিত্রে চট্টগ্রামকে প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি বলা হয়ে থাকে। বর্ণিল সাজে সজ্জিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক স্থান সমূহের মধ্যে ভাটিয়ারীকে অন্যতম নয়নাভিরাম বলে ধরে নেয়া হয়।


আয়তন
সম্পাদনাএ এলাকার আয়তন প্রায় ১৯.৪৩বর্গ কিলোমিটার (৪৮০০ একর)।
অবস্থান
সম্পাদনাচট্টগ্রাম শহর হতে প্রায় ১৫ কি.মি. উত্তরে ভাটিয়ারী অবস্থিত। ভাটিয়ারীর পূর্বে রয়েছে হাটহাজারী, পশ্চিমে সন্দ্বীপ, দক্ষিণে সেলিমপুর এবং উত্তরে সোনাইছড়ি।[১]
শিক্ষা
সম্পাদনাভাটিয়ারীতে বর্তমানে ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি উচ্চবিদ্যালয় এবং একটি কলেজ রয়েছে । এছাড়া তিনটি মাদ্রাসা, দুইটি এতিমখানা এবং বেশকিছু কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। মাদাম বিবির হাট শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয় এ এলাকার সবচেয়ে পুরাতন বিদ্যাপীঠদের মধ্যে একটি। এটি ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় যদিও এটি মাদ্রাসা ছিল, স্বাধীনতার পর তা বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।
চিকিৎসা
সম্পাদনাভাটিয়ারীতে জনসাধারণে চিকিৎসার সুবিধার্থে এ এলাকায় একটি মুক্তিযুদ্ধ মেমোরিয়াল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখান থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে থাকে।
অর্থনীতি
সম্পাদনাশীপ ব্রেকিংস বা জাহাজ কাটা শিল্প এ এলাকার অর্থনীতির মূল চালিকা। এলাকার প্রায় ৬০ শতাংশ জনগণের আয় এ শীপ ব্রেকিংসের উপর নির্ভর করে। এ অঞ্চলে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প গড়ে উঠে।
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
ভাটিয়ারী হ্রদ
-
হিলভিউ পার্ক অ্যান্ড ক্যাফের প্রবেশপথ
-
ভাটিয়ারী হ্রদ
-
ভাটিয়ারী হ্রদ
-
ক্যাফে ২৪ এ পানির ফোয়ারা
-
ভাটিয়ারী হ্রদ
-
সানসেট পয়েন্ট
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "ভাটিয়ারী - চট্টগ্রাম জেলা-"
|ইউআরএল=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]